বেসরকারি শিাপ্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামোতে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। আরো সোয়া লাখ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ২০১০ সালের শিানীতির পর ২০১২ সালে শিাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেখানে শারীরিক শিা, তথ্য ও যোগাযোগ, চারুকারুসহ কয়েকটি পদ সৃষ্টি করা হলেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক নিয়োগ দেয়া হয়নি। এর ফলে বিষয়গুলো ছাত্রছাত্রীদের তেমন উপকারে আসেনি। কেননা, নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক না থাকায় অন্য বিষয়ের শিক দিয়ে কাস নেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের শিানীতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রিসভা অনুমতি দিলেই বাস্তবায়ন করা হবে নতুন নীতিমালা।
নীতিমালায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ বছর। যদিও নিবন্ধনের সার্কুলারে বিষয়টি আগে উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি ৩৫ বছরের ওপর বয়স যাদের তাদের চিন্তার সাগরে ফেলে দিয়েছে। তারা একটি সুযোগের অপোয় ছিলেন।
শিাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পদশূন্য রয়েছে। দ্রুত নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারলে শিােেত্র আমূল পরিবর্তন আসবে।
চলতি অর্থবছরে দেড় হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারে। এতে অনেক পদ সৃষ্টি হবে। অনেকে শিকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে পারবে। দেশে প্রায় ১০ হাজার ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবগুলো একত্রে এমপিওভুক্তির আওতায় আনা উচিত। ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একজন শিক বাজারে গেলে মাছ দোকানি বড় মাছটি ব্যাগে তুলে দিতে চায় কিন্তু তার পকেট যে শূন্য। স্বাধীন দেশেও শিকের মানবেতর জীবনযাপন মেনে নেয়া কষ্টকর।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ইংরেজি, গণিত, ভৌতবিজ্ঞান, শারীরিক শিা, চারুকারু, ধর্ম, তথ্য ও যোগাযোগসহ কয়েকটি বিষয়ে শিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া একজন সহকারী কম্পিউটার অপারেটর, একজন অফিস সহায়কের কথাও বলা হয়েছে যা হবে এক যুগান্তকারী পদপে।
উল্লেখ্য, ১-১২তম শিক নিবন্ধিতদের রিটের কারণে নিয়োগ আটকা রয়েছে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর গত ১৪ ডিসেম্বর নিবন্ধিতদের বিষয়ে রায় দিলেন বিজ্ঞ আদালত। রায়ে বলা ছিল রায়ের কপি বের হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে মেধা তালিকা করে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু তিন মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও রায়ের কপি এখনো বের হয়নি। অন্য দিকে সর্বশেষ বিধি অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়েছিল ত্রয়োদশ নিবন্ধন পরীা। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরও নিয়োগের মুখ দেখেননি ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীরা। নিয়োগের আশায় ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীরাও রিট করেছেন। ১-১২তমদের রায়ের কপি বের না হওয়ায় ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীদের রিটের ‘হালে পানি পাচ্ছে না’।
শিা মন্ত্রণালয় নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ শিােেত্র অনেক দূর এগিয়ে যাবে। দেশ পাবে দ শিক, আগামী প্রজন্ম পাবে ডিজিটাল পরিবেশ। সব বন্ধ দুয়ার খুলে আসবে আশার আলো। নতুন নীতিমালা দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। হ
লেখক : সহকারী শিক (ইংরেজি),
মোহাম্মদ নগর উচ্চবিদ্যালয়, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ