২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উজিরপুরে ক্লিনিক মালিক ভূয়া চিকিৎসক রেজাউলের উপচিকিৎসা

-

বরিশালের উজিরপুরে কথিত চিকিৎসক রেজাউল করিমের অপচিকিৎসায় আব্দুল লতিফ বালী (৮৫) নামে এক বৃদ্ধ মৃত্যু শয্যায়। সে উপজেলার সাতলা এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন সেখানের চিকিৎসকরা।
ঘটনাটি উপজেলার উপজেলার পশ্চিম সাতলা এলাকায়। এ ঘটনায় ওই ভূয়া চিকিৎসক এ.পি মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে গত রোববার ভুক্তভোগীর পুত্র রফিকুল ইসলাম বেনজীর বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধ লতিফ বালী তার শারিরিক সমস্যার কারনে উপজেলার পশ্চিম সাতলা এলাকার এ.পি মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যায়। সেখানে বৃদ্ধ লতিফকে ভর্তি করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে কথিত চিকিৎসক রেজাউল জানায় তার (লতিফ) মূত্রনালীতে পাথর হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করা প্রয়োজন। বৃদ্ধ লতিফ ওই কথিত চিকিৎসক রেজাউলের কথায় বিশ্বাস এনে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে অপারেশন করাতে সম্মতি জানায়। পরেরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধ লতিফকে অপারেশনের জন্য ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নেয় কথিত চিকিৎসক রেজাউল। এ সময় বৃদ্ধ লতিফ ভয়ে অপারেশন না করার জন্য রেজাউলকে অনুরোধ করে। কিন্তু রেজাউল তাতে কর্নপাত না করে জোরপূর্বক অচেতননাশক ইনজেকশন দিয়ে অপারেশন করেন। এ সংবাদ শুনে বৃদ্ধ লতিফের পুত্র রফিকুল ইসলাম বেনজীর ওই ক্লিনিকে ছুটে যায়। সেখানে কয়েকঘন্টা অবস্থান করার পরে লতিফের জ্ঞান ফিরলে সে তার পুত্রকে জোরপূর্বক অপারেশন করার বিষয়টি জানায়। ভুক্তভোগী বৃদ্ধ লতিফের পুত্র রফিকুল ইসলাম বেনজীর জানান, পরেরদিন ওই ক্লিনিকে সে তার পিতাকে মূমুর্ষূ অচেতন অবস্থায় দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার বাবার অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে (আইসিইউ) তে ভর্তি করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বেনজীর বলেন, মূত্রনালিতে পাথরের অপারেশন করতে গিয়ে রেজাউল তার বাবার পেটের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন নারি কেটে ফেলেছে। যার ফলে তার বাবা এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বেনজীর আরও জানান, রেজাউল করিম একজন ভূয়া চিকিৎসক। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। অথচ নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে প্রচার করে গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের ভুল চিকিৎসা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন ভুল চিকিৎসা দিয়ে গ্রামের মানুষদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, ভূয়া চিকিৎসক রেজাউলের কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে অনেক গৃহবধূ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে সম্মানহানির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়না। অভিযুক্ত কথিত চিকিৎসক রেজাউল করিম বৃদ্ধ লতিফের অপারেশনের কথা স্বীকার করে জানান, তিনি সঠিকভাবেই অপারেশন করেছেন। তার অপারেশনে বৃদ্ধ লতিফের কোনো ক্রটি হয়নি। এছাড়া ২০১৪ সালে রাজধানীর উত্তরাস্থ পিচ-ব্লেন্ড বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিবিএস পাশ করেছেন। তার অপারেশন করার বৈধতাও রয়েছে এবং ক্লিনিকটি (লাইসেন্স নম্বর ৪৯৬৯) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদিত।


আরো সংবাদ



premium cement
কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম

সকল