অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারনী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য। নবম ও দশম সংসদে টানা দুবারের এমপি। অবশ্য দশম সংসদে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতিতে এতটাই নিমগ্ন ছিলেন যে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা ভাবেননি। বিয়েথা কিছুই করেননি। রাজনীতি করেই জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে হাজির।
সাহারা খাতুনের আয়ের একমাত্র উৎস হলো পারিতোষিক। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, কৃষিখাত, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, পেশা ও চাকরি থেকে কোনো আয় নেই তার। শুধু উত্তরায় রাজউক থেকে প্রাপ্ত একটি প্লট রয়েছে তার নামে। যার মূল্য ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৬ টাকা। মাত্র ৫ তোলা স্বর্ণ রয়েছে, যার মূল্য দুই হাজার ৫ শ’ টাকা ধরা হয়েছে। ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৬২ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে তার। হলফনামাতে পেশায় নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিলেও বছরে পেশা থেকে কোনো আয় নেই তার।
অন্য দিকে নগদ ও ব্যাংকে জমা মিলে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮ লাখ টাকা বলে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের হলফনামাতে উল্লেখ করেছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাহারা খাতুন ঢাকা-১৮ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাহারা খাতুন হলফনামাতে উল্লেখ করেছেন, তার তেমন কোনো কিছু নেই। স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি, অকৃষি জমি, দালান-আবাসিক ও বাণিজ্যিক বা অ্যাপার্টমেন্ট, চাবাগান, মৎস্য খামার কোনো কিছুই নেই। তবে পৈতৃক সূত্রে যৌথ মালিকানায় তার কিছু সম্পদ আছে। বছরে তিনি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পারিতোষিক পান। আর সেগুলো হলো ৩৪ তেজকুনিপাড়াতে এক লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, ৩৬ তেজকুনিপাড়াতে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দালান, শ্রীপুর, গাজীপুরে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট, আড়াই হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী এবং আড়াই হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে তার নিজ নামে।
হলফনামায় সাহারা খাতুন বলেছেন, আমি একক বা যৌথভাবে বা আমার ওপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য থেকে কোনো ঋণ গ্রহণ করি নাই। এ ছাড়া আমি একক বা যৌথভাবে বা আমার ওপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডাইক্টের বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে ওই সব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ নেইনি। তার নামে কোনো দায়দেনা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাহারা খাতুনের হলফনামার তথ্যানুযায়ী সে সময় বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান ভাড়া থেকে তার বার্ষিক আয় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা। মন্ত্রী হিসেবে ভাতা থেকে আয় ৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। আর সুদ থেকে ২৮ হাজার ৯৮৪ টাকা ছিল। অস্থাবর সম্পদ ছিল ২১ লাখ ১৬ হাজার ৯০২ টাকার, যানবাহনের মূল্য ছিল ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টাকা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা