২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

'ট্রাম্প-তালেবানের চুক্তিই আফগানিস্তানে পতনের কারণ'

হাউস আর্মড সার্ভিস কমিটির বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তারা - ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সরকার ও সামরিক বাহিনীর পতনের সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন মার্কিন প্রশাসন ও তালেবানের মধ্যে গত বছর স্বাক্ষরিত চুক্তিকে দায়ী করছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের সামরিক বাহিনী বিষয়ক কমিটি 'হাউস আর্মড সার্ভিস কমিটির' এক বৈঠকে এই অভিযোগ করেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেন, কাতারের দোহায় গত বছর চুক্তি স্বাক্ষরের পর আফগান সরকারের দুর্বলতা তরান্বিত হয়।

ম্যাকেঞ্জি বলেন, আফগান সরকার ও সামরিক বাহিনীর ওপর দোহা চুক্তি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

অপরদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৈঠকে জানান, তিনি ম্যাকেঞ্জির বক্তব্যের সাথে একমত।

তিনি বলেন, দোহা চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের ওপর বিমান হামলা বন্ধ করে দেয়। ফলে তারা শক্তিশারী হয়ে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বিপুল লোক হারায়।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার জেরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ হামলার জন্য আফগানিস্তানে আশ্রয়ে থাকা আলকায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করেন। ওই সময় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের কাছে ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানান বুশ।

তালেবান সরকার ওসামা বিন লাদেনকে তুলে দেয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মার্কিনিদের কাছে প্রমাণ চায়। প্রমাণ ছাড়া তারা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বুশ প্রশাসন ও তালেবানের মধ্যে বিরোধের জেরে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় তালেবান সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়।

তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলতে থাকে দেশটিতে।

দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বের বহুজাতিক বাহিনীর দখলের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুসারে ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে বহুজাতিক বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ডেডলাইন থাকলেও ৩০ আগস্ট সম্পূর্ণ সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় গণহত্যায় জার্মানির সহায়তা, রায় ৩০ এপ্রিল কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং

সকল