৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আজ হঠাৎ কেন এত মমতা!

লেখক : সালাহউদ্দিন বাবর - ফাইল ছবি

মানবাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো আমাদের সংবিধানে বিশষ গুরুত্ব পেয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাংলাদেশের সংবিধানে কম গুরুত্ব পেয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। তাছাড়া জাতীয় সংবিধানে যা কিছু সন্নিবেশিত রয়েছে, তার কোনোটিকেও অবজ্ঞা-অবহেলা বা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কারো কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একে মান্য করা...প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য ।

সরকার-সরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিরও সংবিধানকে অমান্য করার অবকাশ নেই। এখন অবশ্য এসব একান্তই কেতাবি কথা হয়ে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, দীর্ঘদিন থেকে ব্যক্তি বিশেষ, সরকার এবং রাষ্ট্রযন্ত্র দেশের সর্বোচ্চ আইন বা শাসনতন্ত্রকে নিরন্তর উপেক্ষা করে চলছেন। যাদের বিষয়গুলো দেখা দরকার বা এর প্রতিবিধানের জন্য এগিয়ে আসা সাংবিধানিক দায়িত্ব। তাদের এমন দায়িত্ব সম্পর্কে কোনো মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না, এমনকি ভ্রুক্ষেপ পর্যন্ত নেই। দেশে এখনো যে একটা সংসদের অস্তিত্ব রয়েছে। তার সম্মানিত সদস্যরা বিষয়টি কিভাবে দেখেন বোঝা যায় না। তাদের পূর্বসূরিরা সযতনে এই সংবিধান রচনা-প্রত্যায়ন ও অনুমোদন করেছিলেন। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আজকে সংসদ সদস্যগণ সংবিধানের সঠিক চর্চা না করার কারণে। দেশে যে মারাত্মক সাংবিধানিক ‘সঙ্কট’ সৃষ্টি হয়েছে। সে সম্পর্কে সংসদের উৎকণ্ঠা নেই। সংসদের এমন নির্লিপ্ততা সবাইকে অবাক করছে। এর কারণ সম্পর্কে কথা হলে, সেটা অনেক দূর পর্যন্ত যাবে। শুধু একটি মাত্র কারণ এখানে বলা যেতে পারে। কথায় আছে কর্তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েই কীর্তন গাইতে হয়। সে জন্য বলতে হবে আমাদের বর্তমান সংসদের একক কর্তৃত্ব পরিচালিত হচ্ছে বিধায়। কর্তার মন মতোই কীর্তন গাইতে হচ্ছে। সে জন্য সংসদ এখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও ‘রা.শব্দ’ পর্যন্ত করে না বলে অনেকেই মনে করেন।

এই নিবন্ধে যে গৌরচন্দ্রিকা করা হলো। সেখানে অন্তত একটা বিষয় খুব স্পষ্ট করা হয়েছে। সেই স্পষ্ট করা বিষয়টি হচ্ছে- দেশের সংবিধানকে অকার্যকর করা হয়েছে বলব না। তোষক পরিয়ে ভব্যতা বজায় রেখে বলা যায়, সেই মহান আইন গ্রন্থের বিধিমালা নিয়ে, এখন এক ধরনের নির্লিপ্ততা পরিলক্ষিত হয়েছে। সেই সাথে সংবিধানকে যেন চলতে দেয়া হচ্ছে না। এমন স্থবিরতার জন্য কেউই এ থেকে কোনো অধিকার আদায় করে নিতে পারছে না। প্রশ্ন হতে পারে, আইন-কানুন বিধি-বিধান জীবন্ত কোনো বস্তু নয়। সে নড়াচড়া বন্ধ করে স্থবির হয়ে পড়বে। এ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এখানে একটা খুব সরল উদাহরণ পেশ করা যেতে পারে। ইংরেজিতে একটা বাক্য হচ্ছে ‘ম্যান বিহান্ড দ্যা মেশিন। অবশ্যই মেশিন একটা লৌহপিণ্ড। সেটা নিজে নিজে সচল হতে পারে না। মেশিনকে সচল করতে মেশিনের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে ভূমিকা রাখতে হয়। সংবিধানের বেলায়ও তাই। সংবিধানকে কার্যকর করা যাদের দায়িত্ব। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ তাদেরই দায়িত্ব সংবিধানকে অনুসরণ, তাকে সজিব-জীবন্ত করা। তারা এ নিয়ে কেবল যদি ‘আড় মোড়’ দেয়া হয় তবে সঙ্কট দূর হওয়ার নয়। এর কোনো পরিবর্তন না হলে কষ্মিনকালেও সংবিধান গতি লাভ করতে পারবে না। কর্তার এমন ঘুম ভাঙাতে যেসব জাতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের সক্রিয় হতে হবে কর্তার ঘুম ভাঙানোর জন্য । সব ব্যত্যয়গুলো চিহ্নিত করে কর্তাকে সজাগ করতে হবে। তা না হলে কর্তা জাগবেন কিভাবে!

তার পরও ‘ক্যারাভান’ কিন্তু বসে থাকে না। শত বাধা বিপত্তি মাড়িয়ে এগিয়ে যেতেই থাকে। দেশে এখন যেন সেটাই ঘটছে। আরো বলা হয়েছে, আমাদের সংবিধানে অনেক কিছুরই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে মানবাধিকারের বিষয়টি অন্যতম। সে গ্রন্থে সবই সন্নিবেশিত রয়েছে কিন্তু সংবিধান যে এখন অনেকটাই স্থবির। বিশেষ করে মানবাধিকারের অধ্যায়টি নিয়ে যারা পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা উচ্চকণ্ঠেই চিৎকার করছে বটে। কিন্তু সে চিৎকারেও কর্তাদের ঘুম ভাঙছে না। তাদের চিৎকার দেশের চার দেয়ালের বাধা ভেঙে বহির্বিশ্বে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে কলরবে পরিণত হয়েছে। সেই চিৎকার ঝড়ের সৃষ্টি করেছে সর্বত্র। তারপরও কর্তৃপক্ষ নিরব-নিথর। একটা কথা বলে রাখা যায়, সংবিধানকে এখন জমাট বরফ খণ্ড বানিয়ে রাখা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই বরফ খণ্ডের ভিতর যখন এর প্রতিটি অণু-পরমাণু পরস্পর ঘর্ষণে বিস্ফোরিত হবে। তখন সেখান থেকে যে গতিবেগ নিয়ে পানির ঢল নেমে আসবে। সে ঢল কাকে সাগরের কোন অতলে নিয়ে ফেলবে। সেটা কি কারো ভাবনায় আছে!

বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে উল্লেখ রয়েছে, মানবাধিকারের চ্যাপ্টারটি বা অধ্যায়টি বিস্তৃত একটি বিষয়। অর্থাৎ এর ইলাসট্রিসিটি অনেক দূর পর্যন্ত যায়। আপাতত একে বেশি টানাটানি না করে কেবল একটি ভালো নির্বাচনে মানুষের ভোট দানের বিষয়টি নিয়েই কয়টি কথা বলি। গত ১৫ বছর এই ভূখণ্ডের মানুষের ভোট দানের ব্যাপারটি কিভাবে সম্পন্ন হয়েছে, সে প্রশ্ন সম্মুখে আসবেই। শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যন্ত যত ভোট হয়েছে। সেখানে ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো।’ এমন স্লোগানটা কি কেউ দিতে পেরেছে। নির্বাচন কমিশন নিজেকে ধোয়া তুলসী মনে করে। তারা যেন ভাজা মাছটি পর্যন্ত উল্টে খেতে পারেন না, আপনারা কি এতো ইননোসেন্ট! ইসি মহোদয় সত্য করে বলুন গত প্রায় ১৬ মাসে আপনারা কতটুকু কী করতে পেরেছেন? এ সময়ে অনুষ্ঠিত যত উপ-নির্বাচনসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানে ভোট হয়েছে তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া কেমন সেটা লক্ষ্য করেছেন কি? সংবিধানের প্রতি আপনারা নিজেদের দায়বদ্ধতা কতটা প্রমাণ করতে পেরেছেন। না ভিন্ন কোথায় কুর্নিশ করতে হয় বলে সংবিধানের বিধানাবলির কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। বিষয়টি অবশ্যই কারো অজানা নয়। তবে এটা ঠিক সব কিছুই নেপথ্যে পর্দার আড়ালে হয়। ওপরে যে ধারণা দেয়া হয়েছে সেটা কেবল ভাবনা বলেই অনেকে মনে করতে পারেন।

আসুন না আরো কিছু ধারণা করি, ধরুন দেশের কোটি মানুষের ভোট দানের একান্ত সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধক হিসেবে প্রতিপন্ন হন। ব্যর্থতার কারণে অভিযুক্ত হওয়া থেকে কি তিনি বা তারা রেহাই পেতে পারেন? ভবিষ্যতে কেউ যদি ইসিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তবে ইসির পক্ষে ওই সব প্রশ্ন এড়ানো বা উপেক্ষা করা সহজ হবে। তা ছাড়া কোনো ব্যক্তির বা ব্যক্তি সমষ্টির গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করা, তাদের পদ-মর্যাদা রক্ষা করা। তাঁর বা তাদের পক্ষের যদি কঠিনই হয়। সে ক্ষেত্রে কি সে পদে তাঁর বা তাদের আঁকড়ে রাখা সমীচীন হবে!

আর একটি বিষয় এখন অনেকের চিন্তার দুয়ারে হানা দিয়েছে। তা হলো বর্তমান ও ১০তম জাতীয় সংসদের সম্মানীত সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ নিয়ে। বিষয়টি উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। তাই তা নিয়ে কিছু বলা নিশ্চয়ই আইনের ব্যত্যয় হবে। সেজন্য এ মুহূর্তে এ নিয়ে কিছু বলা থেকে বিরত থাকাই সঙ্গত। ঘটনা আপীল বিভাগে পৌঁছেছে। এমনও হতে পারে এখানেও বিষয় পূর্বের মতোই প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে আইন কখনো তামাদি হয় না। এক সময় হয়তো প্রাধান্য পেতেও পারে। সেই আশাই সবাই করেন।

আইনাঙ্গনে আমরা সাধারণ মানুষ নিছক নবিশ। এর মার প্যাচ আমাদের বোঝার কথা নয়। তবে একটি প্রশ্ন যা অনেকটাই আইনের বাইরেই বলতে হবে। বিষয়টি অনেক বেশি মানবাধিকারের সাথে সম্পৃক্ত। সেটা হলো ১০ ও ১১তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে দেশের ৯০ শতাংশের মতো মানুষের ভোটের অধিকারের প্রশ্নটি নিষ্পন্ন হয়নি। অতীতে তাদের ভোট দান করা থেকে যারা বঞ্চিত হয়েছেন। সেই প্রতিটি নাগরিকের ভোট দেয়ার সুযোগ পাওয়াটা তাদের মৌলিক মানবাধিকারের সাথে শুধু নয়, এর সাথে তাঁর বা তাদের সাংবিধানিক অধিকারও জড়িত রয়েছে। এমন অধিকারহারা কোটি মানুষের মধ্যে এক বা একাধিক মানুষ সংক্ষুব্ধ হয়ে কোনো সময় আদালতের দুয়ারে যদি ধর্না দেন। তবে অবস্থাটা কতটা ‘গ্রেইভ’ হতে পারে। সেটা আইন বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারেন। তবে সাধারণ ভোট বঞ্চিত মানুষের দু:খ-বেদনা ও ক্ষোভ-বঞ্চনার যে দীর্ঘশ্বাস তার যে দাব-দাহ কে কারোই পক্ষে সেটা ‘কুল’ করা সম্ভব হবে কি? এ নিয়ে বহু দিন কেবল নানা প্রবোধ দিয়ে বাগাড়ম্বর করা হয়েছে। এসব বিষয় আদালতে গড়াবে না সেটা কে বলতে পারে।

হালে মাঠে ময়দানে সব বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের অন্ধ অনুগামীরা সম্মিলিতভাবে ‘ফিজিক্যালি এ্যাসল্ট’ করছে। সেটা কি ফৌজদারী দণ্ডবিধির আওতায় পড়ে না? বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশের একটি বৃহত্তম দলের সর্বোচ্চ পরিষদের । অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক। তিনি সাবেক মন্ত্রী, সজ্জন। তাকে পুলিশ মারতে মারতে রাস্তায় শুইয়ে দিয়েছে। যেন সে একটা চোর ছেচ্চর। এরপর তাঁর সাথে যে আচরণ পুলিশ করেছে। সেটা অনেকটা গুরু মেরে জুতা দানের মতোই। তা ছাড়া কোন চোর ছেচ্চরকে প্রহার করার অধিকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কে দিয়েছে। এটাও কি ফৌজদারী অপরাধ নয়? এমন আইন ভঙ্গের শত শত ঘটনা এখন দেশে অহরহ ঘটছে। সেক্ষেত্রে এ প্রশ্ন ওঠা খুব স্বাভাবিক। তাহলে কি এদেশ থেকে আইনের শাসন বনবাসে গেছে। আর বনের আইন লোকালয়ে জারি হয়ে গেছে। মনীষীরা বলেন, ইতিহাস ঘুরে ফিরেই আসে। আওয়ামী লীগের অতীতে চেহারা আবারো কি মানুষ এখন দেখছে।

এবার এ নিবন্ধের শেষ কথা বলার সময় এসেছে। বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যে ‘মকারি’ বা প্রহসন চলছে তার অবসান সবাই চান। এই ভূখণ্ডের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ ও তাদের সৃষ্ট নির্বাচন কমিশন। ভোট করা নিয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের ভূমিকা সম্পর্কে সবাই পূর্ণ ওয়াকিবহাল। শুধু দেশের ভিতরের মানুষই নয়। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিভঙ্গী এখন এক বিন্দুতে এসে উপনীত হয়েছে। এ বিষয়ে গত ২৬ জুলাই এই কলামে একটা ধারণা দেয়া হয়েছিল। এটা সবাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ‘ঘরের কথা পরে জানবে কেন।’ এটা প্রমাণ হয়ে গেছে, ঘরের কথা এখন আন্তর্জাতিক বলয়ের সবাই জানে। এতো কম লজ্জার বিষয় নয়। কিন্তু কাদের ভূমিকা এ জন্য দায়ী? ক্ষমতাসীন মহল এখন সংবিধানের প্রতি যতটা মমতা দেখাচ্ছেন? পূর্বে কি এমন মমতা দেখানো হয়েছে! এখন অতিভক্তি কী স্বাভাবিক। অতীতে সংবিধানকে কতটা উপেক্ষা, অবজ্ঞা করা হয়েছে। সেটা কারো দৃষ্টির বাইরে নয়। অথচ এখন বলা হচ্ছে সংবিধান থেকে এক চুল সরা হবে না। এটা কতটুকু আন্তরিক না গিল্টি করা স্বর্ণ। অতীতের দিকে তাকালে সেটা পরিষ্কার হবে। সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদে রয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।’ এখন ক্ষমতায় থাকা কর্তৃপক্ষ সংবিধানের শরণাপন্ন হচ্ছেন। কিন্তু পূর্বে ওই অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বেমালুম ভুলে ছিলেন।

ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
কালবৈশাখীর তাণ্ডবের ২৪ ঘণ্টা পরেও মৌলভীবাজারে মিলছে না বিদ্যুৎ দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু ঘটছে অসংক্রামক রোগে টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ আসামির বিচার শুরু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জন্মদিন ও পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ২১ জুলাই মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিক নিহত বেনাপোলে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ফেনসিডিল উদ্ধার চট্টগ্রামে হুমায়ূন হত্যার প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার ঢাবি ভিসির সাথে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলরের সাক্ষাৎ চকরিয়ায় জমির বিরোধ কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ জেলের ছদ্মবেশে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হলো সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা

সকল