ফেনীতে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। গত দুইদিনে জেলার ৬ উপজেলায় ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাশকতার বিভিন্ন মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ফেনী মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও তৎপর রয়েছে।
ইতোমধ্যে রোববার ও সোমবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ৮ জন, ফেনী মডেল থানায় ৩১ জন, দাগনভূঞা থানায় ৬ জন, সোনাগাজী মডেল থানায় ১৩ জন, ছাগলনাইয়া থানায় ১২ জন, ফুলগাজী থানায় ৩ জন ও পরশুরাম মডেল থানায় ৪ জন আটক রয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে শহরের রামপুর এলাকার সৈয়দ বাড়িতে জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেনের বাসায় যৌথ অভিযান চালায় মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানে তাকে না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুরেও হানা দেয় পুলিশ।
একইদিন রাতে শহরের আদালতপাড়া এলাকায় যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খোন্দকারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। শহরের রামপুর, শাহীন একাডেমী এলাকা, শান্তি কোম্পানী রোড, পাঠানবাড়ী রোড, ফলেশ্বরে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযানকালে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক তাজুল ইসলাম পাভেলসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, নাশকতা মামলায় ফেরারি বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের আটক করতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ রাশেদ খান চৌধুরী জানান, যুবদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত জানান, সরকারি দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় ও বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তাদের এ চেষ্টা বুমেরাং হবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টার অভিযানের নিন্দা জানিয়ে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা