২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চার দশকে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি যুক্তরাষ্ট্রে

লস অ্যাঞ্জেলসের বন্দর - ছবি : ডয়চে ভেলে

চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি। বর্তমানে তা সাত শতাংশে ঠেকেছে বলে সতর্ক করেছে দেশটির সর্বোচ্চ ব্যাংক।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছিল। মূলত করোনার কারণেই অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন।

জো বাইডেনের প্রশাসন জনগণকে জানিয়েছিলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য তারা সবরকম ব্যবস্থা নেবে। এই ব্যবস্থাপনার আলোকে শিগগিরই মার্কিন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে জানানো হয়েছিলো।

বস্তুত, বাইডেন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কোনো কিছুতেই কোনো লাভ হয়নি। অর্থনীতি আরো সঙ্কটের মুখে পড়েছে। যার জেরে এই বছরের শুরুতেই মুদ্রাস্ফীতি সাত শতাংশ গিয়ে ঠেকেছে। যা গত চার দশকের মধ্যে কখনো ঘটেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮২ সালের জুন মাসে শেষবার এই পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বস্তুত, গত বছরের পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতিও ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। ১৯৯১ সালে শেষবার ওই পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল।

মুদ্রাস্ফীতির জেরে বাজার দর অনেক বেড়ে গেছে। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে কাঁচা বাজার-- সব কিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। হিসেব বলছে, গত কিছুদিনে বাড়িভাড়া বেড়েছে চার দশমিক এক শতাংশ। খাবারের দাম বেড়েছে ছয় দশমিক তিন শতাংশ। পুরনো গাড়ির দাম বেড়েছে ৩৭ দশমিক তিন শতাংশ। এছাড়াও জামাকাপড়, জুতো, ওষুধ সব কিছুরই দাম বেড়েছে এবং ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বুধবারও মার্কিন জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখনই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিশ্বজুড়ে করোনা প্রকোপের জন্যই এমনটা ঘটেছে। অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফলে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। শিগগিরই এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন নাগরিকদের কাছে এখন মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। করোনার চেয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বস্তুত, সর্বোচ্চ মার্কিন ব্যাংকও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। দ্রুত এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন বলেও সরকারকে তারা জানিয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement