২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আত্রাইয়ে ভরা মওসুমে মাছ নেই হতাশায় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা

-

নওগাঁর আত্রাইয়ে ভরা মওসুমে দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র সঙ্কটে শুঁটকি উৎপাদনকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। যে সময় শুঁটকি উৎপাদনে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের ব্যস্ত সময় পার করার কথা। সে সময় শুঁটকি তৈরির চাতালগুলো গুটিয়ে রাখতে দেখা যাচ্ছে। ফলে এবারে আত্রাইয়ে শুঁটকি উৎপাদন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই অনেক চাটাইগুলো দিনের পর দিন পড়ে থাকছে মাছবিহীনভাবে।
জানা যায়, উত্তর জনপদের মৎস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে আত্রাইও একটি। প্রতিদিন শত শত টন মাছ আত্রাই থেকে রেল, সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়। সে অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদনেও আত্রাইয়ের যথেষ্ট প্রসিদ্ধ রয়েছে। আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাস শুঁটকি তৈরির মূল সময়। এ সময়ে নদী ও খালবিলে প্রচুর পরিমাণ দেশী মাছ ধরা পড়ে। আর সেই মাছের শুঁটকি তৈরি করে রাজধানী ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নিলফামারী, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজুপরসহ দেশের ১৫-২০ জেলাতে বাজারজাত করেন আত্রাইয়ের শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। আর এ মাছের শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে শতাধিক পরিবার। আত্রাইয়ের ভরতেঁতুলিয়া গ্রাম শুঁটকি তৈরিতে বিশেষভাবে খ্যাত। এ গ্রামের শতাধিক শুঁটকি ব্যবসায়ী এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত। আগে শুধু বর্ষা মওসুমে শুঁটকি তৈরি করে তারা পরিবারের সারা বছরের ভরণপোষণ নিশ্চিত করতেন। কিন্তু এবার মাছের অভাবে শুঁটকি তৈরি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কাঁচা মাছের আমদানি কম, এবং দাম বেশি হওয়ায় শুঁটকির বাজারে ধস নেমেছে। সব কিছু মিলিয়ে তাদের এবারে চালানপ্রতি লাভের স্থলে গুনতে হচ্ছে লোকসান।
ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের বিশিষ্ট শুঁটকি ব্যবসায়ী মঞ্জুর মোল্লা বলেন, অন্যান্য বছর শুঁটকি বিক্রি করে আমরা যথেষ্ট লাভবান হতাম। এবার ভরা মওসুমে মাছ না পেয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছি। কাঁচা মাছের আমদানি কম, মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা এবার শুঁটকি তৈরি করতে সাহসই পাচ্ছি না। এ পরিস্থিতে শুঁটকি তৈরি করলে প্রতি চালানেই আমাদের অনেক লোকসান হবে। এ জন্য অন্যান্যবার শুঁটকি মওসুমে শুঁটকি তৈরির যে ধুম পড়ত এবার তা নেই। আমরা অনেকটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। এ জন্য শুঁটকির চাটাইগুলোও ভরা মওসুমে খালি পড়ে থাকছে।


আরো সংবাদ



premium cement