০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পরাশক্তির সাথে চ্যালেঞ্জ আত্মঘাতী

পরাশক্তির সাথে চ্যালেঞ্জ আত্মঘাতী - নয়া দিগন্ত

বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের রূপরেখা প্রণয়নে গৃহীত আটলান্টিক সনদের তৃতীয় ধারার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন বিশ্বব্যাপী জাতিগুলোর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার স্বীকার করে নেয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন উভয়ই ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের বাইরে থাকায় যুদ্ধের ফলে উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ফুলেফেঁপে ওঠে। সে সময় মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের ৫০ শতাংশ আসত যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ফলে পৃথিবীর সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো তাদের অর্থনৈতিক দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে যুক্তরাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ছিল বিশ্বের প্রধান শিল্প উৎপাদনকারী দেশ। তাই যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্যের বিস্তারে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় দেশটি। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে যুদ্ধের শেষভাগে গঠন করা হয় বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ায় ওই দু’টি সংস্থাসহ পরে গড়ে ওঠা সব আন্তর্জাতিক সংস্থাই কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সর্বোপরি, মার্কিন ডলার বলতে গেলে বিশ্বের একক আন্তর্জাতিক মুদ্রা; যার কোনো বিকল্প এখনো নেই। এভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক সমরশক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের পরাশক্তি।

অন্যদিকে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। তবে, ১৯৯৯ সালে পুতিনের ক্ষমতা গ্রহণের পর গত আড়াই দশকে তার নেতৃত্বে রাশিয়ার ধারাবাহিক উত্থান হয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পরাশক্তি হিসেবে যেন পূর্ণতা পায়। তবে সুপারপাওয়ারের দৌড়ে আমেরিকার সাথে এখনো রাশিয়ার বিস্তর দূরত্ব।

চীনের বিশাল কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা দেখে সহজেই অনুমেয়, মঞ্চে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে নতুন শক্তি। গোটা পৃথিবীজুড়ে চীন গত এক দশকে তৈরি করেছে তাদের বাণিজ্যের বিশাল নেটওয়ার্ক, যেখানে তারা গুরুত্ব দিয়েছে বিনিয়োগ ও অবকাঠামো খাতে। উদ্দেশ্য, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার এবং পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ। যদিও, সমীকরণ এত সহজ নয়। ভারত বৈশ্বিক পরাশক্তি না হলেও বাংলাদেশের জন্য পরাশক্তি। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক একমুখী; শুধুই দেয়া, পাওয়া নয়। বাণিজ্যেও কেবল আমদানি রয়েছে, রফতানি তেমন নেই। সব সুবিধাই ক্ষুদ্র এই প্রতিবেশীর কাছ থেকে নিচ্ছে ভারত; দিচ্ছে সামান্যই।

এক কথায় বর্তমান বিশ্বে শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রবাসী আয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখন প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম বাণিজ্যিক অংশীদার।

বাংলাদেশের সহযোগী ও বন্ধুপ্রতিম অন্যান্য দেশ, যেমন- ভারত, চীন ও রাশিয়ার সাথে যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় একক বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডগুলো তাদের পোশাক আমদানির মোট ব্যয়ের ১০ শতাংশ করেছে বাংলাদেশের পোশাক আমদানিতে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের কোটার বড় অবদান ছিল।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর রফতানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে রফতানি করেও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এলডিসির তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রধান প্রধান বাজারে রফতানি নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ে এই দুশ্চিন্তা নেই; বরং এলডিসি থেকে উত্তরণের পর যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব আরো বাড়বে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে চার হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৮৩ কোটি ডলারের পণ্য ভারতে এবং ৫৩ কোটি ডলারের পণ্য চীনে রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের পণ্য আমদানির সর্বোচ্চ ৪৩ শতাংশ ভারত ও চীন থেকে আসে। সেই তুলনায় দেশ দু’টিতে রফতানি মাত্র ৫ শতাংশ। ফলে ভারত ও চীনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আমদানির তালিকায় ছয় নম্বরে। যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি অনেকটা তৈরী পোশাকনির্ভর হলেও সে দেশ থেকে আমদানি বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ; যেমন- জ্বালানি, লোহা ও ইস্পাত, তেলবীজ ও ফল, তুলা ও যন্ত্রপাতি। এর বাইরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও সেবাপণ্য।

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত, বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) স্থিতি দুই হাজার ২৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশে এফডিআই শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে চীন ও ভারত থাকলেও উভয় দেশের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ২০৩ কোটি ডলার। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ৫০ বছরে দেশটি বাংলাদেশকে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের উন্নয়নসহায়তা দিয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কোভিড মহামারীর সময় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অনুদান হিসেবে যত টিকা পেয়েছে, তার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রবাসী আয় আসা শীর্ষ ৩০ দেশের মধ্যে চীন ও ভারতের নাম নেই। বিবির তথ্য মতে, বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাষ্ট্র আদমশুমারি ব্যুরোর ২০১৮ সালের জরিপের তথ্যানুসারে, সে সময় দুই লাখ ১৩ হাজার ৩৭২ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বাস করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যায় ১৩ হাজার ৫৬৩; যা আগের শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে, চীন, ভারত এবং রাশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কোনো অভিবাসন হওয়ার তথ্য নেই। পড়াশোনা এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য যারা যায় তাদের সংখ্যা খুবই কম।

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর করা সম্ভব। প্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে গ্যাস তেল অনুসন্ধান এবং উৎপাদনের মতো খাতে মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রয়োজন লজিস্টিকস, অটোমেশন, কাস্টমস এবং অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা।

রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ব্যাংকিং লেনদেন চালু করতে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনা চললেও দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে দেশটির সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করতে হচ্ছে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে। তথ্য মতে, ২০২১-২২ সালে রাশিয়ায় রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৩.৮৩ কোটি ডলার, আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৭.৪২ কোটি ডলার এবং বাণিজ্য ব্যবধান ছিল মাত্র ১৬.৪১ কোটি ডলার। বর্তমানে রাশিয়ার অর্থায়নে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি আলাদা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে রাশিয়ার অর্থায়নের পরিমাণ এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার, যার ৯০ শতাংশই ঋণ। ঋণের সুদের হারও উচ্চ, ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপড়েন
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ সরকারের দ্বন্দ্বের একটি বড় জায়গা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রসঙ্গ। এই সম্পর্ক যদি রাজনৈতিক থেকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গড়ায়, তাহলে বাংলাদেশকে অনেক বড় মাশুল দিতে হতে পারে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য র্যাবের ওপর স্যাংশন দিয়েছে। ভিসানীতি আরোপ করেছে। শ্রমিক অধিকার হরণ করলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুমকিও আছে। জাতিসঙ্ঘও বাংলাদেশকে সতর্ক করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, অনেক সময় রাজনীতির সাথে অর্থনীতি জড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই নির্বাচিত স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে চিহ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শুধু অর্থনৈতিক বিষয়ই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা ধরনের বাধা এবং জটিলতা তৈরি হতে পারে। ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিবির বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখী বৈদেশিক বাণিজ্য এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। আমদানি ও রফতানি কমেছে। রেমিট্যান্স সংগ্রহও কমে চতুর্থ অবস্থানে নেমেছে। কমে গেছে বৈদেশিক অনুদান আসার প্রবণতাও। ভূরাজনৈতিক সমীকরণে চীন-ভারত ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে থাকলেও তারা আমাদের পণ্যের ক্রেতা নয়; বরং আমরাই তাদের পণ্যের বাজার। অর্থাৎ বাংলাদেশে তাদের স্বার্থের প্রতি চীন-ভারতের তীক্ষ্ণ নজর।

সর্বোপরি বলতে হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কাম্য না হলেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের যে ইস্যুতে তারা চাপ দিচ্ছে সেটি মুষ্টিমেয় স্বার্থান্বেষী ছাড়া আপামর জনসাধারণের মনের দাবি। তাদের দাবি দেশের তো বটেই এমনকি গণতন্ত্রমনা আন্তর্জাতিক বিশে^র সবার কাছেও গ্রহণযোগ্য। সুতরাং তাদের প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য করার কোনো যুক্তি নেই। সরকার একতরফা যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় এলে তা কারো জন্যই স্বস্তিকর হবে না।

ক্ষমতাসীনরা উন্নয়নের নামে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ করেছে। এর মধ্যে ৭০ বিলিয়ন ডলারই নেয়া হয়েছে গত ১০ বছরে। এই ঋণ পরিশোধ করতে যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার, একতরফা নির্বাচন স্পষ্টতই তার বিপরীত অবস্থা তৈরি করবে। জবরদস্তির নির্বাচন করার কারণে বিশ্বের গণতন্ত্রমনা দেশগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে গেলে আমাদের পক্ষে টিকে থাকা কেবল কঠিন নয়; বরং অসম্ভব হবে। ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্বাচনের পরে দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে, ভারত, চীন বা রাশিয়া কখনো আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করবে না। বলতে গেলে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিবদমান পরাশক্তিগুলোর যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসব পরাশক্তির জাঁতাকলে পড়ে বাংলাদেশ পিষ্ট হতে পারে, আবার লাভেরও সুযোগ আছে। সে বিষয়ে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভুল সিদ্ধান্ত নিলে বড় মাশুল দিতে হতে পারে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল