৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এফ-১৬ বিক্রি করতে পারে আমেরিকা : এরদোগান

এরদোগান জানিয়েছেন, আমেরিকা তাদের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে পারে। - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনছে তুরস্ক। তাই তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি বন্ধ রেখেছিল আমেরিকা। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান জানিয়েছেন, আমেরিকা তাদের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে পারে।

এরদোগান কী বলেছেন
এরদোগান জানিয়েছেন, ‘এফ-৩৫ কেনার জন্য আমরা আমেরিকাকে ১৪০ কোটি ডলার দিয়েছি। এখন আমেরিকা আমাদের কাছে এফ-১৬ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য যা প্রয়োজন আমরা সেটাই নেব।’

তুরস্ক সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরেই আমেরিকার সাথে তাদের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। দুই দেশই ন্যাটোতে আছে।

আমেরিকা জানিয়ে দেয়, তুরস্ক যেন রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধাস্ত্র না কেনে। তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি ডিরেক্টরেটের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করে আমেরিকা।

এরদোগান গতমাসে বলেছিলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০ ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক। এখন সিবিএস নিউজকে এরদোগান জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা কী ডিফেন্স সিস্টেম কিনব, তা নিয়ে অন্য কোনো দেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’

বাধা দিতে পারে কংগ্রেস
বাইডেন প্রশাসন তুরস্ককে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে চাইলে বাধা দিতে পারে মার্কিন কংগ্রেস। সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধান বব মেনেন্ডেজ তুরস্ককে অস্ত্র বিক্রির বিরোধী। বিশেষ করে তারা রাশিয়ার কাছ থেকে ডিফেন্স সিস্টেম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর। তা ছাড়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান কিছু সিনেটরও ববের সাথে এই বিষয়ে একমত।

এই বছর মানবাধিকার নিয়ে আমেরিকা ও তুরস্কের বিরোধ সামনে এসেছে। সিরিয়া নিয়েও দুই দেশের নীতি আলাদা। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাসের খোঁজ নিয়ে তুরস্কের নীতিও আমেরিকা সমর্থন করে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement