২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কাঁঠালিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানুষ নয় গরুর বাস

-

হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গোয়ালঘর বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় জমি আছে ঘর নেই হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘরে মানুষ নয় গরু বসবাস করছে। কাঁঠালিয়া উপজেলার আরোাবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছিটকি এলাকায় আশ্রাব আলী সিকদারের বাড়িতে সরকারি বরাদ্দের এ অপব্যবহার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে আশ্রাব আলী সিকদারের জামাতা মো: নজরুল ইসলাম যোগসাজশে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর এক লাখ টাকার একটি ঘর তার (নজরুল) নামে বরাদ্দ নেয়। নজরুলের নামে জমি না থাকলেও সরকারি ঘরখানা নজরুল তার শ্বশুরের বাড়িতে, শ্বশুরের বড় দোতলা কাঠেরঘরের সামনেই নির্মাণ করে। ঘরের চালের কাজ সমাপ্ত হলে তিন মাস আগে ঘরটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নজরুল বুঝে নিয়ে তাতে গরু পালন শুরু করে। টয়লেট এবং ঘরের বেড়ার বাকি মালামাল দিয়ে নজরুল তার শ্বশুরের ঘরের সাথে আরেকটি গোয়ালঘর ও বাড়ির সামনে একটি দোকানঘর নির্মাণ করে।
নজরুল উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের মৃত মো: সোনামউদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে নজরুল তার শ্বশুরবাড়িতে তার পরিবার নিয়ে একত্রে বসবাস করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সরেজমিন না গিয়েই বাছাইকাজ সম্পন্ন করে ঘরের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে সরকারের মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জামাতা নজরুল ইসলাম জানায়, উপজেলা পরিষদে ঘরের বরাদ্দ এলে অনলাইনের মাধ্যমে তিনি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দফতর তার নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ দেয়। তাতে গরু পালন কেন এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে আরোাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামরুজ্জামান লিটন জানান, ঘর বরাদ্দ দেয়ার ক্ষমতা আমাদের না, উপজেলা প্রশাসনের। আমরা শুধু আবেদনগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তারা কাকে কিভাবে ঘর দিয়েছে তা আমি জানি না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন জানান, সরেজমিন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement