আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করবেন। ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বৈঠকে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়াও বৈঠকে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং স্থানীয় পর্যায়ের পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও থাকবেন এ বৈঠকে।
ইতোমধ্যে ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। এ বৈঠকের পরই মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন, ক’দিন-কিভাবে থাকবে তা নির্ধারণ করা হবে। এবার প্রথমবারের মতো গ্রামপুলিশ সদস্যদের ভোটকেন্দ্রের রাখা হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে সাধারণ এলাকার ভোটকেন্দ্রের পাহারায় একজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য, মেট্রোপলিটন এলাকার ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার ভোটকেন্দ্রে দুইজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহলে থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আচরণ বিধি প্রতিপালনে দেড় হাজারের বেশি জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। সবমিলিয়ে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য মাঠে নামছেন। এই নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এবার ভোটের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় এর বেশির ভাগই যাবে আইনশৃঙ্খলা রায়। সেেেত্র ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান বিবেচনা করেই অর্থ বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন এলাকায় কত দিন থাকবে তা-ও আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন।
৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের আগে-পরে চার দিন মাঠে থাকবেন। এ সময় নির্বাচনী অপরাধে সংপ্তি বিচার করবেন।
ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত মোট চার দিন মাঠে থাকবেন। আর আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন পরের দিন পর্যন্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা