২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেতাগী-হোসনাবাদ চার কিলোমিটার সড়কে পাঁচ শতাধিক গর্ত

বেতাগী-হোসনাবাদ সড়কে এমন অনেক গর্ত হয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে : নয়া দিগন্ত -

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বেতাগী-আমড়াগাছিয়া-হোসনাবাদ চার কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কে পাঁচ শতাধিকের বেশি গর্ত রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক বড় গর্তে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সড়কটি বরগুনা থেকে চলে আসা বেতাগী-সুবিদখালী মহাসড়কের পাশ থেকে শুরু হয়ে আমড়াগাছিয়া হয়ে চার কিলোমিটার দক্ষিণে হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশাবাজারে মিলিত হয়েছে। উপজেলার এ সড়কটি বর্তমানে মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এমন দুরবস্থার মধ্যে ও বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষ ও শত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। আর বৃষ্টির সময় সড়কটি ফসলের মাঠে পরিণত হয়। এমন কোনো দিন নেই যে দুর্ঘটনা না ঘটছে। পাঁচ কিলোমিটার সড়কটিতে রয়েছে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক গর্ত। যেগুলোর কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় সাধারণ পথচারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেন সাব ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিম্নমানের কাজ করায় সড়কটি খানাখন্দে ভরে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; যার কারণেই নির্মাণের দুই বছর যেতে না যেতেই অবর্ণনীয় হয়ে উঠেছে রাস্তার পরিস্থিতি।
হোসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, রাস্তাটির দুরবস্থা অবর্ণনীয়। তবে আমার মতে, রাস্তা নির্মাণের সময় যদি দুই পাশে পানি চলাচলের জন্য প্রতি কিলোমিটারে পাইপ কালভার্ট নির্মাণ করা হতো তবে এত তাড়াতাড়ি এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হতো না। অত্র ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান জামাল বলেন, রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সময় হঠাৎ গর্ত হয়ে রাস্তা ধসে পড়ে। এর ফলে রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকানের কাছে রাস্তাটির এমন দুরবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অত্র ইউনিয়ন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছি। এ সরকারের আমলে এই ইউনিয়নে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তা বিগত দিনে কোনো সরকারের আমলে কোনো জনপ্রতিনিধি করতে পারেনি। তবে রাস্তাটির ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। গত মাসে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সামান্য বরাদ্দ দিয়ে বড় খাদগুলো মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু এক দিকে অধিক বৃষ্টি অন্য দিকে পাশে মাটি না থাকায় আবার খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া এ নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনও করেছি। তবে এ অর্থবছর কোনো সরকারি বরাদ্দ পেলে প্রথম এই সড়কটি পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement