৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিজ্ঞজনদের জন্য আভাস ইঙ্গিতই যথেষ্ট

বিজ্ঞজনদের জন্য আভাস ইঙ্গিতই যথেষ্ট - নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সম্প্রতিকালের বাক্য-বচন শোনার পর কোনটি যে তাদের মনের সত্যিকার কথা আর কোনটি নিছক ‘বাত কি বাত’। তারা এখন কোনো কথার ওপর স্থির থাকতে পারছে না। তাদের মনের কথাটি ঠাওর করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছে। সকাল দুপুর বিকেল সন্ধ্যায় তাদের কথার ঘন ঘন রূপ পাল্টে যাচ্ছে। তাতে অনেকে বিভ্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। কথার পর কথা বদলানোর কারণ নিয়ে বোদ্ধাদের অনুমান সেটি চিত্ত চাঞ্চল্যের বা অস্থিরতারই অভিব্যক্তি। এমন অনুমান একেবারে উপেক্ষা করার মতো নয়। বিশেষ করে পশ্চিমের রাজদূতদের তাঁতে টাকুর মতো দ্রুত দৌড়ঝাঁপ করার পরই ক্ষমতাসীনদের কথাবার্তার ধারাবাহিকতা থাকছে না। এ কারণে ক্ষমতাসীনদের স্নায়ুচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমন অবস্থায় তাদের কথাবার্তা বক্তব্য বিবৃতিতে কোনোভাবেই সুর-লয়ের মিল রাখাটা সম্ভব নয়।

তার পরও পক্ষশক্তির নেতারা বিশেষ করে তাদের সুহৃদ সহযোগী সংগঠনের নেতারা ও তাদের অনুগামী নেতাকর্মী-সমর্থকদের সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে এমন সব কথা। সরকার-সমর্থক বুদ্ধিজীবীরাও এসব কথায় উজ্জীবিত হচ্ছে। তাদের মুখে সরকারের সমর্থনে কথা ফুটছে। গ্রামাঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত আছে, সেটি হলো- ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দরো’। অর্থাৎ কর্তার চেয়ে কর্মীদের দৌরাত্ম্য বেশি। আরেকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে- আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে এক নামসর্বস্ব দলের নেতা। সবে ধন নীলমণি এতটাই উজ্জীবিত হয়েছেন, সরকারকে রক্ষার জন্য, তিনি তাল জ্ঞান হারিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঙ্কার ছেড়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তুমি হুঁশিয়ার-সাবধান! পরে তিনি নিভৃতে নীরবে অনুশোচনা করেন কিনা জানি না। এ কথা হয়তো পরে বুঝতে পেরেছেন। ভীমরুলের চাকেই ঢিল ছুড়েছেন তিনি। কথায় আছে শূন্য কলস বাজে বেশি। এসব ভেবে, তার প্রতি করুণা করাই যেতে পারে। এ তো গেল রাজনৈতিক অঙ্গনের আলাপচারিতা। আওয়ামী বলয়ের লেখক বুদ্ধিজীবীরা কতটা একপেশে ইদানীংকালে তাদের বক্তব্য বিবৃতি ও লেখায় সেটি পরিষ্কার হয়ে উঠছে। কেউ কেউ বলছেন, ‘ওরা (পশ্চিমের গণতান্ত্রিক শক্তি) কারা এবং কেন তাদের এত মাতামাতি।’ অথচ তাদের মুখে কুলুপ আঁটা, চীন-রুশ-ভারতের আনাগোনা নিয়ে। এমন বৈপরীত্য দেখে কেউ তাদের জ্ঞানপাপী ভাবতেও পারেন।

এসব কিছু একত্রে বিবেচনায় নেয়া হলে এটিই স্পষ্ট হবে, রাষ্ট্র এখন সুস্থ নয়। খোদ রাষ্ট্র যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, সে কারণে দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি ও সমাজজীবনে শান্তি স্বস্তি অগ্রগতি সব কিছু থেমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সব অশুভ শক্তির বিস্তার ও প্রভাব প্রবলতর হয়ে উঠে, যা এখন দেশের সামাজিক বিন্যাসের পরতে পরতে লক্ষ করা যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও আধা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চরম অস্থিরতা। সে কারণে সর্বত্র সব শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। সে জন্য অনিবার্যভাবে ভোগান্তি দুর্দশা তৈরি হচ্ছে নাগরিক জীবনে। এ থেকে ফিরে আসা এক কঠিন কাজ। এ অবস্থা এখন এমন যে, কবির ভাষায় বলতে হয়- ‘কে ধরিবে হাল/কে তুলিবে পাল আছে কার হিম্মত।’ এ জন্য যে পরিবর্তনের প্রয়োজন তার পথ রুদ্ধ করে দেয়ার অবিরাম অপকৌশল নেয়া হচ্ছে। যারা পথরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে সেটি কেবল তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য।

প্রকৃতপক্ষে এই নিবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয় বস্তুত ওপরের বক্তব্যে নেই। এই নিবন্ধের মূল যে কথাটি, সেটি হলো- জাতীয় সংসদের সর্বশেষ যে উপনির্বাচন হয়ে গেল, তাকে নিয়ে কিছু বলাই এই রচনার মুখ্য উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি চট্টগ্রাম-১০ আসনে সে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই আসনটি চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার মধ্যে। সে বিবেচনায় চট্টগ্রামের এই ভোটের গুরুত্ব অনেক। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১৫৬টি। চট্টগ্রাম মহানগরীর কাট্টলি প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে দুই হাজার ৮০৪। এই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো: মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন মাত্র ৫২ (বায়ান্ন) ভোট, যা ওই কেন্দ্রে মোট ভোটারের ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই উপনির্বাচনে ১৫৬ কেন্দ্রের মধ্যে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া ২০ কেন্দ্রের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বিজয়ী আওয়ামী প্রার্থী কোথাও ২০ শতাংশের সামান্য ওপরে ভোট পেয়েছেন। আবার কোথাও বিজয়ী শাসক দলের প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ২ শতাংশের নিচে। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে এই উপনির্বাচনে সর্বসাকুল্যে ভোট পড়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। ভোটের এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করেছে ‘ব্রট মেজোরিটি’ অর্থাৎ অধিকাংশ ভোটার ওই উপনির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই প্রত্যাখ্যাত নির্বাচন সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এখানে বিজয়ী (!) হয়েছেন।

এসব হাস্যকর উপনির্বাচন নিয়ে ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ও অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে। শুধু সাধারণ ভোটারই নয়। খোদ ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থক, সুহৃদ শুভাকাক্সক্ষীরা পর্যন্ত ভোটদানে অংশ নেয়াকে অর্থহীন ও অর্বাচীনের মতো সময় নষ্ট করার শামিল। সাম্প্রতিককালের যতগুলো উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার কোনোটিই অংশগ্রহণমূলক ছিল না এবং সব উপনির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন তথা ভোটারের তীব্র খরা সেখানে দেখা গেছে। তার পর কি সরকার তাদের অধীনে কেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন করানো নিয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু কোন আক্কেলে মনে করেন যে, তাদের অধীনে নির্বাচন হলে প্রকৃত দল কি তাতে অংশ নেবে। তারা যদি এটি ভেবে থাকেন তা হলে বলতে হবে সেটি দিবাস্বপ্ন দেখারই মতো। ইতোমধ্যে সব দলই বলে দিয়েছে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনেই তাদের কেউ অংশ নেবে না। এমন একটি পরিস্থিতিতে সরকারি দল গোটা দেশের মানুষের ইচ্ছা-অনুভূতির ও অভিপ্রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিতে চাচ্ছে বলে মনে করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। কিন্তু এর পরিণতিটা কী হতে পারে ক্ষমতাসীন মহলের কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন। প্রশাসনের রাজনৈতিক নির্বাহীদের পক্ষে তা বোঝা কঠিন হওয়ার নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘পথে হলো দেরি’ যদি হয়ে যায়, তখন যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হালকা করে দেখা কি ঠিক হবে। এ জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন দেশ দশ ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্য কল্যাণকর হবে। সবাই লক্ষ করছে মুহূর্তে মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি সংশ্লিষ্টদের জন্য বিরূপ হয়ে উঠছে। নড়াচড়া করার স্পেস দ্রুত সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। এমন বদ্ধতা থেকে বের হওয়ার পথ খোঁজা অপরিহার্য। কিন্তু কোনো পূর্ব ধারণা মনের ভেতর পোষণ করা তারপর ‘বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার’ এমন সব চিন্তা বহু আগেই তামাদি হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম-১০ আসনের ভোট থেকে সঠিক বার্তাটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পক্ষশক্তির ধীরগতি কোনো শুভ লক্ষণ নয়। তারপর আবার দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন করানো নিয়ে খুব দ্রুত পথ চলতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য তাদের একক ভূমিকা রয়েছে সেটি মনে করা ঠিক হবে না। কেননা, নির্বাচন করানো আংশিক দায়িত্ব কমিশনের এটি ঠিক। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ মুহূর্ত নির্ধারণের একক দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের। নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর তারিখ অগ্রপশ্চাৎ করা সরকারের পক্ষেই কেবল সম্ভব। নিকট অতীতে নয়, তারও আগে সব কিছুকে সরল বিবেচনায় নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হতো।

বাংলাদেশসহ সব দেশের মালিক-মোক্তার হচ্ছে সে দেশের প্রতিটি মানুষ। তাই নির্বাচন নিয়ে তাদের আকাক্সক্ষা অভিব্যক্তি ঘটানো সরকার ও কমিশনের প্রধান দায়িত্ব, এর অন্যথা নয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম-১০ আসনের বা তার আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি উপনির্বাচনের হাল অবস্থার চিত্র। জনগণ ও ভোটারদের কাছে স্ফটিক স্বচ্ছ। তবে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের গুরুত্ব তাৎপর্য অনেকখানি। আগের সব উপনির্বাচন নিয়ে সে কারণে ততটা মাতামাতি ছিল না। যতটা চট্টগ্রামে এই উপনির্বাচন নিয়ে সব মহলের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

যদি এই একাদশ সংসদের গঠনপ্রক্রিয়া এর নির্বাচন ও পরবর্তীতে যত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোকে যদি ব্যবচ্ছেদ করা হয়। তবে এটি পরিষ্কার হবে যে, তার সবগুলোই ‘মাকালের’ মতো। মাকাল ভাঙলে যেমন দুর্গন্ধ ছড়ায় তেমনি ওইসব নির্বাচন, উপনির্বাচন থেকে যে অগণিত ত্রুটি-বিচ্যুতি লক্ষ করা গেছে। তারপরও এসব নির্বাচনের পর বিজয়ীরা কেবল নিজেদের আখের গুছিয়েছে। ব্যক্তি সমাজ তথা সামষ্টিক স্বার্থকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ফলে এখন ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ ঠেকছে, সবার কাছে। তবে এ ক্ষুধা শুধু পেটে নয়, বহু কিছুর। দেশে অনেক দিন থেকে শাসকরা কেবল কথামালার রাজনীতি করছেন। কথা বাগাড়ম্বরে ‘বাঙালকে বহুবার হাইকোর্ট’ দেখানো হচ্ছে। নাও কেবল ‘আকাশ গাঙে’ ভাসানো হয়েছে। নদীর পানিতে নয়। অনেকে এই নিবন্ধ পাঠ করে হয়তো মনে মনে বলবেন- সব কথা কেবল প্রতীকীধর্মী হয়েছে। এর জবাবে আমাদের নিবেদন ‘আকল মন্দ কা লিয়ে ইশারা কাফি’। অর্থাৎ বুঝমানদের জন্য ইঙ্গিত যথেষ্ট। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাই বিজ্ঞজন। তাই তারা এসব আভাস ইঙ্গিত ঠিকই বুঝবেন। তা ছাড়া এখন যত আইন এমনকি সংবিধান পর্যন্ত এখন নিশ্চুপ। আর স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল বিষয়গুলোর গতি খুব দ্রুত এর আওতায় পড়ার ভয়ও আছে। ভয় কার নেই। কার ঘাড়ে ক’টা মাথা?

মনে রাখতে হবে, দাবা চালে ভুল হলে সবাইকে ‘সাজঘরে’ ফিরতে হয়। কারো এ ক্ষেত্রে এর অন্যথা হওয়ার কথা নয়। দাবা বোর্ডে তখন রাজা থাকেন নিঃসঙ্গ। এই একাকিত্ব দারুণ মনোকষ্টের কারণ হয়। ইতোপূর্বে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে দল শাসক। সে নির্বাচনে তারা ছিল পুতুল নাচের একমাত্র নট। এখনো বুঝতে চেষ্টা করা উচিত। কত নিঃসঙ্গ এখন দেশের শাসক দল। এমন সব কিছুকে ভুল নয় ভাবা আরো বড় ত্রুটি। তা মেনে নিয়ে আর ভুলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা না করাই উত্তম। কিন্তু অনুতাপ এ জন্য যে ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। এখন অবাক হতে হয় এ জন্য যে, মানুষের ভোটাধিকার জব্দ করার অধিকার কোন আইনে দেশে বা আন্তর্জাতিক বলয়ে আছে। এই ভুলকে বগলদাবা করে এগিয়ে যাওয়ার। অর্থ এই নয় কি, সব নীতি-নৈতিকতার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ। সব মানুষের দু’টি অবস্থান, এক বাস্তবতার ভিত্তি ও নৈতিক অবস্থান। আজ দেশে ওই দুইয়ের কোনোটারই অস্তিত্ব আছে বলে কেউ মনে করছে না। নীতি-নৈতিক মানুষের এমন একটি অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। যা অন্য প্রাণীর থেকে মানুষকে স্বাতন্ত্র্য করে থাকে। এসবের মর্মকথা কি আমরা ভুলে যাব?

এটি সবাইকেই মানতে হবে। আমরা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নই। মহান স্রষ্টা এই সীমাবদ্ধতা দিয়েই আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাই আমাদের প্রতি মুহূর্তের কাজকর্ম পর মুহূর্তেই পর্যালোচনা করার মধ্য দিয়েই শুদ্ধতার লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। যদি শুদ্ধতার পথে আমরা চলতে চাই। সে ক্ষেত্রে মুহূর্ত বিলম্ব করা আর ঠিক হবে না। নিজের ত্রুটি নিজের কাছে প্রতীয়মান হলে তাতে কোনো গ্লানি নেই; বরং গ্লানি সেখানেই, অপর কেউ যদি সে ভুল ধরিয়ে দিয়ে আলোচনায় আনে। অস্বীকার করা যাবে না, এখন অন্য কেউ আমাদের ব্যত্যয়গুলো নিয়ে আলোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। নিন্দা করছে, হাস্যরস করছে। সেখানেই যত অসম্মান আর গ্লানি। কেউ যখন সবার অলক্ষ্যে যায়। তখন একবার মনকে জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তরটা সবাই পান। সেখান থেকে পথের দিশা নিতে কারো ভুল করা উচিত নয়।

ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
কালবৈশাখীর তাণ্ডবের ২৪ ঘণ্টা পরেও মৌলভীবাজারে মিলছে না বিদ্যুৎ দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু ঘটছে অসংক্রামক রোগে টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ আসামির বিচার শুরু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জন্মদিন ও পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ২১ জুলাই মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিক নিহত বেনাপোলে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ফেনসিডিল উদ্ধার চট্টগ্রামে হুমায়ূন হত্যার প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার ঢাবি ভিসির সাথে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলরের সাক্ষাৎ চকরিয়ায় জমির বিরোধ কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ জেলের ছদ্মবেশে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হলো সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা

সকল