আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার জেফরি ভেন্ডারসে। পাশাপাশি তার বার্ষিক চুক্তির ২০ শতাংশ কেটে রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নাইট ক্লাবে রাত কাটানোর কারণেই এমন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
২৮ বছর বয়সী এই স্পিনার মাঠে পারফরমেন্স দিয়ে কখনো আলোচনায় আসতে পারেননি। তবে এবার বোর্ডের নিয়ম ভেঙে সমালোচনার মুখে পড়লেন।
নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় জেফরি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন। তবে এক বছরের মধ্যে আবার এমন কোনো কাণ্ড ঘটালে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে লঙ্কান বোর্ড।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসএলসি জানিয়েছে, 'জেফরির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মাত্রা বিবেচনা করে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড তাকে এটিও জানিয়েছে যে শাস্তি চলাকালীন ঘরোয়া ক্রিকেটে আর কোনো ভুল করলে শাস্তির মাত্রা আরো বেশি বাড়বে।'
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’ জানিয়েছে, গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় সেইন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পর বার্বাডোজে তৃতীয় টেস্ট খেলতে যায় শ্রীলঙ্কা। সে সময় জেফরি আরো তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে যান সেইন্ট লুসিয়ার একটি নাইট ক্লাবে। পরে অন্য তিন ক্রিকেটার যথাসময়ে টিম হোটেলে ফিরে এলেও জেফরি ফিরেন পরদিন।
প্রাথমিকভাবে এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল লঙ্কান বোর্ড। পরে যথাযথ তদন্ত ও বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয় এসএলসি।
পরে এই ঘটনার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জেফরি ভেন্ডারসে।
আরো পড়ুন : ইমাম-জামানের বিশ্বরেকর্ড
জিম্বাবুয়েতে একের পর এক কীর্তি গড়ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। গতকাল চতুর্থ ওয়ানডের উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫২ বলে ৩০৪ রান যোগ করেন ইমাম-জামান। এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া ও উপল থারাঙ্গা। ২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ওই দুই ওপেনার থারাঙ্গা ও জয়সুরিয়ার উদ্বোধনী জুটিতে ১৯১ বলে ২৮৬ রান করে বিশ্বরেকর্ডে করেন। ১২ বছর পর ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে নতুন বিশ্বরেকর্ডের জন্ম দিলেন ইমাম-জামান।
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে নেমে অবলীলায় রান তুলেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-জামান। ১০৬ বলে শতরান, ১৯০ বলে দ্বিশত ও ২৫০ বলে ৩০০ রানের জুটি গড়েন ইমাম-জামান। ইনিংসের ২৫২তম বলে স্কোর বোর্ডে ৩০৪ রান রেখে বিচ্ছিন্ন হন তারা। এতে ইমাম-জামান দু’জনই সেঞ্চুরি করেন। ১২২ বলে ১১৩ রান করে আউট হন ইমাম। তবে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন জামান। শেষ পর্যন্ত ২৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৫৬ বলে অপরাজিত ২১০ রান করেন জামান। শুধু উদ্বোধনী জুটিতেই নয়, পাকিস্তানের হয়ে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও এখন ইমাম-জামানের দখলে। পাকিস্তানের হয়ে যেকোনো উইকেটে এর আগে রেকর্ডটি ছিল আমির সোহেল ও ইনজামাম-উল হকের।
১৯৯৪ সালে শারজাহতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ২৬৩ রান করেছিলেন সোহেল-ইনজামাম জুটি। তবে গতকাল সোহেল-ইনজামামের রেকর্ড জুটিও ভাঙেন এরা।
ইমাম-জামানের ৩০৪ রানের জুটি বিশ্বরেকর্ডের তালিকায় চতুর্থ স্থানে। ওয়ানডে ক্রিকেটে জুটি বেঁধে সর্বোচ্চ রান বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পুল ‘বি’র ম্যাচে ক্যানবেরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৭২ রান যোগ করেন গেইল-স্যামুয়েলস জুটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখলে রয়েছে ভারতের। ১৯৯৯ সালে হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩১ রান যোগ করেন ভারতের শচিন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়।
একই বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে টনটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ৩১৮ রান যোগ করেন ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি ও রাহুল দ্রাবিড়। এ ম্যাচে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ৩৯৯ রান ১ উইকেটে। দলের অপর ব্যাটসম্যান আসিফ আলী ৫০ করে ছিলেন অপরাজিত। পরে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে অল আউট হয়ে যায় ১৫৫ রানে। ৪২.৫ ওভারে ওই রান করেন তারা। ফলে এ ম্যাচে পাকিস্তান জিতে যায় ২৪৪ রানের বড় ব্যবধানে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা