০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঋণের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে দেশ

ঋণের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে দেশ - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের বিদেশী ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৭৯ বিলিয়ন ডলার। বাকি ২১ বিলিয়ন ডলার বিদেশী ঋণ দেশের বেসরকারি খাতের। বিদেশী ঋণের প্রায় ৮৪ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি। বাকি ১৬ শতাংশ স্বল্পমেয়াদি। বিদেশী ঋণের প্রায় ৭০ শতাংশই নেয়া হয়েছে গত ১০ বছরে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষেও বিদেশী উৎস থেকে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মোট ঋণ স্থিতি ছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের মধ্যে ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছিল দীর্ঘমেয়াদি। বাকি সাত বিলিয়ন ডলার স্বল্পমেয়াদি। ওই সময় বিদেশী ঋণ ছিল দেশের মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পর থেকে বিদেশী ঋণ ক্রমাগত বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে স্থিতি দাঁড়ায় ৬২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে।

বিদেশী ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সরকারের চলতি মেয়াদে অর্থাৎ ২০১৮ সালের পর থেকে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বিদেশী ঋণের স্থিতি যেখানে ছিল ৬৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার সেখানে পরের দুই অর্থবছরে গড়ে প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশী ঋণের স্থিতি ৯৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিদেশী ঋণের স্থিতি ৯৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার এবং চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে এসে স্থিতি ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

ঋণের পরিমাণ কতটা বিপজ্জনক
দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদেশী ঋণ স্থিতি মোট জিডিপির প্রায় ২২ শতাংশ। ঋণের এ অনুপাতকে অর্থনীতির জন্য মোটেই উদ্বেগজনক মনে করে না সরকার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বক্তব্য বাংলাদেশের জন্য স্ট্যান্ডার্ড নয় বলে মত দেন অনেক অর্থনীতিবিদ। তাদের মতে, বাংলাদেশের মতো দেশে বিদেশী ঋণ-জিডিপির অনুপাত হিসাব করাই অর্থহীন। কারণ বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত মাত্র ৮ শতাংশ। এর অর্থ হলো সরকার নিজস্ব আয় দিয়ে ঋণ পরিশোধে সক্ষম নয়। মূলত ঋণের অনুপাত তুলনা করতে হবে সরকারের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে। কোনো দেশের ঋণ-রাজস্ব অনুপাত ২০০-২৫০ শতাংশ পর্যন্ত মেনে নেয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে ঋণ-রাজস্ব অনুপাত ৪০০ শতাংশের বেশি। সে হিসাবে সরকারের ঋণ বিপজ্জনক মাত্রা অনেক আগেই ছাড়িয়েছে।

বিদেশী ঋণের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ বেড়ে বর্তমানে দেশী-বিদেশী মোট ঋণ জিডিপির ৪৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ঋণের পরিমাণের চেয়েও বিপজ্জনক হলো, ঋণ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাব। পাশাপাশি ঋণের বিপরীতে যথাযথভাবে রিটার্ন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে ঋণ বরাদ্দ অনেক বেশি এবং অনেক অর্থ তছরুপ হয়েছে যার অধিকাংশই আবার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সুতরাং ওই ঋণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার (১৫ নভেম্বর-২০২৩)। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার। দেশে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে- ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকেই রিজার্ভের ক্ষয় শুরু হয়। গত দুই বছরে প্রতি মাসে গড়ে এক বিলিয়ন ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। হিসেব মতে, বর্তমান স্বল্পমেয়াদি বিদেশী ঋণ রিজার্ভের চেয়ে বেশি। এদিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ। আগামী বছর থেকে বিদেশী ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ বাড়বে। সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশী বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে যার পরিমাণ এখন ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বিদেশী ঋণ রয়েছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার।

তথ্য মতে, ২০২৭ সাল থেকে পাঁচটি মেগা প্রজেক্টের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে তখন বিপদ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডলারের তীব্র সঙ্কটের মধ্যে বিদেশী ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়লে আরো বেশি পরিমাণে ডলারের প্রয়োজন হবে। অথচ রেমিট্যান্স, রফতানি আয়সহ দেশে ডলারের উৎসগুলো সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে। বিপরীতে রিজার্ভের ক্ষয়ও ক্রমাগত বাড়ছে।

ডলারের দাম বাড়ায় ঋণের ওপর প্রভাব
ডলারের বিনিময় হার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়াও অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র হয়ে ওঠার একটি কারণ। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যেখানে ব্যাংক খাতে ডলারের বিনিময় হার ছিল সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা, সেখানে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত দর ১১১ টাকা। বাস্তবে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১২৪-১২৫ টাকাও আদায় করছে। সে হিসাবে এ সময়ে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। আর কার্ব মার্কেটে ডলারের মূল্য ১২৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

ডলার সঙ্কট কমাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানির জন্য এলসি খোলার শর্ত কঠোর করে সরকার। ফলে ব্যাংকগুলোও নিজেদের এলসি খোলা কমিয়ে দেয়। এতে ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে আমদানির পরিমাণ প্রায় ১৬ শতাংশ কমে যায়। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমদানির পরিমাণ ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে। আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমার পরও দেশে যে পরিমাণ ডলার ঢুকছে, বেরিয়ে যাচ্ছে তার চেয়ে বেশি। এ কারণে আর্থিক হিসাবের ঘাটতি বেড়ে বর্তমান প্রান্তিক শেষে পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯৩ কোটি ডলার যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই ঘাটতির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছেই এবং দিন দিন পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে উঠছে।

বিদেশী ঋণের সুদাসল পরিশোধ বৃদ্ধি
বিদেশী ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ঋণের সুদাসল পরিশোধের চাপ বাড়ছে। মূল ঋণ এবং সুদ দুই ক্ষেত্রেই আগের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিশ্রুত ঋণের ছাড় কমিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। অবশ্য নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি অনেক বাড়িয়েছে তারা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মতে, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে বিদেশী ঋণের সুদাসল পরিশোধে ব্যয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৫২ শতাংশ। গত চার মাসে মোট ১১০ কোটি ১৪ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে সুদাসল বাবদ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সুদাসলের মধ্যে সুদ পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে ১৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ, মোট ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সুদ বাবদ যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। অন্যদিকে ঋণের আসল বাবদ পরিশোধ বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ যা ডলারের অঙ্কে ৯ কোটি ৭৫ লাখ। সুদাসল পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার হিসাবে দেখা যায়, গত চার মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে পরিশোধ বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। ঋণের সুদাসল মিলিয়ে ১২ হাজার ৮৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে গত চার মাসে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল মাত্র ছয় হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাঁচ হাজার ১৮১ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।

ঋণ পরিশোধে বড় অঙ্কের ব্যয় হলেও সে হারে প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় করেনি উন্নয়ন সহযোগীরা। ইআরডির তথ্যমতে, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে গত চার মাসে অর্থছাড় কমেছে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ যার বাস্তব পরিমাণ ৩৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। ঋণের পাশাপাশি অনুদানের অর্থছাড়ও কমে গেছে এ সময়ে। এ পরিস্থিতিতে নতুন ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হতে হবে। কম সুদের ঋণের দিকে নজর বাড়াতে হবে। অবশ্য অর্থছাড় কমলেও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে গত চার মাসে প্রায় ৩৬৩ কোটি ডলার পরিমাণ।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, সরকার চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ ও আসল পরিশোধ করেছে ২৫৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, সরকারের ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৪১.৩৮ শতাংশ। প্রকৃত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় টাকার হিসাবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩.৭৭ শতাংশে (এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা)।

এদিকে, ঋণ পরিশোধ বাড়লেও চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় ১৭ শতাংশ কমেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাজারভিত্তিক ঋণের সুদ পরিশোধের কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধের জন্য চাপের মধ্যে রয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে বৈদেশিক ঋণে অর্থছাড় হয়েছে ৪০৫.৭৯ মিলিয়ন ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৮৮ মিলিয়ন ডলার। ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন সহযোগীরা এখনো নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে জুলাইয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি না এলেও ৫.৩৯ মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগের অর্থবছরের ছিল ১.৫৩ মিলিয়ন ডলার।

ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই বহুমুখী পদক্ষেপ নিলেও রিজার্ভ কমছেই এবং টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছেই। টাকার মানে স্থিতিশীলতা দূরের কথা, আরো অবমূল্যায়ন রোধ করা যাবে কিনা সেটিই এখন প্রশ্ন। সেটি হলে ঋণ পরিশোধের বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে। ফলে বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে। চলমান অনিশ্চয়তার কারণে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব আরো ঘনীভূত হবে। অর্থনীতিতে ধীরগতি দেখা দেবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সুতরাং খুব প্রয়োজন ছাড়া কোনো ঋণ করা চলবে না। একান্তই ঋণ করতে হলে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে কম সুদের হারে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ করার চেষ্টা করা এবং ঋণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিজে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭

সকল