০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভেনিজুয়েলা থেকে সব কূটনৈতিক প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র

- ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র কারাকাসে তাদের দূতাবাস থেকে অবশিষ্ট সব কূটনৈতিক স্টাফকে প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। গত সোমবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও এ কথা জানান। ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এক টুইট বার্তায় পম্পেও বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দূতাবাসের কূটনৈতিক স্টাফদের উপস্থিতি মার্কিন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জরুরি দায়িত্বে নিয়োজিত নয়, এমন সব মার্কিন সরকারি কর্মীকে ভেনিজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

ভেনিজুয়েলায় বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন অশান্ত হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর জন্য বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছেন। তিনি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করেছেন এবং বিশ্বের ৫০টি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এদিকে গত ৮ মার্চ দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেশটির ২৩টি রাজ্যের ১৮টি রাজ্যের বাসিন্দারাই এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ভেনিজুয়েলার সরকার বলছে, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদল বলছে, সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণেই মূলত এ ব্ল্যাক আউট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আরো পড়ুন : ভেনিজুয়েলায় বিদ্যুৎ না থাকায় ১৭ জনের মৃত্যু : গুইদো
সিএনএন, ১২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ভেনিজুয়েলায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে এই ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দায়ী করছেন বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেনিজুয়েলা। রোববার সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ দাবি করেন। 

নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সঙ্কট ভেনিজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ। এরপর গত ৮ মার্চ অর্ধেকেরই বেশি জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, এই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হাসপাতালগুলো। গুইদো বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে প্রাণ হারানো ১৭ জনকে মূলত মাদুরা সরকার ‘হত্যা’ করেছে। তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলা একদম ধসে পড়েছে। এরই ফল হচ্ছে ব্ল্যাকআউট।

গুইদো বলেন ‘হাসপাতালে কোনো সেবা নেই। দেশের সেরা হাসপাতালগুলোর এই অবস্থা। যদি রাজধানীতে এই অবস্থা হয়, তাহলে প্রত্যন্ত এলাকায় কী অবস্থা। সেখানে জ্বালানি নেই, মৌলিক জিনিস নেই। নেই যোগাযোগের ব্যবস্থা। তাই সজ্ঞানে আপনি বলতেই পারেন যে, ভেনিজুয়েলা ভেঙে গেছে।’

তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত ১৭টি হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছে বিরোধী দল। তিনি বলেন, আমি আর কিছু বলতে পারছি না। কল্পনা করুন, আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে জানছেন যে, চার দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরি হয়েছে এবং ১৭ জন মারা গেছেন। এটা নিঃসন্দেহে হত্যা।


আরো সংবাদ



premium cement
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, মা গলা টিপে হত্যা করেন শিশু মাইশাকে গরমে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপ, শিশু ওয়ার্ডে আসন সঙ্কট প্রকট এ জে মোহাম্মদ আলীর রূহের মাহফিরাত কামনায় সুপ্রিম কোর্টে দোয়া চৌগাছায় দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল কৃষকের ১ বিঘা জমির পানের বরজ সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তের ওপর চটেছেন সাকিব, চেপে ধরলেন ঘাড় টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু যেখানে অবৈধ পাথর খনির মিহি গুঁড়াতে ভরে ওঠে ফুসফুস শিবপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা : স্বজনদের দাবি হত্যা, স্বামী আটক সিদ্ধিরগঞ্জে হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, আতঙ্ক জাতিসঙ্ঘ ত্রাণ সংস্থার প্রধানকে দ্বিতীয়বারের মতো গাজায় প্রবেশে বাধা দিলো ইসরাইল টানা তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি

সকল