০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লাগসই প্রযুক্তি টেকসই উন্নয়ন

লাগসই প্রযুক্তি টেকসই উন্নয়ন - নয়া দিগন্ত

সন্দেহ নেই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশের সনাতন সমাজব্যবস্থা, রাজনৈতিক অর্থনীতি, প্রাকৃতিক পরিবেশ যুগসন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। কঠিন সময় পার করছে মানুষ ও প্রকৃতির মেলবন্ধন পরিস্থিতি, আস্থা অনাস্থার অনুভব, জলবায়ুর পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের টালমাটাল মোহনায় সবাই। জনগণের উপলব্ধিতে জমছে নিত্যনতুন বিস্ময়, অনির্বচনীয় সব আচার আচরণ এবং পদ্ধতি প্রক্রিয়ার হরেক রকম উত্থান-পতন। একটি ঘটনার ঘনঘটা শেষ হতে না হতে আরেকটি ঘটনা নাটকীয়ভাবে এসে হাজির হচ্ছে ঘরের ও বাইরের সব রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে। স্থান কাল পাত্র ভেদে সবাই যাতে নাটকীয়তায় মেতে থাকে তেমনভাবে চলছে যেন সাজানো সব কিছু। কূটকৌশল শাস্ত্রে এটিকে ‘স্বার্থজড়িত মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি ফেরানোর উৎকৃষ্ট উপায়’ কিংবা বঙ্গীয় বাগধারায় যাকে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ সৃষ্টির ’ সাথে তুলনা করা হয়।

এই বিশাল পরিবর্তনের পেছনে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার অপব্যবহার অপপ্রয়োগ অপপ্রয়াসের মাত্রাগত ওঠানামা যেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে; তেমনি যাবতীয় উন্নয়ন অভিযাত্রাকে টেকসইকরণে মনোযোগে মানোমালিন্যের দৈন্য ও দুর্দশার সুর শোনা যাচ্ছে। লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া কোনো উন্নয়ন যেমন সম্ভব নয়; তেমনি সেই উন্নয়নে টেকসইকরণের ভাবনা সাথে সংযুক্ত না থাকলে তা সময়ের অবসরে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। লাগসই প্রযুক্তির প্রকৃষ্ট ব্যবহার সার্বিক উন্নয়ন প্রয়াসকে অর্থবহ করে তোলে। কৃষিজমিতে ধান ফল ফসল উৎপাদনের চেয়ে সেখানে লোনা পানি তুলে পরিবেশ বিপন্ন করে মাছের চাষের লাগসই প্রযুক্তি আপাত আর্থিক লাভ ঘটায় বটে; কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়নে কতটা কার্যকর বা কতটা সুবিবেচনাপ্রসূত প্রয়াস তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা ওঠে আসে। লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার তখনই তাৎপর্যবহ হবে যখন দেখা যাবে ন্যূনতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যতীত, বর্জন ও অর্জনের মধ্যে দূরত্ব দৃশ্যগোচর হয়ে দেশজসম্পদ ও সেবা উৎপাদন নিরাপত্তার সাথে নির্ভরতার সাথে অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে সময়ের কষ্টিপাথরে যা যাচাইযোগ্য হয়ে স্থায়িত্ব লাভ করে তাইই টেকসই উন্নয়ন। দুর্নীতি যেমন সুনীতিকে বাজার থেকে ঝেঁটিয়ে লাঠিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছে, তেমনি হাইব্রিড ভাব-ভাবনারা অনুভবের হাটে মাঠে ঘাটে নানান ফন্দিফিকির এঁটে চলেছে। অনেকের অসাবধান অশালীন উচ্চারণে সামাজিক সৌহার্দ্যরে পরিবেশ পঙ্কিলতায় ভরে যাচ্ছে।

সবুজ বিপ্লবের মতো কৃষি বিপ্লবের জয় জয়কার সর্বত্র। এটি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত বটে। কিন্তু দেখা দরকার এ কৃষি বিপ্লব পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রকৃত প্রস্তাবে কেমন প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। খাদ্যে কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে পোকামাকড় দমনের নামে, অধিক ফসল উৎপাদনের আশায় অজৈব সারের ব্যবহার বেড়ে গেছে অসম্ভব উপায়ে, অধিক সময় ধরে অপচনশীলতা নিশ্চিত করতে মেশানো হচ্ছে ফরমালিন, গরু মোটাতাজা করতে হরমোন পরিবর্তন এবং মাছের চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনে মাছকে খাওয়ানো হচ্ছে উচ্ছিষ্ট উদ্ভূত নানান ফিড। এখন এই কীটনাশক, সার, ফরমালিন, ফিড বিভিন্ন উপায়ে অপ-উপসর্গ হয়ে মানবদেহে ঢুকছে এবং এর ফলে জনস্বাস্থ্যে ক্ষতিকর আপত্তিকর অগ্রহণযোগ্য অনেক কিছু জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বর্মকে করেছে পর্যুদস্ত। হাসপাতালগুলোতে জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভোগা রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে প্রাকৃতিক চাষাবাদ পদ্ধতিকে টপকে জমিজমার কৌলিন্য নষ্ট করে সহজে সস্তায় অধিক অর্থকরী ফসল ও মাছ চাষের আয়োজন অবারিত চলছে সে সব অঞ্চলে।

এ কথা ঠিক ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো ধ্র“পদ ও ধীরগতি প্রকৃতির কৃষি (খাদ্যশস্য, মৎস্য, আমিষ শর্করা) উৎপাদনব্যবস্থা দিয়ে সম্ভব নয়। জমিতে আগে একটি ফসল (আমন ধান) ফলানো হতো এখন তিন তিনটি ফসল ফলানো হচ্ছে। ক্ষয়িষ্ণু জমির উর্বরা শক্তি ঠিক রাখায় প্রয়োগ করা হয়েছে উচ্চ ডোজের সার ও কীটনাশক। এক দিকে বর্ধিত উৎপাদনের উপকারিতা অন্যদিকে প্রক্রিয়াগত স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনের মওকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি, মানব ও জীবদেহে সংক্রামিত রোগব্যাধির প্রকোপ তার জন্য দেশে এবং বিদেশী মুদ্রার ব্যয় (বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ) বাড়ছে। উপকার এবং অপকারের সালতামামি সমন্বয় সাধন করে দেখা যায় উন্নয়নের জন্য মূল্য দিতে হচ্ছে সবাইকে। অথবা কোনো উন্নয়নই বিনা বাক্য ব্যয় কিংবা লেনদেনে হয় না।
নগরায়ণ বাড়ছে। গ্রামের মানুষ জীবন ও জীবিকার টানে নগরে পাড়ি জমাচ্ছে। শহরে সেই মানুষের ঠাঁই দেয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে শহরের উপকণ্ঠ যে গ্রাম সেই গ্রামও শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে দ্রুত। গ্রামের টাটকা ফল ফলাদি মাছ গোশত দুধ সবই এখন শহরে বর্ধিত চাহিদা মেটাতে চলে যাচ্ছে।

গ্রামে মানুষ থাকছে না, শহরে গিয়ে গ্রামের সামগ্রীর চাহিদা সৃষ্টি করছে। যারা যদিওবা গ্রামে থাকছে তারা আর পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। তারা অধিক লাভের আশায় নিজেদের সনাতন চাষপদ্ধতি সনাতন সব আচার আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে অতি আধুনিক চাষবাস ব্যবহার করে হাইব্রিড উন্নয়নের পথে পা বাড়াচ্ছে। কেননা স্ফীতকায় নগরের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে তাদের। গ্রামের মানুষ শহরে এসে বন্দিত্ব বরণ করছে সীমাবদ্ধ নাগরিক জীবনে। তাদের খেলার মাঠ নেই, সাঁতার কাটার পুকুর নেই, উদার উন্মুক্ত বাতাস সেবনের সুযোগ নেই। যন্ত্রের মতো নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত হতে গিয়ে তাদের পারিবারিক ঐক্য, পাড়া প্রতিবেশীর প্রতি মমতা, সামাজিক সখ্যতা সবই হারাতে হচ্ছে। একে কি যথার্থ জীবনযাপন বলে? প্রত্যেকের জীবন যার যার তার তার। গ্রামের জীবন আর শহরের জীবনের মধ্যে সমান্তরাল সাযুজ্য হারানোয় এখন শহরে বড় হচ্ছে যে শিশু সে গ্রামকে আর জানতে পারছে না- টাটকা ফল ফসলের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত ফুড খেতে খেতে নগরায়ণের সীমাবদ্ধ সময় ও পরিসরে তার জীবনকে যেন ই-পদ্ধতি প্রক্রিয়ার ছকে বেঁধে ফেলছে। একসময় সুযোগ পেলে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বিদেশে পাড়ি জমানোর তাগিদ ও প্রয়োজনীয়তা এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ছোট নৌযানে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার ঝুঁকি নিতে হচ্ছে তাকে। জীবন ও জীবিকার সন্ধানে মানবের বিশ্ব ভ্রমণ নতুন কোনো বিষয় নয়, মহাদেশ থেকে মহাদেশান্তরে মানুষ প্রত্যাবাসিত হয়েছে, পাচার হয়েছে। ভারতবর্ষের মানুষ সুদূর আফ্রিকার মরিশাস, ফিজি, এমনকি ল্যাটিন আমেরিকার ত্রিনিদাদ টোবাগোতেও গেছে। সিল্ক রুট দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ ভারতবর্ষ হয়ে সুদূর চীন ও সাইবেরিয়া হিমাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। আজ আমরা টেকনাফ দিয়ে ছোট যানে মানুষকে মালয়েশিয়া যেতে দেখে কিংবা ভূমধ্য বা লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে সলিলসমাধি হওয়ার খবরে শিউরে উঠছি। কিন্তু কেন এই এক্সোডাস তা ভেবে দেখছি না- তাদের এভাবে যাতে যেতে না হয় কিভাবে উন্নত উপায়ে নিরাপত্তার সাথে সম্মানের সাথে এ প্রত্যাবাসন হয় সেটি আধুনিক যুগের নেতৃত্বকে দেখতে হবে। টেকসই উন্নয়নের যদি কথা বলি মানবসম্পদ পাচারের এ প্রবণতা সঠিক ধারায় আনা দরকার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ যোগাযোগের দুয়ার খুলতে কূটনৈতিক উদ্যোগ আধুনিক সরকার এর তরফে যেমন জরুরি; তেমনি যারা যাবেন তারা যেন যথা প্রশিক্ষিত ও প্রবুদ্ধ হয়ে পাড়ি জমান বিদেশ বিভুঁইয়ে। সেজন্য দেশের অভ্যন্তরে উপযুক্ত শিক্ষা প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরির বিকল্প নেই।

শিক্ষা মানুষকে চক্ষুষ্মান করে। শিক্ষায় মানুষের মাঝে ঘুমিয়ে থাকা শক্তি সুপ্তাবস্থা থেকে জেগে ওঠে। শিক্ষা মানুষের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে। তার অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ, সবাক, সকর্ম করে তোলে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার যেমন বিকল্প নেই, জাতীয় জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষায় বিনিয়োগেরও কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষা মূল্যবোধকে জাগ্রত করার কথা, মূল্যবোধ অবক্ষয়ের উপলক্ষ হওয়ার কথা নয়। শিক্ষার্থীর মনে ভালো-মন্দ জ্ঞানের বিকাশ, দায়দায়িত্ব বোধ, স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার আচরণের উদগাতা ও উপলক্ষ উপলব্ধি, পারঙ্গমতা তথা দক্ষতা ও যোগ্যতা সৃষ্টিতে যদি না হয় শিক্ষা, বরং শিক্ষা যদি হয় ঠিক বিপরীত; তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক অবস্থা আর কী হতে পারে? প্রযুক্তি শিক্ষা প্রৎকর্ষতা অর্জনে, প্রযুক্তিকে কাজে লগিয়ে নতুন পথে নতুন উদ্যমে সময় ও সামর্থ্যকে সাশ্রয়ী করে তোলে অধিক সক্ষমতা অর্জনে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি যদি অসৃজনশীল, অপচয় অপব্যয় অপ অভ্যাস গড়ে তোলার পথ পায় তাহলে সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য।

পল্লী অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান পরিবেশ, ব্যবস্থাপনার সুযোগ সুবিধার সাথে শহরের শিক্ষায়তনগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। মফঃস্বল থেকে পাস করা মেধাবী ছাত্ররাও শহরের শিক্ষায়তন থেকে পাস করাদের সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না। এভাবে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যে মেধার বিকাশ সীমিত ও শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ছে। দেশের ভবিষ্যৎ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে এ বৈষম্য সৃষ্টি উদ্যোগ তথা অপয়া অবস্থা দেশ ও জাতির জন্য অশেষ দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে। মেধাশূন্য বিপুল জনগোষ্ঠী সম্পদ না হয়ে সহস্র সমস্যার শৈবালদামে পরিণত হয়ে দেশ ও জাতির বহমানতাকে ব্যাহত করতে থাকবে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. এ পি জে আবদুল কালাম বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের তরফ থেকে ৮৩ বছর বয়সী এই চিরতরুণ তত্ত্ববিদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গোটা উপমহাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভিপসায় তার বার্তা কী? তিনি পরামর্শে সোজাসাপটা বলেছেন- ১. বাড়িতে পিতা-মাতা ও ২. প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে দায়িত্বশীল হতে হবে, তাদের দায়িত্বশীল পেতে হবে। তাদের দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ পেতে হলে তাদের প্রতি বলিষ্ঠ সুনজর দিতে হবে। জাপানে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে সবিশেষ সযতœ ও সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পরিবারে পিতা-মাতা কোনোভাবে ভবিষ্যৎ পরিবার দেশ ও সমাজে উপযুক্ত সদস্য সরবরাহে অমনোযোগী হতে পারেন না। সন্তানকে উপযুক্ত আদর্শ, মূল্যবোধ ও চেতনাদাত্রী হিসেবে তারা তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালনে প্রথমত নিজেদের ও সংসারের স্বার্থে এবং প্রধানত পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে অবশ্যই মনোযোগী হবেন। আর এই ‘সকল মানুষের দ্বারা’, ‘সকল মানুষের জন্য’, ‘সকল মানুষের সরকার’ পরিবার, সংসার, সমাজ ও দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃজনে- নিয়ন্ত্রণে, উদ্বুদ্ধকরণে, প্রণোদনে, প্রযত্ন প্রদানে অর্থনৈতিক রাজনীতি নিষ্ঠায়, ন্যায়-নির্ভরতায়, স্বচ্ছতায়, জবাবদিহিতে, সুস্থ সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য-সখ্যতার সন্দেশ সুনিশ্চিত করবেন। সে নিরিখে মানবসম্পদ তথা সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নবযুগের যে শিক্ষার দরকার; সেই শিক্ষার পথে আমরা আছি কিনা বারবার তার মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা হওয়া দরকার।

লেখক : উপকূলীয় উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক


আরো সংবাদ



premium cement
জাল দলিলে আপনার জমি দখল হয়ে গেলে কী করবেন? আমির খানকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিশেষ সম্মাননা টানা জয়ের খোঁজে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ ‘শুক্রবার ক্লাস নেয়ার বিষয়টি ভুল করে ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল’ চকরিয়ায় চিংড়ি ঘের থেকে একজনের লাশ উদ্ধার জনগণের কথা চিন্তা করে জনবান্ধব আইন তৈরি করতে হবে : আইনমন্ত্রী হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ : কৃষি মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার চায় শিক্ষক সমিতি কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তঃসত্তা মা ও পাঁচ বছরের ছেলের মৃত্যু ঝড়ে পড়ে যাওয়া মাদরাসা ঘর এক মাসেও মেরামত হয়নি গুচ্ছের‘বি' ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশ ৩১ হাজার

সকল