২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নৌকার টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী পিরোজপুর আ’লীগের পাঁচ নেতা

নৌকার টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী পিরোজপুর আ’লীগের পাঁচ নেতা - সংগৃহীত

উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ৩টি আসন। পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) এ তিন উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ১২৭ পিরোজপুর-১ নম্বর আসন। ২টি পৌরসভা ও ২৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ২ হাজারের বেশি।

এ আসনে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম। দুইবারের এমপি জেলা কমিটির সভাপতি একেএমএ আউয়াল জোর চেষ্টা চালিয়েও মনোনয়ন পাননি।

এই দুইজনের পাশাপাশি এ আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এবং বর্তমানে জেলা কমিটির সহসভাপতি অধ্যক্ষ শাহ আলম। জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গোলাম হায়দার (জি হায়দার), ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইছাহাক আলী খান পান্না ও জেলা কমিটির সহসভাপতি পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক।

একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

২০০৮ সালে এরশাদের জাপার সাথে জোট করে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করলে তখন মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোস্তফা জামাল হায়দার। তখনও দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে একেএমএ আউয়াল বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং ১ লাখ ১ হাজার ৭১০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

জেলা কমিটির উপদেষ্টা গোলাম হায়দারও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে অধ্যক্ষ শাহ আলম, হাবিবুর রহমান মালেক ও ইছাহাক আলী খান পান্না দলের টিকিট না পেলেও শ.ম রেজাউলকে সমর্থন দিয়েছেন।

জেলার দক্ষিণের উপজেলা মঠবাড়িয়া। একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ১২৯ নং (পিরোজপুর-৩) আসনটি গঠিত। এই আসনে রয়েছে একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়ন। পিরোজপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার জন। এখানে নৌকার প্রার্থী নেই। মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এরশাদের জাতীয় পার্টির নেতা বর্তমান এমপি ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজি।

তিনি ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি, ২০০১ সালে বিএনপি ও ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি হন। ২০০৮ সালে রুস্তুম আলী ফরাজিকে হারিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডাঃ আনোয়ার হোসেন এমপি হয়েছিলেন। এবার তিনি দলের টিকিট পাননি। দলের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন অন্তত আরো ৫ নেতা। তারা হলেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, পৌরসভার মেয়র উপজেলা কমিটির সভাপতি রফিউদ্দিন ফেরদৌস, জেলা কমিটির সহসভাপতি ডাঃ নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভিন ডলি।

তবে দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনজন। তারা হলেন সাবেক এমপি ডাঃ আনোয়ার হোসেন, ডাঃ নজরুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান। প্রার্থী হওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে আশরাফুর রহমান গত ২৬ নভেম্বর পদত্যাগও করেছেন।

মঠবাড়িয়ার এ নেতারা ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজিকে মেনে নিতে নারাজ। উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বড় একটি অংশও ফরাজির পক্ষে কাজ করতে পূর্ব থেকেই অনীহা প্রকাশ করেছে।

তাদের দাবি ফরাজি গত পাঁচ বছরে তাদের নেতাকর্মীদের মামলা হামলা করে হয়রানি করেছেন।

তবে এমপি ফরাজি এসকল অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

সকল