২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জৈন্তাপুরে চাঁদা না পেয়ে শ্রমিকের ওপর হামলা, গুরুতর আহত ৩

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জৈন্তাপুর নিজপাট ইউনিয়নের লালাখাল সারী নদীর উৎসমুখ এলাকায় বালু মহালে চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ হামলায় গুরুতর আহতসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় লালাখাল সারী নদীর উৎসমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহতরা হলেন চারিকাটা ইউনিয়নের বাউরভাগ উত্তর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (৪৮), কামরাঙ্গীখেল দক্ষিণ গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে সেলিম আহমদ (৩৫) এবং কামরাঙ্গীখেল উত্তর গ্রামের ফুরকান আলীর ছেলে আব্দুল মালিক (৫০)।

তাদের তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, লালাখাল সারী নদীর উৎসমুখ থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে অবৈধভাবে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব শ্রমিকদের কাছ থেকে ইউনিয়ন ট্যাক্সের নামে নৌকা প্রতি ৫০০ টাকা আদায় করেন নিজপাট ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সয়ফুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রভাবশালী সীমান্ত চোরাচালান চক্রের সদস্য রহিম উদ্দিন। সোমবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন চাঁদাবাজ বাহিনী নিয়ে অবৈধ বালুর নৌকা প্রতি ৫০০ টাকা হারে চাঁদা তুলতে যায়। এ সময় শ্রমিকরা ইউনিয়ন ট্যাক্সের রশিদ চাইলে তাদের সাথে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায় চাঁদাবাজরা। এতে তিন শ্রমীককে দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এ বিষয়ে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান সেলিম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজ চক্রটি শ্রমিকের কাছ থেকে নৌকা প্রতি ৫০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে আসছে। তারা চাঁদা আদায়ের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। শ্রমিকরা চাঁদা না দেয়াতে চক্রটি তাদের ওপর হামলা চালায়।

একই অভিযোগ তুলেছেন নিজপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী তিনি বলেন, প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র অবৈধভাবে শ্রমিকের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আসছে। সোমবার চাঁদা দাবি করায় শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে কোনো শ্রমিক আহত হননি বলে দাবি করেন তিনি। শ্রমিকদের হামলায় চাঁদাবাজরা আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বালু মহালে সংঘর্ষ হয়েছে তবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement