পল্টনের ঘটনায় ৩ মামলায় গ্রেফতারকৃত ২৭ জনকে জামিন আবেদন নাকচ, কারাগারে প্রেরণ এবং ৩ কার্য দিবসের মধ্যে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন বানচাল ও দেশে অস্থিতিশীল, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পৃথক ৩ মামলায় ২৭ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড চান। অপর দিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন দেয়ার জন্য আবেদন করে। ঢাকার মহানগর হাকিম সরফুজ্জামান আনসারী ও রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাগণকে ৩ দিন কার্যদিবসের মধ্যে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
যাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে: রকিব আল মান্নান, সাইফুল আলম গজনবী চয়ন, মো: মোকশেদ আলম জুয়েল, ফরিদ হোসেন বাবু, জাহিদুল ইসলাম মামুন, মো: রুবেল বেপারী, ইকবাল কবীর, মো: আসাদুজ্জামান লিপু, মো: ইকবাল হোসেন, মো: জিরানী তালুকদার, মো: লিটন মজুমদার, মো: সোহাগÑ তারা ১২ জন পল্টন থানার ২৩ নম্বর মামলার। পল্টন মডেল থানার মামলা নম্বর ২২ এর আসামিরা হলেন: হারুন উর রশী, বাহারুল আলম বাহার, মো: আলমগীর হোসেন, ডাক্তার মো: নিজাম উদ্দিন, হোসেন আহমেদ, তারিকুল ইসলাম, মো: আরিফুজ্জামান, মো: খায়রুল কবীর কাজল। পল্টন মডেল থানার মামলা নম্বর ২১ এর মামলার আসামি হলেনÑ মো: আনিসুজ্জামান বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটি বিএনপি, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মুসা আহমেদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, এস এম নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা, কে এম তারিকুল ইসলাম আরিফ, মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মো: মহসিন মিয়া, নিহার হোসেন ফারুকসহ বেশ কিছু আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু।
আইনজীবীরা আদালতে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসেন। কে বা কারা অতর্কিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পুলিশ তাদের খুঁজে বের না করে বিএনপির লোকজনকে গ্রেফতার করে। যেহেতু গ্রেফতারকৃতরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত নয়, সে কারণে তাদের জামিন দেয়া প্রয়োজন। কারণ হিসাবে আইনজীবীরা আরো উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, আসামিরা গত ১৪ নভেম্বর বিএনপির কার্যালয়ে ও তার আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার লক্ষ্যে উপস্থিত ছিল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এর নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। উল্লিখিত আসামিরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল ও দেশে অস্থিতিশীল, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অসৎ উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তায় দাঙ্গা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সে জন্য তাদেরকে পৃথক ৩ মামলায় ৭ দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আসামিরা কার মদদে এ ধরনের কাজ করেছে। তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেফতারের জন্য রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা