০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তিন হাজার কিমি দূর থেকে ব্রেন অপারেশন

- ছবি : সংগৃহীত

৫ জি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিপ্লব নিয়ে এসেছেন চীনের চিকিৎসকরা। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা তিন হাজার কিমি দূরে অবস্থান করা রোগীর ব্রেন অপারেশন করেন। এর আগে ভারতে ৩২ কিমি দূরে অবস্থান করে এ ধরনের একটি অপারেশন হয়েছিল। তবে তিন হাজার মাইল দূর থেকে ব্রেন অপারেশনের ঘটনা এই প্রথম।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ের প্লাগ হাসপাতালের বসে এ অপারেশন করেন ডাক্তার লিং ঝিপেই। গত শনিবার অপারেশন করার সময় ওই রোগীর অবস্থান ছিল তিন হাজার কিলোমিটার দূরের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেইনান প্রদেশের এক ক্লিনিকে। তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। ডা. লিঙ এই দূরত্বে অবস্থান করেই ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর ব্রেনে একটি নিউরোস্টিমুলেটর স্থাপন করেন। তার এ অপারেশন পুরোপুরি সফল হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রযুক্তি বিষয়ক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েই দ্বারা ডেভলপ করা পরবর্তী প্রজন্মের ফাইভ জি নেটওয়ার্কের একটি কম্পিটার ব্যবহার করে ডা. লিং ঝিপেই এ অপারেশনটি করেছিলেন। এর মাধ্যমে প্রায় রিয়েল-টাইম সংযোগ পাওয়া যায়। ডা. লিং বলেন, এই ফাইভ-জি ব্যবহারের ফলে খুব কমই অনুভব করা গেছে যে, রোগী এত দূরে অবস্থান করছে। এর আগে ফোর জি ব্যবহার করে এ ধরনের অপারেশনগুলো করা যেত না। কারণ তাতে রিয়েল টাইম পাওয়া না যাওয়ায় ব্যাপক ঝুঁকির আশঙ্কা ছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে ফাইভ-জি ব্যবহারের কারণে নতুন একটি দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ডাক্তাররা অনেক দূরে অবস্থান করেও যুদ্ধক্ষেত্র বা বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে এ ধরনের বড় অপারেশনগুলো করতে পারবেন।

চীনে এ বছরের জানুয়ারি থেকেই অপারেশনে ফাইভ-জি ব্যবহার শুরু হয়। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের ফুজিয়ান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক ডাক্তার দূরে অবস্থান করেই একটি প্রাণীর লিভার অপারেশন করেছিলেন। আর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বেইজিংয়ের এক ডাক্তার দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের শেনজেনয়ের একটি হাসপাতালে মানুষের ফুসফুসে অপারেশন করেছিলেন। তবে ব্রেনের অপারেশনের ঘটনাটি পুরো বিশ্বেই প্রথম।

আরো পড়ুন : প্রযুক্তি স্নায়ুযুদ্ধ : বিপর্যয়ের মুখে হুয়াওয়ে
গার্ডিয়ান, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে বেইজিংয়ের যে প্রযুক্তিগত স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল, তাতে নতুন একটি মাত্রা যুক্ত হয়েছে। চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার গ্রেফতারে এ নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে । এ পদক্ষেপের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে চীনের শীর্ষ টেলিকম কোম্পানিটি। কারণ যদি ওয়াশিংটনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় যে, তারা ইরানের কাছে টেলিকম যন্ত্রাংশ বিক্রির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছে, তাহলে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য বাজারগুলোয় প্রবেশাধিকার হারাবে হুয়াওয়ে। 

এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স ইয়ংগার বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের টেলিকম নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা দরকার। গত বুধবার বলা হয়, ব্রিটিশ টেলিকম (বিটি) তাদের ইই মোবাইল নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির খোঁজ পেয়েছে। 

২০১৫ সাল থেকে ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এরিকসন, নকিয়া; দেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী জেডটিই এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ টেলিকম নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি কোম্পানি হুয়াওয়ে। তবে কয়েক বছর ধরে সন্দেহ করা হচ্ছিল, অন্য রাষ্ট্রের টেলিকম সিস্টেম ট্যাপ করা বা তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে কোম্পানিটি চীনা সরকারের পক্ষ থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে। এর ফলে ‘ফাইভ আই’ গোয়েন্দা শেয়ারিং দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তাদের দেশে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করে। ফাইভ আইয়ের অন্য দু’টি দেশ হলো যুক্তরাজ্য ও কানাডা। 

তবে মেং ওয়ানঝৌকে কানাডায় গ্রেফতার করার বিষয়টি পুরো বিষয়টিকে অন্যরকম একটি গতি দিয়েছে। মেং শুধু হুয়াওয়ের সিএফও ও ডেপুটি চেয়ারওম্যানই নন, সাথে সাথে তিনি হুয়াওয়ের ৭৪ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেনফেইয়ের মেয়েও। ১৯৮৭ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করার আগে রেড আর্মির আইটি বিভাগে ভূমিকা রাখার অভিযোগে পশ্চিমা সংস্থাগুলো রেনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে। 
গত অক্টোবরে ব্লুমবার্গে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়, অ্যাপল ও অ্যামাজনের ব্যবহৃত সার্ভারে পর্যবেক্ষণকারী চিপস স্থাপন করেছে চীন। বিষয়টি সব কোম্পানিই ব্যাপকভাবে অস্বীকার করে। তবে একটি গবেষণায় দেখা যায়, যে দেশগুলো টেলিকম নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, সে দেশগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে, তারই অংশ হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন মেং। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের আরেকটি টেলিকম কোম্পানি জেডটিইর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ইরানের কাছে টেলিকম যন্ত্রপাতি বিক্রি করায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দেশটির আরো কিছু গোয়েন্দা সংস্থা জেডটিইর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক প্রান্তিক সীমার মধ্যেই সংস্থাটি ১০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিল। এবার সেটিরও বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেল ।


আরো সংবাদ



premium cement
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ভিসা জটিলতায় আয়ারল্যান্ড সিরিজে অনিশ্চিত আমিরের জামালপুরে অ্যাজেন্টদের মারধরের অভিযোগ, আহত ৩ ট্রাম্পের সাথে যা ঘটেছিল পর্ন তারকা স্টর্মির মধ্য বয়স থেকে যে অভ্যাসগুলো আপনার আয়ু বাড়াবে শাল্লায় ২ চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কারাগারে ৪ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রাফায় ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে : রাশিয়া মিরসরাইয়ে জাল ভোট, ৩ নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ হজযাত্রীদের জীবন আল্লাহর রাস্তায় উজাড় করে দিতে হবে : জামায়াত আমির

সকল