২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেনাশাসিত মিয়ানমার ছাড়ছে টোটাল, শেভরন ও শেল

সেনাশাসিত মিয়ানমার ছাড়ছে টোটাল, শেভরন ও শেল - ছবি : সংগৃহীত


একের পর এক বিদেশী কোম্পানি মিয়ানমার থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। এবার সেই দলে যোগ দিয়েছে বিশ্বের জ্বালানি খাতের দুই বৃহৎ প্রতিষ্ঠান টোটাল ও শেভরন। শেলও জানিয়েছে আপাতত সেখানে আর কোনো কার্যক্রম চালাবে না।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে ফরাসি প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জিস ও যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন দেশটিতে তাদের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ইয়াদানা গ্যাস প্রকল্পে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ বিনিয়োগে যুক্ত ছিল টোটাল ও শেভরন।

প্রকল্প থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার কারণ হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেছে।

টোটাল এনার্জিস তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ মিয়ামারের পরিস্থিতির দিনকে দিন অবণতি হচ্ছে, যার কারণে আমরা পরিস্থিতি পুনঃমূল্যায়নে বাধ্য হয়েছি। আমরা মিয়ানমারের ইয়াদানা গ্যাস ক্ষেত্র এবং এমজিটিসির পরিচালনাকারী ও বিনিয়োগকারী হিসেবে টোটাল এনার্জিসের কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শেভরনের মুখপাত্র বলেছেন, ‘মিয়ানমার পরিস্থিতি বিবেচনায় ইয়াদানা প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্পে থেকে নিজেদের কার্যক্রম হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশটি ছাড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’

মিয়ানমারের এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৩১.২৪ শতাংশের মালিক টোটাল। অন্যদিকে তাদের অংশীদার শেভরনের রয়েছে ২৮ শতাংশ মালিকানা। বাকিটা মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কোম্পানির মালিকানাধীন।

এদিকে রয়্যাল ডাচ শেলও মিয়ানমারে তাদের কার্যক্রম বন্ধের খবর শুক্রবার নিশ্চিত করেছে। সমুদ্রে একটি ব্লকে উডসাইড এনার্জি ও মিয়ানমার পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির সাথে তাদের যৌথ বিনিয়োগ কার্যক্রম ছিল।

রয়টার্সকে প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র বলেন, ‘অনুসন্ধান কাজ পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। যার কারণে এর সাথে কোনো উৎপাদন, আর বা সরকাররে সাথে আমাদের কোনো লেনদেনও নেই।’


আরো সংবাদ



premium cement