২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘সক্ষমতা যত ব্যত্যয় দূর করতে পারে’

‘সক্ষমতা যত ব্যত্যয় দূর করতে পারে’ - নয়া দিগন্ত

দেশের রাজনৈতিক নির্বাহীদের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত গুণ হচ্ছে সক্ষমতা। যোগ্যতাই বস্তুত সক্ষমতা এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। রাষ্ট্রতরিকে সফলতার ঘাটে পৌঁছে দিতে। যোগ্যতাজনিত সক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই। সক্ষমতা এমন এক বিষয়, যার কোনো প্রচার প্রোপাগান্ডার প্রয়োজন পড়ে না। সক্ষমতার স্ফূরণ স্বতঃই পরিস্ফূট হয়ে ওঠে। তাই সক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রচার ও অপবাদ দিয়েও তার উজ্জ্বলতাকে ম্লান করা যায় না। এটা কোনো গিল্টি করা সোনা নয়। ঝরনা যেমন মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসে তার ফল্গুধারা হাজারো তৃষ্ণার্তের পিপাসা মিটায়। তেমনি সক্ষমতা-যোগ্যতা ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। সূর্যের আলোক-রশ্মি যেমন সবাইকে সমভাবে কিরণ বিলিয়ে দেয়। সর্বত্র জীবনের স্ফূরণ ঘটায়। সক্ষমতা ঠিক তেমনি প্রতিটি জনপদের মানুষের যথাসম্ভব সমৃদ্ধি-প্রশান্তি ও আনন্দের সন্ধান দিতে পারে। কিন্তু সক্ষমতার যখন ঘাটতি হয়। তখন সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে ছড়িয়ে দিতে পারে অনিয়ম অবক্ষয় আর অনাচার। ব্যক্তি ও সামষ্টিক জীবনকে তখন অসহনীয় করে তুলতে পারে। তখন সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়ার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। রাষ্ট্রযন্ত্র যখন বিকল বলে প্রমাণিত হয়। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক নির্বাহীদের অক্ষমতা অদক্ষতা তার মৌলিক কারণ। বাংলাদেশে এখন এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি।

এমন অবস্থার সম্মুখীন হওয়া ঠেকানো যেত। আগে থেকে যদি দেশে জবাবদিহিতার শৈলী অনুসরণ করা হতো। তাহলে আচমকা এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে হত-বিহ্বল হওয়ার দশা হতো না। যোগ্যতাকে মূল্যায়ন, যোগ্যতাকে শাণিত করার অন্যতম পথ হচ্ছে, একমাত্র জবাবদিহিতা। জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারে মুক্ত কোনো আলোচনা। অবশ্যই এমন আলোচনা সমালোচনার ফোরাম হচ্ছে জাতীয় সংসদ। কিন্তু আজকে চলমান সংসদে সেই শৈলীর চর্চা কোথায়! এমন শৈলীর অনপুস্থিতির অন্যতম কারণ এই সংসদের গঠন প্রক্রিয়া তথা এর নির্বাচন নিয়ে যত গলদ এবং শত প্রশ্ন রয়েছে। শুধু এতটুকুই বলা শ্রেয় যে, এসব ভোটে যে সদস্যরা সংসদে বসেছেন। যথার্থ অর্থে কেউই জনপ্রতিনিধি নন বলে হরহামেশা সমালোচিত হয়ে আসছেন। অথচ এই সংসদের সদস্যরাই এখন দেশের রাজনৈতিক নির্বাহী পদে সমাসীন। তাদের দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনের বহু ব্যত্যয় এখন নিয়ত লক্ষ করা যাচ্ছে, যা খুবই স্বাভাবিক। কেননা তারা জনগণ দ্বারা নয় বরং স্ব-নির্বাচিত।

বিগত দিনে একাদশ সংসদের নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এমন আশঙ্কা এখন প্রবল যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সেই একই রকম প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তোড়জোড় চলছে। ফলে আগামীতে তারাই দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হবেন। এটাই স্বতঃসিদ্ধ। এর ফলে কি সম্মুখে হবু রাজনৈতিক নির্বাহীদের ‘কাছ থেকে জাতি সেই পূর্বের মতোই যোগ্যতা(!) দক্ষতা(!) লাভ করবে না? প্রশাসনিক ব্যবস্থা এখন যে তিমিরে সেখানেই তার অবস্থানের সম্ভাবনা থাকছে শতভাগ।

আসলে প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন না হলে-বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত হয়ে আসা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। জনগণ যাদের নির্বাচিত করে থাকে। তারা পরীক্ষিত এবং তাদের যোগ্যতা দক্ষতা ও সততা সক্ষমতাকে বিচার-বিবেচনা করেই জনগণ তাদের বিজয়ী করে। এটাই ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রযন্ত্র বিকল হওয়ার পথে। তার প্রধান কারণ দেড় যুগ থেকে দেশে যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়ে আসছে। তাতে সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে শুদ্ধতার বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিগত দুটো নির্বাচনের কোনোটাই অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ ছিল না। সর্বোপরি জনগণের ভোট দানের মৌলিক অধিকারটুকু পর্যন্ত প্রয়োগ করার সুযোগ ছিল না। সেই পাতানো নির্বাচনে শাসকদলের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে ‘বিজয়’ অর্জন করেছে। তাদের নির্বাচিত হওয়ার মতো দক্ষতা, বিশ্বস্ততা, যোগ্যতা যাচাইয়ের কোনো প্রয়োজন পড়েনি। এখন তারাই রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালনা করছে। সেই ‘নির্বাচিত’ ব্যক্তিদের দক্ষতা যোগ্যতার অভাবজনিত কারণেই রাষ্ট্রের সব কল এখন বিকল প্রায়।

আগামীতে যদি এইসব ‘কৌশলী’ ব্যক্তিদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা যদি হয়। তবে চোখ বন্ধ করেই বলা যাবে। তার স্বরূপ কী হবে এবং কোন ফল তাতে ফলবে। আর ইসি! তাদের ভূমিকা আর রাজনৈতিক প্রশাসনের ভূমিকা সবসময়ই সমান্তরালভাবে অগ্রসর হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে ইসি কেমন নির্বাচন করতে চায়। সেটি একেবারে স্বচ্ছ পানির মতো, কারো অবলোকন করতে এতটুকু কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি দেশের বহুল প্রচারিত এক দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছে।

সেই খবরটির শিরোনামই অনেক কিছুই বলে দেবে। সেই শিরোনাম হচ্ছে ‘নামসর্বস্ব ও দল-ঘনিষ্ঠদের সংস্থাও হচ্ছে পর্যবেক্ষক।’ সেই প্রতিবেদনটির সামান্য কিছু অংশ এখানে তুলে দেয়া হলো। এতটুকুতেই পাঠক সব বুঝতে সক্ষম হবেন। ইসি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা কেমনভাবে করতে চায়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কোনো কার্যক্রম নেই, এমন কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দেয়ার জন্য নির্বাচিত করেছে ইসি। যে ৬৮টি সংস্থার মধ্যে কয়েকটির প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। বেশির ভাগ সংস্থারই পর্যাপ্ত লোকবল নেই। ফলে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার মতো দক্ষতা-সক্ষমতা, এসব সংস্থার আসলেই আছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে এসেছে।’ অবশ্যই এসব সংস্থার কাছে ইসি তাদের মনমতো নির্বাচনের রিপোর্টই পাবে। বর্তমান ইসির মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে সংবিধান অনুসরণ করার মতো ভূমিকা থাকবে! এমন কিছু আশা করা এখন একেবারেই আহাম্মকের কাজ।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের অক্ষমতার বিষয়ে নানা অভিযোগে ভিত্তিতে তৈরি পত্রিকার বহু প্রতিবেদনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন এখানে তুলে ধরা হলো। সেই একই দৈনিক একটি প্রতিবেদনের সারাংশ তুলে ধরা হচ্ছে। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘চালুর আগেই বেঁকে গেল রেললাইন।’ এই প্রতিবেদনে হাইলাইট হচ্ছে ‘সাতকানিয়ায় বানের পানিতে ভেসে গেছে রেললাইনের পাথর ও মাটি। উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে রেললাইন। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাতায়াতের বিষয় নিয়ে। বৃষ্টি ও বানের পানিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই রেল পথ। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই পথ নির্মিত হচ্ছে। ওইসব দুর্যোগ দুর্বিপাক বিবেচনায় নিয়েই এই পথ তৈরি করা হয়েছিল কি? এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সর্বস্তরের প্রশাসনই রেল পথটি যথাযথ তদারকি করলে হয়তো রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে সব পানিতে ভেসে যেত না। আজ কি আর কোনো জবাবদিহিতা দেশে বিদ্যমান। সব পর্যায়ের নির্বাহীরা এখন নির্লিপ্ত নির্বিকার। এখন এভাবে চলছে প্রশাসন, ডিজিটাল যুগে এনালগ পদ্ধতিতে।

এবার বৃষ্টি বাদলে চট্টগ্রাম শহরসহ গোটা বিভাগে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এই নিবন্ধে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক থেকে পাওয়া বহু তথ্যের মধ্যে সামান্য কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হয়তো হবে না। যেমন এক বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক চট্টগ্রাম শহর নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণের চারটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হলেও সেগুলোর একটিও এখনো শেষ করা যায়নি। যদিও এ বাবদ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা এরই মধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে। অথচ চলতি বছর এ পর্যন্ত ১০ বার পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম মহানগরী। কিন্তু এ হিসাব হয়তো কারো কাছে নেই যে, চট্টগ্রাম শহর ডুবে গিয়ে কত হাজার কোটি টাকার সম্পদ নগরবাসীর ক্ষতি হয়েছে। আজকে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রশাসন এভাবেই চলছে।

অর্থ পাচার হয়ে যাওয়া এখন বাংলাদেশের কাছে যেন গা সহা হয়ে গেছে। কথায় বলে ‘অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর।’ বাংলাদেশের মানুষ এখন পাথর হয়ে গেছে। শত কৌশলে এখন দেশ থেকে টাকা পাচার করা হচ্ছে। তবে ‘কৌশল’ শব্দটি কখনো কখনো ইতিবাচকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই ‘কূট’ বিশেষণটি কৌশল শব্দটির সাথে যোগ হলে সেটা নেতিবাচক বলে বিবেচিত হতে পারে। সে যাক হোক, এখন সে খবরটির নির্যাস এখানে তুলে ধরা হলো। সেটি একটি জাতীয় দৈনিকের খবর। তার শিরোনাম ‘সাত কৌশলে রফতানির আড়ালে অর্থ পাচার যেসব কূটকৌশলে হচ্ছে, তার খতিয়ান পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে। ওভার ও আন্ডার ইনভয়েন্সি, কম ঘোষণায় বেশি রফতানি, বেশি ঘোষণায় কম রফতানি, কাগজপত্র জালিয়াতি করে রফতানি, ভুয়া রফতানি, শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে পণ্য রফতানি। পত্রিকার সে রিপোর্টের সাথে বিশেষজ্ঞদের মতামতও জুড়ে দিয়েছে। তারা বলেছেন, অসৎ ব্যবসায়ী, কাস্টমস ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া কোনো অর্থ পাচারই সম্ভব নয়। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এটা থামবে না। দেশের অবস্থাটা আজ এমন, সব ওলোট-পালট করে দে মা, লুটে পুটে খাই। সেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, রফতানির আড়ালে অর্থপাচারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। সরকারি প্রণোদনা হাতিয়ে নিয়েও রফতানিতে জালিয়াতি করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রশাসনের অনুরাগের পাত্র। এখন দেশের প্রশাসনের সর্বপর্যায়ের নির্বাহী কি রাষ্ট্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মনে করার কোনো কারণ আছে? মাছের মাথায় পচন ধরলে সেটা আর খাওয়ার যোগ্য থাকে না। এই একটা বাক্যের মধ্যে বড় একটা বার্তা অনুসন্ধান করা জরুরি।

প্রশাসনের সর্বস্তরে এখন একটা বেপরোয়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই ধারণা এমনি এমনি উদয় হয়নি। সমাজ-বাস্তবতা সেই বোধকে জাগ্রত করেছে। আইন-কানুন ও আদালতের দেয়া সিদ্ধান্তকে পর্যন্ত উপেক্ষা করার নজিরও কম নয়। ‘আদালতের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নের অনীহা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন অতিসম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পেয়েছে। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘জনস্বার্থ’ মামলার রায় বাস্তবায়নে অনীহা।’ সেই প্রতিবেদনের কিয়দাংশ তুলে ধরা হলে পাঠক সমাজের কাছে পরিষ্কার হবে। সে প্রতিবেদনে রয়েছে, চার বছর আগে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাস্থল ধ্বংসের জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপকভাবে কার্যকরী ওষুধ ছিটানো ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুল-কলেজ, অফিস আদালত এক বা দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সবাইকে নিয়ে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের জনস্বার্থে করা এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন। তবে এইচআরপিবি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সংশ্লিষ্ট পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।’

এই নিবন্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বহু ব্যত্যয়ের মধ্যে তার সামান্য কিছু তুলে ধরা হলো। যদি এসব নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক কোনো অনুসন্ধান চালানো হয়। তবে দেখা যাবে এমন হাজারো ব্যত্যয়ের ঘটনা রয়েছে হয়তো তার পরিধি ও উচ্চতায় হিমালয়ের চূড়াকে স্পর্শ করে তার ওপরে উঠে যেতে পারে। এখন এসব অব্যবস্থা, অনিয়ম ও ব্যত্যয়গুলো কোন কারণে জমে উঠল। সেটা জনগণ কার কাছে জানতে চাইবে। নিশ্চয়ই প্রশাসনের কাছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটা কিভাবে চাইবে। আর তাদের কথা যাতে শুনতে না হয়। প্রশাসন সেজন্য কানে তুলা গুঁজে বধির হয়ে আছে। এমন বিষয়গুলো জনগণে পক্ষে জানবে জাতীয় সংসদ। কিন্তু কোথায় সেই সংসদ!

ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
বোয়ালমারীতে ২ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ কক্সবাজারে ডাকাত-র‍্যাব গোলাগুলি, কৃষক নিহত টুকুর সাজার প্রতিবাদে ফেনীতে যুবদলের বিক্ষোভ জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র সাময়িক বরখাস্ত পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনেরর মৃত্যু স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুমজা ইউসুফের পদত্যাগ মঙ্গলবারও বাড়বে তাপমাত্রা, অসহনীয় হবে গরম ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল মিয়ানমার আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ

সকল