২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শুভ জন্মদিন মাশরাফি

স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে মাশরাফি। -

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিন আজ। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের আলাদাতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। লড়াকু এই ক্রিকেটার ৩৬ বছরে পা রাখলেন আজ। ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম ‘পেস বোলার’ হিসেবে খ্যাতি তার। খেলার মাঠে কখনো কখনো মাশরাফির নামের সঙ্গে ‘ঝড়ো ব্যাটিং’ শব্দটিও যুক্ত হয়ে যায়।

এদিকে, মাশরাফির জন্মদিনের পাশাপাশি জুনিয়র মাশরাফি অর্থাৎ মাশরাফির ছেলে সাহেল মাশরাফিরও জন্মদিন আজ। ২০১৪ সালের আজকের এইদিনে (৫ অক্টোবর) জন্ম নেন মাশরাফি ও সুমি দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান সাহেল মাশরাফি। সঙ্গতকারণেই বাবা-ছেলের জন্মদিন আজ।

বন্ধু প্রিয়, আড্ডাপ্রিয়, সদালাপী ও বিনয়ী মাশরাফির জন্মদিন প্রসঙ্গে তার মা হামিদা মর্তুজা বলাকা বলেন, ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে আমার বাবার বাড়ি নড়াইল শহরের আদালতপুরে জন্মগ্রহণ করে মাশরাফি। সেইদিনটি ছিল ‘মঙ্গলবার’। তবে, জন্মের আগে জানতাম না, আমার ছেলে না মেয়ে হবে। ও (মাশরাফি) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই ছেলে সন্তানের মুখ দেখলাম।

মাশরাফির মা আরো বলেন, ছোটবেলা থেকে আমরা ওকে (মাশরাফি) ‘কৌশিক’ বলে ডাকি। পরিবারসহ নড়াইলবাসীর কাছে ‘কৌশিক’ নামেই সমধিক পরিচিত বিশ্ববাসীর ‘মাশরাফি’। তবে, আমাদের কৌশিকের জন্মদিন কখনো ঘটাও করে পালন করা হয়নি। ওর যখন এক বছর বয়স, তখন কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হলেও পরবর্তিতে আর কখনোই সেই ভাবে পালন করা হয়নি। এখন এতিম ও দু:খী মানুষের মাঝে খাবার, টাকা-পয়সা দেয়ার মধ্য দিয়ে কৌশিকের জন্মদিন পালন করা হয়।

এদিকে, ক্রিকেটে মাশরাফির খ্যাতি বিশ্বজোড়া হলেও ছোটবেলায় ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেন তিনি। এক সময় শুরু করেন ক্রিকেট খেলা। পড়ালেখা আর খেলাধূলার পাশাপশি বন্ধুদের সঙ্গে দুরন্তপনায়ও মেতে থাকতেন তিনি। চিত্রা নদীতে সাঁতারকাটা এবং আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফল পেড়ে খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতেন বিভিন্ন সময়ে। বন্ধুদের নিয়ে দিনরাত আড্ডা ছিল তার প্রিয় সঙ্গ। মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রিয় নড়াইল শহর ঘুরে বেড়াতেও তার জুড়ি নেই।

মা ও ছোট ভাইয়ের সাথে মাশরাফি। ছবি : নয়া দিগন্ত

 

২০০৬ সালে নড়াইলের মেয়ে সুমনা হক সুমিকে বিয়ে করেন মাশরাফি। দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে ও ছেলে সন্তানের জনক তিনি। বাবা গোলাম মতুর্জা স্বপন, মা হামিদা মর্তুজা বলাকা ও ছোট ভাই সিজারসহ স্ত্রী, সন্তান নিয়ে মাশরাফির সংসার।

এদিকে মাশরাফির জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার ভক্তরা ফেসবুকে গতকাল বহস্পতিবার বিকেল থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজও তাদের (মাশরাফি ও তার ছেলে) শুভ কামনা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভক্তরা।

নড়াইলের মেয়ে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সালমা খাতুন লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন, প্রিয় মাশরাফি ও সাহেল। জন্মদিনে অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইল।’ ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক চৈতি বিশ্বাস লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন নড়াইল এক্সপ্রেস...।’ মাশরাফির সহপাঠী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন চন্দ্র বসু লিখেছেন-‘শুভ জন্মদিন অধিনায়ক।’ এভাবে হাজারো ভক্ত মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিনে শুভ কামনা করেন। নড়াইলে মাশরাফি ভক্তরা কেককাটাসহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।

 

আরো পড়ুন: শেষ ওভার নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের শেষ ২ ওভারে যখন ১১ রান প্রয়োজন তখন ৪৯তম ওভার করার জন্য মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দিলেন মাশরাফি। আর এ সিদ্ধান্তটা নিতে মাশরাফিকেও ভাবতে হয়েছে। কারণ মোস্তাফিজকে দিয়ে ৪৯তম ওভার করালে খেলা শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ালে শেষ ওভারটা কাকে দিয়ে করাবেন। সবকিছু বিবেচনা করে মোস্তাফিজকে দিয়েই ৪৯তম ওভারটা করালেন। মোস্তাফিজও প্রতিদান দিলেন। মাত্র ৩ রান দিলেন, উইকেটও নিলেন ১টি। তাতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলাটা বেঁচে থাকল। এ নিয়ে পরে মাশরাফি ব্যাখ্যা দিলেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচটা জিততে শেষ ওভারে ৮ রান লাগত আফগানদের। মোস্তাফিজুর রহমান দিয়েছিলেন মাত্র ৪ রান। এতে বাংলাদেশ জিতে যায় ৩ রানে।

কিন্তু এ দলটা আফগানিস্তান না, এটা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। যাদের রয়েছে অভিজ্ঞতা, শেষ ওভারে কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে হয় ভারত এটা ভালো করেই জানে।

এখানে শেষ ওভারের জন্য মোস্তাফিজকে রেখে দিতে গেলে ম্যাচটা আরও আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত। হয়তো শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ গড়াইতো না। শেষ ২ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। এক ওভারেই খেলা শেষ হয়ে যেতে পারে। মাশরাফি তাই ৪৯তম ওভারটা করতেই বল তুলে দিলেন মোস্তাফিজের হাতে।

কিন্তু শেষ ওভারটা যে করতে হলো মাহমুদউল্লাহকে। সৌম্য সরকারের কথাও ভাবা হয়েছিল। বল হাতেও নিয়েছিলেন সৌম্য। পরে মাশরাফি মত বদলে মাহমুদউল্লাহকে ডাকেন। সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ কেউই নিয়মিত বোলার নন।

অন্যদিকে নিয়মিত বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ, রুবেল ও নাজমুলের বোলিং কোটা শেষ। এমনকি মাশরাফির নিজের কোটাও শেষ। ওভার ছিল শুধু মেহেদী হাসান মিরাজের।

মিরাজ এদিন ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়েছেন। যে কারণে মাশরাফি মিরাজকে শেষ ওভারে আনার সাহস পাননি। এনিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘প্রথম ইনিংসে বল যেভাবে স্পিন করেছে, তাতে আমাদের স্পিনারদের আরও আশা করেছিলাম। মিরাজ এই টুর্নামেন্টে সেরা বোলার, রিয়াদও (মাহমুদউল্লাহ) গত ম্যাচে খুব ভালো বোলিং করেছেন। আজ তারা আরেকটু ভালো করতে পারত।’

প্রতিপক্ষের স্পিনাররা ভালো বোলিং করলেও বাংলাদেশের স্পিনাররা কাঙ্খিত বল করতে পারেননি। মাশরাফি বলেন, ওদের যখন সাড়ে ৫ রান করে লাগে, তখন আমি মিরাজকে এনেছি। রিয়াদকে এনেছি। তখন কেউ যদি দুইটা ওভারও ভালো বোলিং করে দিত, তাহলে খুব ভালো হতো। একজন স্পিনার ভালো করলেও ৪৬ নম্বর ওভার থেকে আমি রুবেল ও মোস্তাফিজকে শেষ পর্যন্ত বোলিং করাতে পারতাম। তাহলে হয়তো ভারতের কাজটা অনেক কঠিন হতো। কারণ, ওদের বোলিংয়ে অনেক ভ্যারিয়েশন আছে।’

ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছিলেন দুইশ ৬০-৭০ হলেই ম্যাচে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। তার কথাই সত্য বলে প্রমাণিত হল। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে ২০-৩০ রান বেশি করতে পারলেই হয়তো ম্যাচের ফলাফলটা অন্যরকম হতে পারত।

আম্যাম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তসহ ম্যাচটা যে শেষ বল পর্যন্ত গড়িয়েছে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। 


আরো সংবাদ



premium cement
চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু

সকল