২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড. মাহাথিরের ভাবনা

ড. মাহাথির। - ছবি : সংগৃহীত

গত মাসে, ১৯ নভেম্বরের শেষ রাতে, বিশ্ব ও মালয়েশিয়ার জনগণ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ও প্রসিদ্ধ এক উজ্জ্বল রাজনৈতিক জীবনের পর্দা নেমে আসতে দেখল। কেদাহর কাছে একটি দ্বীপ, যেটিকে তিনি এক আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছিলেন, সেখানে লঙ্কাভি ভোট যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় বরণ করলেন।

Gerakan Tanah Air movement গেরাকান তানাহ এয়ার মুভমেন্ট, যার নেতৃত্বে তিনি ছিলেন, সেটিও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। মাহাথিরের ছেলেসহ সব প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের দরজায় পৌঁছেন। ফলাফল প্রকাশের পর একাধারে চার দিনের নীরবতার পর মানসিকভাবে ক্লান্ত-শ্রান্ত মাহাথির টুইটারে তার ভবিষ্যৎ চিন্তা ও পরিকল্পনার কথা জানান।

৯৭ বছর বয়সী মাহাথির উল্লেখ করেন যে, ২০২০ সালে পাকাতান হারাপান সরকারের পতনের পর পেজুয়াং গঠন এবং তার ছেলেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ধরে গঠিত হয়েছিল, তারা এখন বিরোধী দলেও থাকবে না, কোনো দলকে সাপোর্ট দেবে না, কারণ এর ১২৫ জন প্রার্থীর সবাই হেরে গেছে। তিনি বলেন, পেজুয়াং জাতির জন্য সব পরিকল্পনা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিল। তিনি আশা করেন, বিজয়ীরা সরকার গঠন করুক। যারাই সরকারে যাক তারা যেন দেশের সমস্যাগুলো দূরীকরণে কাজ করে। মুখরিজ মাহাথির, মাহাথির-পুত্র যিনি কেদাহ রাজ্যে দু’বার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনিও কিছু দিন আগে আনোয়ার সরকারের সাফল্যের জন্য দলীয়ভাবে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন। জনাব মুখরিজও একজন নামকরা রাজনীতিবিদ, তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।

মাহাথির ও মুখরিজের এই আচরণ ও মন্তব্য ইয়াং দি-পারতুয়ান আগোং সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহের পক্ষ থেকে পাকাপাকি হারাপানের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিম এবং পেরিকাতান নাশনাল সভাপতি মুহিদ্দিন ইয়াসিন কাছে পাঠানো হয়, যখন কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের প্রচেষ্টা চলছিল। আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছিলেন, ‘আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হই তবে সবার আগে মাহাথিরের গায়ে জ্বর আসবে।’

মাহাথির আরো গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি লিখেছেন সেটি হলো, তিনি এখন থেকে লেখালেখির দিকে মনোযোগ দেবেন। রাজনীতির ময়দানে আর দৌড়ঝাঁপ করবেন না। লেখালেখির মাধ্যমে উত্তরসূরিদের নির্দেশনা দিতে তিনি মনস্থির করেছেন। ‘আমি দেশের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড নিয়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করব।’ তিনি বলেন, ‘অনেক ঘটনা এখনো রেকর্ড করা হয়নি, যার মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে যা ঘটেছিল। আমাদের জনগণকে ভেতরের এসব কাহিনী জানানো উচিত।’ যারা পত্রপত্রিকায় লিখেন সেসব লেখকের সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্যও দরজা উন্মুক্ত বলে জানান। এই টুইট প্রকাশের পর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী তার সাথে দেখা করেন মতবিনিময় করেন এবং বাড়িতে একটি ইনস্টিটিউটের মতো করে সেখানে বক্তৃতার আয়োজন করার অনুরোধ জানান।

জনাব মাহাথির একজন ডক্টরেট ও ডাক্তার বা চিকিৎসাবিদ। তিনি সবসময় সকালে বাগানে কাজ করেন, হাঁটাহাঁটি করেন এবং প্রচুর লেখাপড়া করেন। তিনি বলতেন, এই দু’টি কাজ ছেড়ে দিলে বয়স্কের মৃত্যু ঘনিয়ে আসে এবং মস্তিষ্ক অকেজো হয়। এরই মধ্যে তার অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে সাড়াজাগানো ও মালয়েশিয়ার জাতিসত্তার সঙ্ঘাত নিরসনে যে বইটি ভূমিকা রেখেছে সেটি হলো, The Malay Dilemma, বইটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় এবং বিদেশীরা যারা মালয়েশিয়ায় প্রশিক্ষণে যান তাদেরও বইটি পড়তে হয়। এ ছাড়াও Achieving True Globalization and the new Realities, Islam and the Muslim Ummah, The voice of Asia, The way forward : Growth & prosperity, The wit and wisdom, The early years, 1947–1972, Malays forget easily, Reflection of Asian, Terrorism and the real issues তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। এ ছাড়া অসংখ্য বক্তৃতা ও বিশ্বনেতাদের কাছে লেখা চিঠিপত্রে তার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার গভীরতা বোঝা যায়। তার মেয়ে মারিনা মাহাথিরও বিদুষী নারী। তিনি সাসেক্সে লেখাপড়া করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট স্পিকার হিসেবে বক্তৃতা দেন। চট্টগ্রামের ওমেন বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি প্রায়ই বক্তৃতা দিতে আসেন। মারিনা একজন সামাজিক-রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক। তার ‘অ্যাপল অ্যান্ড দি ট্রি’ বইটি সুনাম কুড়িয়েছে।

জনাব মাহাথির ইসলাম বিষয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছেন। তাকে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম চিন্তাবিদ মনে করা হয়।

মালয়েশিয়ার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যার ধর্ম ইসলামের সাথে তার সম্পৃক্ততাকে কোনো কোনো সময় পক্ষপাতদুষ্ট কৌশল হিসেবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবুও সরকার ও সমাজে ইসলামের জন্য আরো বিশিষ্ট স্থান অর্জনের জন্য তার ইচ্ছা তাকে অন্যান্য আধুনিকতাবাদী রাজনীতিবিদদের থেকে আলাদা করে তুলেছ এবং বৃহত্তর মুসলিম বিশ্বের পটভূমিতে মালয়েশিয়ার রাজনীতিকে স্থাপনের জন্য তার প্রচেষ্টা রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণ ও অনন্য বলে বিশ্লেষক-গবেষকরা বলেছেন।

মালয়েশিয়ার ওপর মাহাথিরের রূপান্তরমূলক প্রভাব তাকে ঔপনিবেশিক মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চিন্তার নেতাদের একজন হিসেবে গ্রহণযোগ্য করেছে। তিনি প্যান ইসলামিজম ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক প্রবক্তা।

ইসলাম বিষয়ে তার মূল্যবান বক্তৃতামালায় মাহাথির সমসাময়িক মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ করেন এবং সম্ভাব্য সমাধান ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন। ফ্রান্সে কার্টুন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন মুসলিম নৃপতি প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি তাদের অন্যতম। তিনি ম্যাক্রোঁর বিচার চেয়েছেন এবং পৃথক আন্তর্জাতিক আদালত গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তখন বলেছিলেন, পশ্চিমারা কখনো এসব বিচার করবে না বরং ইন্ধন জোগাবে। এখন সেটিই সত্য পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ইরান, তুরস্ক নিজস্ব গাড়ির মডেল বাজারে ছেড়েছে। উভয় দেশ ও পাকিস্তান চায় মুসলিম বিশ্বে একটি গাড়ির ব্র্যান্ড হোক। মালয়েশিয়া অনেক আগেই প্রোটন ও পেরুদোয়া বিশ্ববাজারে বাজারজাত করতে সক্ষম হয়। এটি জনাব মাহাথিরের একক প্রচেষ্টার ফসল। মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যের কারণে উম্মাহর উন্নয়নে তার ডজনখানেক প্রকল্প বাস্তবতার মুখ দেখেনি।

তার ধারণাগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অবনতিতে অবদান রেখেছিল, তবে তার জোর ছিল যে প্রতিটি মুসলমানের ইসলামের পক্ষে কথা বলার অধিকার রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে তিনি মালয়েশিয়ার রাজনীতির ভবিষ্যতের গণতন্ত্রীকরণ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের ভিত্তি প্রস্তুত করতে চেয়েছেন। সে প্রচেষ্টায় তিনি অনেকখানি সফল। তার বিরোধী রাজনীতিকরাও এ জন্য তাকে সম্মান করেন।

মুসলিম বিশ্বের সমান্তরাল প্রক্রিয়াগুলোর সাথে অনেক বিষয় সংযুক্ত করতে সক্ষম- ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, তুরস্ক এবং পশ্চিমে প্রবাসী সম্প্রদায়। মাহাথিরের ইসলামবিষয়ক বক্তৃতা, বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সাধারণভাবে ধর্মের বৃহত্তর পুনরুত্থান এবং বিশেষ করে ১৯৭০-এর দশক পরবর্তী ইসলামী পুনরুজ্জীবন ইস্যুকে লক্ষ রেখে পড়তে বা বিবেচনা করতে হবে। তিনি ইসলামী কমন মার্কেট, মুসলমানদের জাতিসঙ্ঘ, ওআইসি বিলুপ্ত করে নতুন সংস্থা বানানো, স্বাধীন কাশ্মির, স্বাধীন ফিলিস্তিন, জর্দানকে ইহুদি মুক্তকরণ, জেরুসালেমে আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ নিয়োগ, মুসলমানদের যৌথ সেনাবাহিনী গঠন, বিভিন্ন পণ্যের ইসলামী ব্র্যান্ড বাজারজাতকরণসহ নানা কাজের উদোক্তা ও প্রবক্তা।
ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েকের বিষয়ে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন এবং তাকে ভারতে ফেরত পাঠাননি। ভারতে জন্মগ্রহণকারী অনেক ভারতীয় মুসলিম নাগরিকত্ব হারিয়ে বিদেশের মাটিতে কবরস্থ হয়েছেন। যেমন, চিত্রশিল্পী মকুবল ফিদা হুসাইন। এসব বিষয় জাকির নায়েকের ইস্যুতে উঠে আসে। কাতার, সৌদি আরব ও আমিরাত এই ইস্যুতে জাকির নায়েককে সাপোর্ট দেয়; ফলে ভারত কোনো সুবিধা করতে পারেনি বরং মোদি সরকার ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে নতুন পলিসি ঘোষণা করে নেতানিয়াহুর গালে যেন চপেটাঘাত করলেন।

মাহাথির অনেক সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেন। কংগ্রেস ফর মালয় সারভাইভাল আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরকে মালয়েশিয়ার সাথে যুক্ত করার দাবি জানান। তিনি বলেছেন, সিঙ্গাপুর একসময় মালয়েশিয়ার জোহরের মালিকানাধীন ছিল, সিঙ্গাপুরকে জোহর অঙ্গরাজ্যের সাথে সংযুক্তর জন্য মালয়েশিয়ার কাছে ফিরিয়ে দেয়া উচিত এবং এ জন্য মালয়েশিয়ার প্রচেষ্টা চালানো উচিত।

তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলা উচিত যে কেবল পেদ্রা ব্রাঙ্কা নয় সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জও মালয়েশিয়ার, কেননা তারা মালয় ভূমির লোক। জরুরি কাজ শুরু না করলে মালয় উপদ্বীপটি ভবিষ্যতে অন্য কারো হবে কি না মাহাথির এমন আশঙ্কা করেন। তিনি সংশয় প্রকাশ করেন যে, মালয়েশিয়ায় এখন ভূমিপুত্ররা মালিক নয়, অনেক দরিদ্র মালয় অন্যদের জমি বিক্রি করে ভূমিহীন হয়ে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। যদি ভুল হয় তা হলে এসব ভুল সংশোধন করা উচিত, যাতে জমিজমা মালয় ভূমিতে থেকে যায়।

চলমান কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কে মাহাথির বলেন যে, জাপানি সমর্থকরা কিভাবে তাদের দলের পরাজয়ের পর স্টেডিয়ামের আবর্জনা সংগ্রহ করে জায়গাটি পরিষ্কার করতে সহায়তা করেছিল তা খুবই অবাক করার বিষয়। এমন বেদনাদায়ক পরাজয়ের পর জাপানি ভক্তরা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তাদের শৃঙ্খলা, নৈতিকতা, অহঙ্কার ও সম্মানবোধকে ব্যক্তিগত দুঃখ বা দুঃখবোধের কাছে নতি স্বীকার করতে দেয়নি।

জনাব মাহাথির লুক ইস্ট নীতির অন্যতম প্রবক্তা। মালয়েশিয়ার নাগরিকদের যদি জাপানিদের মতো একই মনোভাব, নৈতিকতা ও কর্মসংস্কৃতি থাকে, পাশাপাশি তাদের কাজের প্রতি গর্ববোধ থাকে এবং ব্যর্থ হলে লজ্জাবোধ থাকে, তা হলে তারাও জাপানিদের মতোই সফল হব। লুক ইস্ট পলিসি মালয়েশিয়া-জাপান সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি মুক্ত হতে চাইলেও তার গোঁড়া সমর্থকরা এবং তাকে যারা মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন তারা নিরিবিলি বসবাস করতে দিচ্ছেন না। যত দিন আছেন তিনি যেন তত দিন আলোকবর্তিকা নিয়ে রাজনীতির মহাসড়কে হেঁটে যান।

জনাব মাহাথির এখন কি শুধু বই লিখবেন, লেকচার দেবেন বা ইনস্টিটিউট চালাবেন, নাকি রাজনীতির মঞ্চ ছেড়ে মালয়েশিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করবেন, নাকি আবার জিটিএ নিয়ে কাজ করবেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। আর এসবই তিনি একসাথেও করতে পারেন। সবচেয়ে বড় বাধা তার বয়স। কারো জানা নেই নিয়তি তাকে কতটুকু সময় দেবে।

জিটিএর মহাসচিব মারজুকি ইয়াহিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা তাদের মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন। জিটিএ সুপ্রিম কাউন্সিল সম্প্রতি শেষ হওয়া সাধারণ নির্বাচনে তাদের কর্মক্ষমতার মূল্যায়ন করেছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে জিটিএ একটি রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে কাজ করে যাবে।

জনাব মাহাথির ভোটারদের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে, তাদের ক্রুসেড বাস্তব, যদিও তারা সংখ্যায় খুবই কম। মাহাথির, তার সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আবেগঘন খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি প্রত্যেককে চিনি না, তবুও যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, পেজুয়াং/জিটিএর প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান দেখিয়ে অন্যদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের সাহসের জন্য আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমরা সংখ্যায় কম হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্রুসেড অব্যাহত থাকবে।’

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement