২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুষ্টিয়ায় শতবর্ষী প্রাথমিক বিদ্যালয় হারিয়ে যাচ্ছে

-

কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার প্রথম প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়টি। বাংলার মেয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য ১৯১৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয়টি ভারতের নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে শতবর্ষী এ বিদ্যালয়টি অযতœ, অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে কালের সাক্ষী হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয়টি উথলী গ্রামের মাঝখানে স্থাপিত হওয়ায় এ স্থানটি এখনো পুরনো গার্লস স্কুলপাড়া হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এ বিদ্যালয়টি সংরক্ষণ করে এখানে একটি লাইব্রেরি নির্মাণের দাবি করেছেন স্থানীয় সুধীজন।
উথলী গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আবুল হাসান রাঙা মিয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘তৎকালীন সময়ে উথলী গ্রামে এ বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। আশপাশের মধ্যে এ গ্রামেই ছিল একটি স্কুল, যেখানে শুধুমাত্র মেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে জমিদার বংশের মেয়েরা এসে লেখাপড়া করত। এ বিদ্যালয়টি নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি গ্রামের মুরব্বিদের কাছ থেকে। তবে আজ সবই স্মৃতি। তা ছাড়া ভবনসহ জমিটি বর্তমান উথলী গার্লস স্কুলের নামে থাকায় সাধারণ মানুষ কোনো কিছু করতে পারছে না। তবে সরকারিভাবে যদি পরিত্যক্ত এ ভবনটি পাঠাগারের ব্যবস্থা করা হয়, তা হলে এ পুরনো স্কুলটি তার ঐতিহ্য ধরে থাকতে পারবে। পাশাপাশি এলাকার যুবক ও প্রবীণরা এখানে অবসর সময়ে বই পড়তে পারবে।’
প্রবীণরা আরো জানান, ১৯৮০ সালের দিকে এ বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি মেয়েদের আরবি শিক্ষা দেয়া হতো।
উথলী গ্রামের একজন যুব সংগঠক নিলয় হাসান। তিনি এ বিদ্যালয়টিকে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন রূপে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘পুরনো এ বিদ্যালয়টি আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য স্মৃতি। আমাদের গ্রামে তেমন কোনো ভালো পাঠাগার নেই, যেখানে গিয়ে এলাকার যুবক বা প্রবীণরা বই পড়বেন। যদি এ পুরনো বিদ্যালয়টি সংস্কার করে একটি পাঠাগার নির্মাণ করা যায়, তা হলে বিদ্যালয়টি একদিকে যেমন তার ঐতিহ্য বহন করবে, অপর দিকে গ্রামের তরুণ-যুবকরা বাজে আড্ডা না দিয়ে পাঠাগারে বসে অবসর সময়ে বই পড়তে পারবে।’
পরিত্যক্ত এ বিদ্যালয়টির স্বত্বাধিকারী উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘পুরনো ভবনটি অনেক দিন থেকে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে স্মৃতিবিজড়িত এ স্কুলটির ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য একটি পাঠাগার নির্মাণের ব্যবস্থা করব।’
এ প্রসঙ্গে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘উথলী গ্রামের মাঝের পাড়ায় একটি পুরনো বিদ্যালয় আছে, এটি আমি জানি। এটি উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নামে থাকায় সাধারণ মানুষ কোনো কিছু করতে পারছে না। তবে যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়, তা হলে ওখানে একটি পাঠাগার নির্মাণ করলে ভালো হবে। আর এর জন্য আমার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল