০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গাজায় মানবিক বিপর্যয় : পশ্চিমা দ্বিমুখী নীতি

গাজায় মানবিক বিপর্যয় : পশ্চিমা দ্বিমুখী নীতি - ছবি : নয়া দিগন্ত

গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় ফিলিস্তিনের ‘হামাসের’ প্রতিরোধ যোদ্ধারা আচমকা সমন্বিত আক্রমণ চালায় ইসরাইলের ওপর। তারা জল-স্থল ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালায়। হামলার শুরুতে তারা ইসরাইলের ইলেকট্রনিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জ্যাম করে। ইসরাইলের নিরাপত্তা সতর্ক ব্যবস্থা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। তা ছাড়া ‘মোসাদ’ ও ‘সিনবেত’ নামে অত্যন্ত শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে ইসরাইলের। হামাসের এই আক্রমণ এত বেশি সমন্বিত ও গোপনীয় ছিল যে, হামাসের যোদ্ধারা প্রায় পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে রকেট বেড়াজালের আড়ালে লোহার শক্তিশালী সীমান্তবেড়া ভেঙে গুঁড়িয়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেনানিবাসসহ প্রায় ২১টি স্থানে ভূমি আক্রমণ চালানোর পর ইসরাইল সম্বিত ফিরে পায় এবং প্রতিআক্রমণ শুরু করে।

যুদ্ধের নীতিমালার তালিকার প্রথম নীতি ‘Surprise’ অর্জন করা বা শত্রুকে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ করে ফেলা। হামাস যোদ্ধারা এটি সফলভাবে করতে পেরেছে। তারা কঠোর গোপনীয়তা বা নিরাপত্তা রক্ষা, সুচারু সমন্বয় এবং অসীম মনোবল অর্জন করতে পেরেছে বলেই প্রাথমিক সফলতা পেয়েছে। যুদ্ধে গত তিন দিনে প্রায় ৯০০ ইসরাইলি ও ৬০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং উভয়পক্ষে কয়েক হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন সৈনিক ও অসংখ্য বেসামরিক মানুষকে ‘হামাস’ জিম্মি করে নিয়ে যায়।

১৯৭৩ সালে মিসর-সিরিয়ার যৌথ আক্রমণের মাধ্যমে শুরু ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর গত ৫০ বছরে ইসরাইল এত বড় আক্রমণের শিকার হয়নি। ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন বলে জানিয়েছেন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোউরি। আর আশু লক্ষ্যগুলো হলো, ১. যুগ যুগ ধরে ইসরাইলের দখলদারি, উৎপীড়ন, অবৈধ বসতি স্থাপন ও ফিলিস্তিনিদের ধর্মীয় প্রতীক আল-আকসা মসজিদ অপবিত্র করার প্রতিশোধ নেয়া; ২. ইসরাইলের সাথে আরব দেশগুলোর বিশেষ করে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিরোধিতার একটি কঠিন বার্তা প্রেরণ; ৩. ইসরাইলের কারাগার বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করার জন্য বন্দিবিনিময় নিশ্চিত করা এবং ৪. ৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা।

এই আক্রমণের পক্ষে-বিপক্ষে বিশ্বব্যাপী সমর্থন ও প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তুরস্ক, ইরান, ইরাক, কুয়েত, ইয়েমেন ও নিউ ইয়র্ক, লন্ডনসহ ইউরোপের প্রায় ২০টি শহরে হাজার হাজার মানুষ ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। আর ইরান সরকার সরাসরি এই আক্রমণকে সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উপদেষ্টা ইয়াহইয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ‘We will stand the Palestinian fighters until the liberation of Palestine and Jerusalem’ (ডেইলি স্টার : ৮ অক্টোবর ২০২৩) অন্যদিকে আমেরিকা ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা এই আক্রমণের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। এই হামলাকে তারা সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘We stand ready to offer all appropriate means of support to the government and people of Israil’ (প্রাগুক্ত)। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘We stand in solidarity with Israel at this difficult hour’ (প্রাগুক্ত)। এমনকি স্বাধীনতাযুদ্ধে ব্যস্ত-বিধ্বস্ত ইউক্রেনও ইসরাইলের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সঙ্ঘাত অবসানে ইসরাইল-ফিলিস্তিন আলাদা দুই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা।’ (নয়া দিগন্ত : ৯ অক্টোবর ২০২৩) রাশিয়াও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা বলেছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘Explosive situation as a result of the continued occupation and deprivation of the Palestinian people’s legitimate right’ (ডেইলি স্টার : ৯ অক্টোবর ২০২৩)।

এই যুদ্ধে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া দ্বিমুখী। তারাই সৃষ্টি ও লালন-পালন করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী করে তুলেছে ইসরাইলকে। ১৯৪৮ সালে ইহুদিদের সন্ত্রাসী আক্রমণে নিজেদের ক্ষতি সাধন সত্ত্বেও ব্রিটেন তৎকালীন ফিলিস্তিনের ভূমিতে প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে। তারপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সর্বপ্রকার সরাসরি সাহায্য করে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আউটপোস্ট হিসেবে ব্যবহার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসম্পদ ও মুসলমানদের ওপর আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে ইসরাইল নামক আউটপোস্ট মার্কিনিদের অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে মার্কিনিরা ইসরাইলকে সরাসরি অস্ত্র-সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করে টিকিয়ে রাখে। এমনকি মার্কিনিরা ইসরাইলকে পারমাণবিক বোমায় সমৃদ্ধ করেছে, অন্যদিকে ইরান যেন কোনোভাবেই পারমাণবিক বোমার অধিকারী হতে না পারে সে জন্য যুগ যুগ ধরে স্যাংশন দিয়ে রেখেছে ইরানের ওপর। এই সুযোগে ইসরাইলি সশস্ত্রবাহিনী দশকের পর দশক ধরে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যা, বন্দী, নির্যাতন করে যাচ্ছে নির্বিচারে। প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীদের গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। একের পর এক ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে দখল করে নিচ্ছে। এর প্রতিবাদে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে ইসরাইলিরা জবাবে গুলি ছুড়ছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল সামরিক স্থাপনায় রকেট ছুড়লে তাদের বিমানবাহিনী ফিলিস্তিনি বস্তিগুলোর উপর নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে। নিরীহ বেসামরিক নাগরিকের উপর বিমান হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলিদের আত্মরক্ষার অধিকার বলে সমর্থন করছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইসরাইলি সশস্ত্রবাহিনীর হামলার মোট ছয় হাজার ৪০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর সংঘর্ষে ইসরাইলি নিহত হয়েছে মাত্র ৩০৮ জন।

ইসরাইলি সশস্ত্রবাহিনী ফিলিস্তিন ভূখণ্ড গাজায় ২০০৮-০৯ সালে ২৩ দিন, ২০১২ সালে আট দিন, ২০১৪ সালে ৫০ দিন এবং ২০২১ সালে ১১ দিনের আক্রমণ পরিচালনা করলে উপরোক্ত সংখ্যার ব্যক্তিরা নিহত হয় আর এক লাখ ৫২ হাজার ৫৬০ জন ফিলিস্তিনি এবং ছয় হাজার ৩০৭ জন ইসরাইলি আহত হয় (আল-জাজিরা : ৭ অক্টোবর ২০২৩)। ইসরাইলি বাহিনীর ওইসব আক্রমণকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা ইসরাইলিদের আত্মরক্ষার অধিকার বলে উৎসাহিত করেছে। আর ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা যুদ্ধের অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক আক্রমণ পরিচালনা করলে এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করছে। আজ যে মার্কিনিরা এই প্রতিরোধ হামলায় এত উচ্চকণ্ঠ হয়েছে ঠিক তারাই ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলিদের চাপিয়ে দেয়া ‘নাকবা’ ধ্বংসযজ্ঞের সময় নীরব থেকেছে এবং ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি হত্যাকারী ইসরাইলি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নীরব সমর্থন দিয়েছে। এখানেই আমেরিকা ও পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির কালো চেহারাটি স্পষ্ট।

বিশেষজ্ঞদের মতে ‘হামাসের’ এই হামলা সময়ের দাবি ছিল। যুগের পর যুগ যেভাবে ইসরাইলের সশস্ত্র সেনারা নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণকে শিশু-নারী-বৃদ্ধ-নির্বিশেষে নির্যাতন, জেলবন্দী, হত্যা, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে ভূমি দখল ও তাদের ধর্মীয় আবেগের স্থান মসজিদুল আকসা অপবিত্র করে আসছে সেসবের একটি পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে হতাশা, প্রতিশোধ গ্রহণ, নিজের প্রতিরক্ষার সামর্থ্য জানান দেয়া এবং স্বাভাবিক মানবিক মর্যাদা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যেই ‘হামাস’ এই আক্রমণ চালিয়ে থাকতে পারে। এটিকে কিছুতেই সন্ত্রাসী আক্রমণ বলা যায় না। এটি বরং ফিলিস্তিনিদের প্রতিরক্ষা যুদ্ধ। ‘হামাস’ সবদিক বিবেচনা করে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব কষেই এই আক্রমণ চালিয়েছে। আক্রমণের ফলাফল, বিশ^ প্রতিক্রিয়া, ইসরাইলের নৃশংস-বর্বর প্রতিশোধপরায়ণতা ইত্যাদি সবই তারা বিবেচনায় রেখেই এই হামলা চালিয়েছে। মনে হয়, তারা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়েই তাদের চেয়ে শতগুণ শক্তিধর ইসরাইলে হামলা করেছে।

অন্যদিকে ইসরাইলও অনেকগুণ শক্তি নিয়ে প্রতিআক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যেই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ‘গাজাকে জনমানবশূন্য দ্বীপে পরিণত করব।’ (প্রথম আলো : ৯ অক্টোবর ২০২৩)। ফলে গাজায় জনবহুল এলাকাগুলোতে অনবরত বিশাল হামলার অংশ হিসেবে গাজার খাদ্য, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে। হামাস যোদ্ধারাও রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলের প্রতিআক্রমণের বিপরীতে ফিলিস্তিনিদের প্রস্তুতির খবর জানা না থাকলেও ইসরাইলি বাহিনী ‘পোড়ামাটি নীতি’ অবলম্বন করে পুরো গাজাকে ধুলায় পরিণত করবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে পুরো বিশ^ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে। ইরান সরাসরি হামাসের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। জো বাইডেন বলেছেন, ‘The US warns against any other party hostile to Israel seeking adventage in this situation’ (ডেইলি স্টার : ৮ অক্টোবর ২০২৩)। অর্থাৎ মার্কিনিরা এরই মধ্যে ‘প্রিএ্যাম্পটিভ’ পদক্ষেপ নিয়েছে। কঠোর বার্তা দেয়ার পাশাপাশি তারা রণতরী ভাসিয়ে দিয়েছে ভূমধ্যসাগরের উদ্দেশে। হয়তো বা মার্কিনিরা ইরান এবং রাশিয়া ও চীনের এই যুদ্ধে যুক্ত হওয়া নিবৃত্ত করতে চাইছে। তাইওয়ান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ মধ্যপ্রাচ্যে নিবদ্ধ রাখার কৌশল হিসেবে চীন গোপনে হামাসের পাশে দাঁড়াতে পারে। আবার ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমাদের সরাসরি সহযোগিতাকে হালকা করে ফেলার কৌশল হিসেবে রাশিয়াও ফিলিস্তিনের সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত হতে পারে। চীন-রাশিয়া জানে ইসরাইলের সাথে মার্কিনিরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই সুযোগে তারা আমেরিকাকে শায়েস্তা করার কৌশল হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে। আর মুসলিম দেশগুলোর জনগণ নিজেদের সরকারকে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি পৃথিবীকে দীর্ঘমেয়াদি আরেকটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এরই মধ্যে ইসরাইলের উত্তর সীমান্ত দিয়ে লেবাননের ‘হিজবুল্লাহর’ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। এই হিজবুল্লাহর সংশ্লিষ্টতা ইসরাইলের জন্য সমূহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। যুদ্ধের শুরুতেই মিসরে এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে দু’জন ইসরাইলি পর্যটক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটি বিশ^জুড়ে ইসরাইলি নাগরিকদের অনিরাপদ হয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসে, ইসরাইল কি তাদের পোড়ামাটি নীতি থেকে সরে আসবে? নাকি চরম হুমকির মধ্যে প্রবেশ করবে!

চলমান যুদ্ধে ইসরাইল যে অজেয় নয়, সেটি প্রমাণিত। হামাস তাদের অহঙ্কার মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। তাদের মাথায় রাখতে হবে- অহঙ্কার, প্রতিহিংসা, মার্কিন সহযোগিতা আর অস্ত্রের শক্তিমত্তা তাদেরকে নিরাপদ রাখতে পারবে না। নিজেরা নিরাপদ থাকতে হলে অন্যদেরও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে, ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email : maksud2648@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement