২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাবখান চ্যানেলের ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে ঝালকাঠি-শেখেরহাট সড়ক

-

ঝালকাঠি উপজেলা সদরের সাথে শেখেরহাট ইউনিয়নের একমাত্র প্রবেশ পথ গাবখান চ্যানেল নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ছয় কিলোমিটারের এই সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি-শেখেরহাট সড়কটি গাবখান চ্যানেলের ভাঙনের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদফতরের মালিকানাধীন জায়গার ওপর নির্মিত এ সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ করছে এলজিইডি। গাবখান চ্যানেল দিয়ে ভারী নৌযান চলাচল করায় পানির স্রোতে সড়কটির এ বেহাল অবস্থা। এ সড়ক দিয়ে ঝালকাঠি থেকে শেখেরহাট হয়ে পিরোজপুরের কাউখালী, আমিরাবাদ, স্বরূপকাঠি এবং বেকুটিয়া থেকে পিরোজপুর অল্প সময়ে যাতায়াত করা যেত। কিন্তু বেহাল দশার কারণে এসব রুটের বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও নদীভাঙন রোধ করতে না পারায় এ বরাদ্দ কোনো কাজে আসছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদীভাঙান রোধে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এর বাস্তবায়ন ঘটবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, প্রতিদিন নদীতে ভেঙে যাওয়ায় এ সড়কটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। গাবখান চ্যানেল দিয়ে ভারী নৌযান চলাচলে পানির স্রোতে সড়কটি নদীতে বিলীন হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে আগে ব্যবস্থা না নিলে সড়কটি রক্ষায় বন্যা প্রকল্পের বরাদ্দের তিন কোটি টাকা কাজে লাগছে না।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আতাউর রহমান বলেন, আমাকে এলজিইডি এ বিষয় অবগত না করলেও ইতোমধ্যেই আমি এই সড়কের ৩৭০০ মিটার ভাঙন রোধের প্রস্তাব পাঠিয়েছি পানি উন্নয়ন বোর্ডে যা বিবেচনায় আছে। স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement