ধামইরহাটে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার
- ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নওগাঁর ধামইরহাটে রাস্তা পাকাকরণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবাদে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠলে নিম্নমানের খোয়া অপসারণের জন্য ঠিদাদার বরাবর চিঠি দিয়েছে এলজিইডি ধামইরহাট, নওগাঁর প্রকৌশলী মো: আলী হোসেন।
জানা গেছে, এ রাস্তা দিয়ে এলাকার সর্ববৃহৎ ধামইরহাট হাটে আশপাশের গ্রাম এবং পাশের পতœীতলা, মহাদেবপুর, বদলগাছি ও সাপাহার উপজেলার হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে উপজেলার ধামইরহাট-বিহারীনগর জিসি রোডের ২হাজার ৭০ মিটার মেরামত ও পাকাকরণ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়।
দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদার মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ। এ রাস্তা মেরামত এবং পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু কাজটি নওগাঁর ঠিকাদার মো: খলিলুর রহমান কিনে নেয়। বর্তমানে তিনি এ কাজ করছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে রাস্তার অনেক জায়গায় নিম্নমানের ইটের খোয়া বিছানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ধামইরহাট পৌরসভায় কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদিরুল হক মুক্তা বলেন, অনেক নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ করলে রাস্তাটি কিছু দিনের মধ্যে আবারো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তিনি তদারকি সংস্থাকে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান। তালঝাড়ী গ্রামের আজিজুল হক বলেন, তার দোকানের সামনে দিয়ে এ রাস্তা চলে গেছে। পা দিয়ে ডলা দিলে রাস্তায় বিছানো ইটের খোয়াগুলো গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে এরকম ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে তার দোকানের সামনে। একই গ্রামের গোপালশীল বলেন, নিম্ন খোয়া রাস্তায় বিছানো হয়েছে। সেগুলো না তোলা পর্যন্ত আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব। তালঝাড়ী আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বাচ্চু বলেন, সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ করলেও নিম্নমানের কাজের কারণে জনগণের কোনো উপকারে আসবে না।
ঠিকাদার সংস্থার মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো: লিটন বলেন, যদিও কাজটি তিনি অন্যকে দিয়েছেন। তারপরও তার লাইন্সেসে কাজটি হচ্ছে। কাজে অনিয়ম হচ্ছে এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে যদি কোনো অনিয়ম হয় তা সাথে সাথে শুধরে নেয়া হবে। কাজের মান খারাপ করা যাবে না। এক কথায় তার লাইন্সেসে তিনি কোনো দাগ লাগাতে চান না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ধামইরহাট, নওগাঁর প্রকৌশলী মো: আলী হোসেন বলেন, রাস্তাটি ভিআআরপি প্রকল্পে অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এতে কোনো কোনো জায়গায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছেন। তাছাড়া খোয়া করার জন্য নিম্নমানের যেসব ইট মজুদ রাখা হয়েছিল সেগুলো সরানো জন্য্য পত্র দেয়া হয়েছে। বিষয়টি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা