০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রিমান্ডের বিরুদ্ধে বাদীর আবেদন খারিজ

নোয়াখালীতে ধর্ষণ : গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

- ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে শুক্রবার মধ্যরাতে ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের জননীর গ্রেফতার হওয়া ভাগ্নে হারুন আর রশিদ, দেবর আবদুর মান্না ও মামত বোনের জামাই মো: সেলিমকে ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার নোয়াখালী ২ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ এ আদেশ দেন। তার আগে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বলেন, এ ঘটনার ভিকটিম ও মামলার বাদী আদালতে হাজির হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন আসামী তার দেবর মান্না, ভাগ্নে হারুন ও মামাত বোনের জামাই সেলিম এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় মর্মে নোটারী পাবলিকের হলফনামার মাধ্যমে তাদের রিমান্ড না মঞ্জুর করার আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রত্যেককে ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ঘটনার মূল হোতা ১ নম্বর আসামী জাকির মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তাদের নাম বলে। তিনি জানান, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্র করে ভিকটিমের সিট কেটে দিয়ে তাকে রিলিজ করে দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ফের ভর্তি করে।

ভিকটিম বলেন, যারা তার ঘরে প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে জাকির হোসেনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। অন্যদেরকে দেখলে তিনি চিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তার আত্বীয় হারুন, মান্না, সেলিম কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবী করেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার না করে তার আত্বীয়দের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন।

এরআগে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন জহির রবিবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন নোয়াখালীর ২নং আমলী আদালতের বিচারক নবনীতা গুহের আদালতে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। শনিবার গ্রেফতার করা হয় ভিকটিমের ভাগ্নে হারুন, দেবর মান্না ও মামাত বোনের জামাই সেলিমকে।


আরো সংবাদ



premium cement