১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


সোয়া ৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী
-

সঙ্কট মোকাবেলায় চলতি অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) বিদেশ থেকে সোয়া তিন লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত ও দেশে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে গতকাল দু’টি প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর পেঁয়াজের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে ৩৩ ভাগ সংগ্রহকালীন ও সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন।
মন্ত্রী জানান, উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে পাশের দেশ ভারত থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে; কিন্তু সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা এবং অতিবৃষ্টি হওয়ায় পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ভারত সরকার গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের দাম টন-প্রতি ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক হারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকার পেঁয়াজের রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে ক্রম ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিসর, তুরস্ক, চীন, ইউক্রেন ও নেদারল্যান্ডস থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। তিনি আরো জানান, দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের আমদানি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি, এর গুদামজাতকরণ এবং উৎপাদিত পেঁয়াজের বাজারমূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৃষিমন্ত্রীকে একটি আধা সরকারি পত্র দিয়েছেন তিনি।
সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের অপর প্রশ্নের লিখিত জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি ছিল মাত্র ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে রফতানি আয় হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি জানান, পণ্যভিত্তিক রফতানি আয় বিবেচনায় যদিও ৮৪ ভাগ তৈরি পোশাক থেকে অর্জিত হয়েছে, তবুও রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ফলে গত অর্থবছরে বিশ্বের ২০২টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রফতানি হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পরকীয়া প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা : চেয়ারম্যান বরখাস্ত সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা রংপুরে রেয়াত পদ্ধতি চালুসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন নতুন কোচের সন্ধানে বিসিসিআই, তাহলে কি দ্রাবিড়ের বিদায়! থাইল্যান্ডে এ বছর হিটস্ট্রোকে ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছে : সরকার নির্বাচন শেষ হলে আরো সত্য ঘটনা সামনে আসবে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহজাহান রাণীনগরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার ৪ যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ, প্রাণে বাঁচলেন ৭ ক্রুসহ ১৯১ যাত্রী ভূরুঙ্গামারীতে ভটভটিতে উঠতে গিয়ে শিশু নিহত প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী দুমকীতে হত্যা মামলার আসামি বাবা-ছেলে গ্রেফতার

সকল