০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বারাক ওবামা

আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বারাক ওবামা - সংগৃহীত

প্রেসিডেন্টশিপ যাওয়ার পর অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী বারাক ওবামা। নিরবতা ভেঙে ফের রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সফল এ প্রেসিডেন্ট।ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন নিয়ে টানা ৮ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা।

 বারাক ওবামা নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালাবেন এবং চাঁদা সংগ্রহে নামবেন জানিয়েছেন। ওবামার এই সিদ্ধান্ত ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকদের কাছে সুখবর। দলে এই মুহূর্তে এমন কোনো অবিসংবাদী নেতা নেই, যাঁকে সবাই একবাক্যে মেনে নেবে। ওবামা শুধু জনপ্রিয়-ই নন, স্মরণকালে যুক্তরাষ্ট্রের সফল প্রেসিডেন্ট ভাবা হয় তাকে।

কংগ্রেসে দলের নেতা ন্যান্সি পেলোসি নানা সমালোচনার মুখে আছেন। দলের প্রগতিশীল অংশ চায় নেতৃত্বে নতুন মুখ আসুক। কিন্তু পেলোসি এখনো ক্ষমতার রশি ছাড়তে প্রস্তুত নন।

৭৮ বছর বয়সী পেলোসির বিশ্বাস, ডেমোক্রেটিক দল আরও একবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসবে। আর তিনিই সে কাজে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। কংগ্রেসে জয় ছিনিয়ে আনতে তিনি রণকৌশল হিসেবে সরাসরি ট্রাম্প বিরোধিতার বদলে একটি মধ্যপন্থা অবলম্বনে বেশি আগ্রহী। কিন্তু দলে বার্নি স্যান্ডার্সের সমর্থক হিসেবে পরিচিত অনেকেই চান পেলোসি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি ট্রাম্পের ব্যাপারে আপসহীন অবস্থান গ্রহণ করুক।

এই দ্বন্দ্বে ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর একটি ফাটল ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ওবামা যদি ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হন, তাহলে নভেম্বরে তাঁদের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়—এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করেন।

 

ট্রাম্পের সমালোচনা করে যা বললেন ওবামা

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ার সিদ্ধান্তকে ভুল বলে অভিহিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার আমেরিকাকে এ সমঝোতা থেকে বের করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ওবামা এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

ট্রাম্পের ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার পর ওবামা বলেন, এ সিদ্ধান্ত ‘মারাত্মক ভুল’। ২০১৫ সালে ওবামার শাসনামলে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় সই করে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠী।

বারাক ওবামা বলেন, আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক, বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর ইরানের পরমাণু সমঝোতায় সই করেছিল ওয়াশিংটন। সেই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অর্থ হবে আমেরিকার ইউরোপীয় ঘনিষ্ঠ মিত্রদের হাতছাড়া করা।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় একটি দেশের প্রশাসন পরিবর্তন হলে তার নীতিতে পরিবর্তন আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে বিশ্বব্যাপী আমেরিকার গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে কমে যাবে। উত্তর কোরিয়াকে তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার সম্ভাব্য আলোচনায় আমেরিকা দুর্বল অবস্থানে থাকবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement