২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু বিধ্বস্ত : মৃত্যু ৬

- ছবি : ডয়চে ভেলে

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের প্যাটাপস্কো নদীর ওপর নির্মিত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু মঙ্গলবার ভোরে জাহাজের ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়ে। এতে নিখোঁজ ছয়জনকে মৃত ঘোষণা করেছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।

মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা নিখোঁজদের উদ্ধার করার জন্য অপারেশন বন্ধ করেছে। ধরে নেয়া হচ্ছে, ছয়জন আর বেঁচে নেই। এই ছয় শ্রমিক সেতুর উপরে সারাইয়ের কাজ করছিলেন।

মার্কিন কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরেথ জানান, ‘অনেকটা সময় ধরে আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। ওই সময়ের কথা মাথায় রেখে, পানির তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে আমাদের মনে হচ্ছে, আর কাউকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নয়।’

ভারতীয় জাহাজকর্মীরা নিরাপদ :
যে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙেছে, সেটি সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটা কন্টেনারবাহী জাহাজ। জাহাজে ২২ জন কর্মী ছিলেন। সকলেই ভারতীয়। সব কর্মীই নিরাপদে আছেন। ধাক্কা লাগার আগে জাহাজটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। জাহাজ থেকে এসও এস-ও পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে।

তদন্ত করছে এনটিএসবি :
ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) বাল্টিমোরের সেতু ভেঙ্গে পড়ার তদন্ত করছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার পরই তারা তদন্ত শুরু করবেন।’

তিনি জানান, ‘কী করে সেতু ভাঙলো তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। জাহাজটির বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও তার সেতুতে ধাক্কা মারার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখবেন। কেন এই দুর্ঘটনা হলো, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।’

মার্কিন পরিবহন সচিব জানান, ‘এই সেতুটি ছিল বাল্টিমোরের অন্যতম প্রতীক। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত পরিকাঠামোর একটা নিদর্শন। এটা তাই কোনো সাধারণ সেতু ছিল না।’

অন্যপথ দিয়ে :
বাল্টিমোর হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর এবং এই বন্দর দিয়ে গাড়ি প্রস্তুতকারকরা তাদের গাড়ি অন্যত্র পাঠান।

জেনারেল মোটরস একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনার খুব বেশি প্রভাব তাদের উপর পড়বে না। তারা আপাতত অন্য পথ ব্যবহার করে বন্দরে গাড়ি পাঠাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফোক্সওয়াগেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া তাদের উপর পড়বে না।’

বিএমডাব্লিউ জানিয়েছে, ‘বন্দরের কার ডক সমুদ্রের দিকে। তাই তাদের গাড়ি ভর্তি ট্রাকগুলো অন্য পথ ব্যবহার করে সেখানে পৌঁছে যাবে।’

মার্সিডিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তবে তাদের গাড়ি রফতানির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে বলে তারাও মনে করছে না।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement