জাপানের ওসাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪১ জন। সোমবার জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই শহরে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
জাপানের অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানায়, ভূমিকম্পে একজন ব্যক্তির হার্টবিট বন্ধ হয়ে গেছে এবং ২য় আরেকজনেরও বাঁচার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নিহত ২ জনের মধ্যে একজন ৯ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীও রয়েছে। তাকে তার বিদ্যালয় চত্বরে মৃত অবস্থায় দেখা গেছে। ওসাকার আইকিয়েদা স্কুল চত্বরের আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক শিশু আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় অনেক ভবনের কাঁচ ভেঙে গেছে এবং কনক্রিটের দেয়ার ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের ঘটনায় ওসাকায় ট্রেন এবং সাবওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে জাপান আবহাওয়া এজেন্সি প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর জানালেও পরে দেশটির অগ্নি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৯ বলে নিশ্চিত করে।
জাপান সরকারের মুখপাত্র ইউশিহিদে সুগা বলেছেন, আমরা এখনো ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাইনি।
ঘরে ফিরে যাবে মার্কিন সেনারা, উদ্বিগ্ন জাপান
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ অবিলম্বে শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ট্রাম্প-কিম শীর্ষ সম্মেলনকে শান্তির পথে মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসঙ্ঘ। এ সম্মেলনকে সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে ভালো কিছু অর্জনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখছে ইইউ।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধে ট্রাম্পের ঘোষণায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছে জাপান।
ট্রাম্প কিম শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে অর্জন হয়েছে অনেক কিছু। উত্তর কোরীয় সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন রাজী হয়েছেন পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে। আর কিম বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, সম্মেলন শেষে তা বন্ধ করার ঘোষণাও দেন ট্রাম্প।
এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হবে না, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সেনারা ঘরে ফিরে যাবে। তবে দক্ষিণ কোরীয়রা এ সিদ্ধান্তে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অনেকেই সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া শুরু হয়েছিলো উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলার জন্য। তারা যদি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হয় তবেতো আর এ মহড়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রতিবেশী দেশ জাপানও কিছুটা উদ্বিগ্ন ট্রাম্পের এমন ঘোষণায়। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য এ যৌথ মহড়াকে জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
তবে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ। এতে বলা হয় ট্রাম্প সামরিক মহড়া বন্ধে এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন, পাশাপশি অবরোধ তুলে নেবেন বলেও জানিয়েছেন। এতে আরও বলা হয় পিয়ংইয়ং সফরে কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে ট্রাম্পও জানিয়েছেন কিম ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। খুব শিঘ্রই উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ শুরু করবে বলে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিমের সঙ্গে হওয়া সম্মেলন নিয়ে কথা বলার সময় জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, 'আমি চেয়ারম্যান কিম জং উনকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কতটা জরুরি, তিনি বুঝেছেনও।'
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা