২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড

-

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরে। এসময় প্রায় আধ ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস ও ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এই ঘটনা বলে ফায়ারসার্ভিস ধারণা করছে।
বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২-এ দোতলার ইমিগ্রেশন অফিসের কাছে ধোঁয়া দেখা যায়। একপর্যায় ধোয়া ছড়িয়ে পড়লে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এসময় সেখানের যাত্রীদের বাইরে বের করে আনা হয়।


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, ৬টার দিকে আগুনের সংবাদ পেয়ে প্রথমে ৪টি ও পর্যাক্রয়ে ৭টি ইউনিট বিমানবন্দরে যায়। আধা ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কোনো আগুন (ফ্লেইম) দেখতে পাননি। কিন্তু ধোঁয়া দেখেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান জানান, সিলিংয়ের কোনো একটি ক্যাবলে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধু ধোঁয়া দেখতে পায়।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরের সিলিংয়ের ওপরে অনেক ধরনের ক্যাবল আছে, এর কোনো একটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আমরা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের ফায়ার স্টেশন রিভাইজড করতে হবে। সেখানে ইলেকট্রিক্যাল অডিট ও ফায়ার সেফটি অডিট করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, এটা আগুন ছিল না। এটা ছিল ধোঁয়া, যা খুব দ্রুত টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে। এটা এসির ধোঁয়াও হতে পারে। সাবধানতার জন্য কিছুক্ষণের জন্য বিমানবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল, আমরা যাত্রীদেরও টার্মিনালের বাইরে বের করে দেই।
গত বছরের ১১ আগস্ট শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা বিমান উড্ডয়নসহ টার্মিনাল ভবনে কার্যক্রম বন্ধ থাকে। 


আরো সংবাদ



premium cement