১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাজনগরে মাল্টা চাষে দিন ফিরেছে আল আমিনের

রাজনগরে মাল্টা চাষে দিন ফিরেছে আল আমিনের - ছবি : নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজারের রাজনগরে মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক আল আমিন (৪৪)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীউড়া গ্রামের সুনাহর আলীর ছেলে। কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ তার।

এক সময় বাড়ির পাশে ৬০ শতাংশ জমিতে আউশ ও আমন ধান চাষ করতেন। ২০১৭ সালের মে মাসে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ওই জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করেন আল আমিন। এরপর শুরু গাছের যত্ন নেয়া। নিজের তত্বাবধানে কিছু শ্রমিক দিয়ে পরিচর্যা চলতে থাকে। বছর তিনেক যত্ন-আত্বির পর তার মাল্টা গাছে ফল ধরার খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিষমুক্ত মাল্টা কিনতে ভীড় করছেন তার বাড়িতে। ২০০টি মাল্টা গাছের প্রতিটিতে গড়ে ১২০টি মাল্টা ধরেছে বলে তিনি জানান।

আল আমিন জানান, ধানের চেয়ে মাল্টা লাভজনক হওয়ায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা ও সার পাওয়ার আশ্বাসে ওই জমি মাল্টা চাষের জন্য প্রস্তুত করি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ওই জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের চারা লাগিয়ে পরিচর্যা শুরু করি। গত বছর ফুল আসলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিমের পরামর্শে এসব ফুল ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে গাছগুলো আরো মজবুত ও ফলনের জন্য সামর্থ্যবান হয়।

এ বছর সবগুলো গাছে ফল আসায় এবং ফলন ভালো হওয়ায় বিক্রি নিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তার বাগান দেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর স্থানীয় মানুষজন মাল্টা কিনতে তার বাড়িতে ভীড় করতে থাকেন।

এছাড়া স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরাও তার কাছ থেকে মাল্টা কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে মাল্টা বিক্রি নিয়ে তার চিন্তা দূর হয়। ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে এ পর্যন্ত এক মণের বেশি মাল্টা তিনি বিক্রি করেছেন। চলতি বছর এই বাগান থেকে ১ টন মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

তার এই সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষক ও বেকার যুবকরা মাল্টা চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে চাষ পদ্ধতি ও পরামর্শ নিতে তার সাথে যোগাযোগ করছেন। এসব মাল্টা গাছ থেকে কলম করে উৎপাদিত চারা বিক্রি করেও তিনি আরো আর্থিক সুবিধা পাবেন বলে আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, টিলা-পাহাড় অধ্যূষিত রাজনগর উপজেলার সব এলাকার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী। পানি জমে থাকে না এমন জমিতে মাল্টার চাষ করা সম্ভব। টেংরা, নন্দীউড়া, দাশপাড়া, মুন্সিবাজার, উত্তরভাগসহ কয়েকটি এলাকায় মোট ৩ একর জমিতে মাল্টা চাষ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মো: আল আমিনের বাগানটি সবচেয়ে বড়।

পরিচর্যা করলে একটি মাল্টা গাছ ১৫-২০ বছর ফল দেয়। ফলে কৃষকের ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন জমিতে মাল্টা বাগান করা যায়। তবে শীত মৌসুমে পানি দিতে হয়। প্রথম বছর ২০০ গাছ থেকে ১ টনের মতো ফলন পেলেও বছরান্তে উৎপাদন আরো বাড়তে থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস থেকে মাল্টাচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মাল্টা বিক্রয় নিয়ে চাষিরা আমার সাথে যোগাযোগ করলে উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি আমি উপস্থাপন করি। এতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে বিষমুক্ত ও সতেজ মাল্টা কিনতে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। অনেকে বাগান থেকে মাল্টা কিনছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
টাঙ্গাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, ২ জনের যাবজ্জীবন কেনিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় ১১ শিক্ষার্থী নিহত খুলনার ইঁদুর মারার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু কুবিতে‘বেআইনিভাবে' ডিন নিয়োগের প্রতিবাদে সিন্ডিকেট সদস্যের পদত্যাগ জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না : মির্জা ফখরুল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধাপরাধের শামিল : জাতিসঙ্ঘ সঙ্গীতশিল্পী খালিদকে বাবা-মায়ের পাশে গোপালগঞ্জে দাফন রাণীনগরে টমটম গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১ স্লিপিং ট্যাবলেট খে‌লেও সরকা‌রের ঘুম আসে না : গয়েশ্বর জনসাধারণের পারাপারে গোলাম পরওয়ারের খেয়া নৌকা উপহার ভোলায় হঠাৎ অসুস্থ ২৯ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

সকল