নবান্ন উৎসবে বাধাদানের অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজকরা এ অভিযোগ করেন। এর আগে সকাল ৭টা ১ মিনিটে মো: হাসান আলীর বাঁশির সুরে দু’দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর শিল্পীরা গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করেন। সকাল পৌনে ১০টায় শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
বেলা ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৯টায় শেষ হয় দ্বিতীয় পর্ব। আজ দ্বিতীয় দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা উৎসব চলবে বলে আয়োজকরা জানান।
১৯ বছর ধরে বছরে একদিন নবান্ন উৎসব পালন হয়ে আসলেও এবার তা দুই দিন পালিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবারের সাথে ছুটির দিন মিলে যাওয়ায় তা দুই দিনব্যাপী করা হচ্ছে বলে জানান লায়লা হাসান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম, উৎসবের চেয়ারপারসন অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, ল্যাব এইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এ এম শামীম এবং উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিজন রামেন্দ্র মজুমদার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে লায়লা হাসান বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও ঝুঁকি রয়েছে। সব কিছু চিন্তা করে এই উৎসবের আয়োজন। কিন্তু তারপর উৎসব আয়োজনে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকে পিঠাপুলির নাম জানে না, চেনে না। উৎসবের প্রধান লক্ষ শেকড়ের সন্ধান দেয়া। নতুন প্রজন্মকে হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। কারণ আমাদের বেশির ভাগ লোকজ ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।
উৎসব উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালামও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান ‘সংস্কৃতিবান্ধব সরকার’ থাকার পরও আয়োজনে পদে পদে বাধা দেয়া হয়েছে। তার অভিযোগ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলেও চারুকলা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেনি।
তিনি জানান, দুই দিনের এই আয়োজনে গান, নাচ, আবৃত্তি ছাড়াও থাকবে টাঙ্গাইলের সংযাত্রা ও নড়াইলের পটগান। পাশাপাশি ভারতের আসাম থেকে আসা শিল্পীরাও পরিবেশনায় অংশ নেবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা