২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিজয় দিবস গোলাপবাগ ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম

বিজয় দিবস গোলাপবাগ ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম - ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সমাগত। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই দিন নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। দিনটি তাই আমাদের মুক্তির দিন।
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামে স্বাধীন এক দেশের অভ্যুদয় হয়। পলিমাটি দিয়ে গড়া স্বাধীন এই দেশ আমাদের জন্মভ‚মি। এবার আমরা গৌরবময় বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী পালন করব। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

একাত্তরের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল এমন একটি স্বাধীন দেশ, যে দেশ পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিকভাবে। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা; যেখানে পাকিস্তানি শাসনামলের সব অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটবে, সব নাগরিক গণতন্ত্রের স্বাদ ভোগ করবে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার ভোগ করবে। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জিত হয়। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয়। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি। গণতান্ত্রিক সমাজ আমরা নির্মাণ করতে পারিনি।

সত্তরের নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা নির্বাচনের ফল মেনে নেয়নি এবং আমাদের প্রাপ্য ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়নি। সে জন্যই একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেই ক্ষমতা আমরা আদায় করতে তাদের বাধ্য করি। কিন্তু স্বাধীন দেশেও বর্তমান শাসকদের মাথায় এখনো চেপে আছে অগণতান্ত্রিক আচরণ। আজ আমাদের ৫১তম বিজয় দিবস এমন এক সময়ে উপস্থিত, যখন দেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসনের স্থান দখল করে আছে দলীয় শাসন; যার বিরূপ প্রভাব রাষ্ট্র ও রাজনীতির সর্বত্র প্রবহমান। সুশাসন নির্বাসনে চলে গেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচনের নামে চলছে একের পর এক প্রহসন। দিনের ভোট রাতে হয়। বিনাভোটে সংসদ গঠিত হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের কথা বলা হয়েছিল। এগুলো আজ কথার কথায় পরিণত হয়েছে। মৌলিক মানবাধিকার বলতে দেশে কিছু নেই। স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা আজ ভ‚লুণ্ঠিত। নারীরা নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি ঢাকায় একটি সমাবেশ করতে গিয়ে শাসকদের কাছ থেকে কী ভয়াবহ অগণতান্ত্রিক আচরণের শিকার হয়েছে আমাদের সামনে এটি এক তরতাজা উদাহরণ।

আন্তর্জাতিকভাবে আজ বাংলাদেশের পরিচিতি একটি কর্তৃত্ববাদী স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে। এ পরিচিতি যে মোটেও ভুল নয় তারই সর্বশেষ নজির সরকারের সা¤প্রতিক কর্মকাণ্ড। বিএনপি ঢাকার বাইরে ৯টি শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করেছে। সর্বশেষ সমাবেশ ১০ ডিসেম্বর ছিল ঢাকায়। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীর কার্যালয়ের সামনে বরাবরই বিএনপি সমাবেশ করেছে। এ সমাবেশও সেখানে করার কর্মসূচি ছিল তাদের। কিন্তু কর্তৃত্বপরায়ণ শাসক কিছুতে সেখানে সমাবেশ করতে দেবে না। সমাবেশের দু’দিন আগে বিএনপির ওপর পুলিশ তাণ্ডব চালায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এটি নতুন নয়। আগেও এমন বড় সমাবেশ ঘিরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রাঙ্গণ দু-তিন দিন এমন কর্মীতে মুখর হয়েছে। কিন্তু সেদিন পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে, গুলিবর্ষণ করে, টিয়ারশেল মেরে সব কিছু তছনছ করে দেয়। গুলিতে একজন নিহত ও বহু লোক আহত হন। পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করে নেয় এবং সেখান থেকে চার শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পর্যন্ত কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঘটনার এখানে শেষ নয়; বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পুলিশ সব কিছু তছনছ করে দেয়। কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য কার্যালয়ে রাখা চালের বস্তা নিয়ে যায়। চারদিন অবরোধ করে রাখে অফিসটি। কাউকে অফিসে ঢুকতে দেয়নি, আশপাশেও যেতে দেয়া হয়নি। বর্তমানে অফিসটি খুলে দেয়া হয়েছে। দলের নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স আইনজীবীদের নিয়ে অফিসে ঢুকে দেখেন, সব কিছু তছনছ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি অফিসে রাখা দলীয় অ্যাকাউন্টসের টাকা পয়সাও পুলিশ নিয়ে গেছে বলে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী কাল আমরা বিজয় দিবস পালন করব। কিন্তু এই হলো দেশের অবস্থা। একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রতি সরকার কতটা অসহিষ্ণু, কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ ও মারমুখী তা দেশবাসীই নয়, বিশ্ববাসীও দেখেছেন।

গভীর রাতে মহাসচিব গ্রেফতার, ১০ দফার যুগপৎ কর্মসূচি
গত ১৪ বছর ধরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার বাহিনী বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দমন অভিযান চালিয়েছে। বিএনপির ‘ঢাকা সমাবেশ’ ঘিরে তাদের যৌথ সর্বশেষ মহড়াটি ছিল আরো অগ্রহণযোগ্য। পুলিশ চালিয়েছে সরাসরি আক্রমণ। আর দলীয় বাহিনী পাড়া-মহল্লা ও রাজধানীর সব প্রবেশমুখে পাহারা বসিয়ে বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। সরকার বিএনপির সমাবেশের চারদিন আগে জেনে যায়, ঢাকায় নতুন পাঁচ লাখ মোবাইল সিম কাজ করছে। ফলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে, ঢাকায় বিএনপির চার-পাঁচ লাখ লোক রাজধানীর বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে সমাবেশ হতে দিলে ঢাকা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এটি হতে দেয়া যায় না। তাই বিএনপি নিয়ন্ত্রণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন- বিএনপির সহিংসতা রুখতে নাকি তাদের কর্মীরা পাহারায় থাকবে। কথা অনুযায়ী কাজও করেছেন তারা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাঠি ও নানা ধরনের অস্ত্র হাতে পাহারায় বসিয়ে দেয়া হয়। বিএনপিকে মিছিল করে সমাবেশে যেতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা করে তাদের মামলার ভয় দেখিয়ে, অসহায় করে বিকাশে চাঁদার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে ওই ক্যাডাররা। শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনে সমাবেশ হতে পারেনি। পুলিশ নয়াপল্টনকে তথাকথিত ‘ক্রাইম জোন’ ঘোষণা করে তল্লাশির নামে লোক ও যান চলাচল বন্ধ রাখে চার দিন। নয়াপল্টনের পরিবর্তে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়। সমাবেশের আগে গ্রেফতার করা হয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে। তাও দিনের বেলায় নয়, রাত ৩টায়। নিজ নিজ বাসায় তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে ঘুম ভাঙিয়ে তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে বিএনপি অফিস থেকে আটক করা হয় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা নগর উত্তরের সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনসহ অন্তত ৪০০ নেতাকর্মীকে। আমান উল্লাহ আমান জামিনে মুক্তি পেলেও অন্যরা মুক্তি পাননি এখনো। ঢাকার সমাবেশে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়নি তাদের।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবারই শুধু গ্রেফতার করা হয়নি; এর আগেও অন্তত ছয়বার গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন তিনি। কেন তিনি টার্গেট? কেন সরকারের রোষানল তার ওপর? একইভাবে রিজভী আহমেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ তারা দমন-পীড়ন সহ্য করেও গণতন্ত্রের আন্দোলনকে, বিএনপির অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সীমাহীন নির্যাতন চললেও গত ১৪ বছরে দলের একজন নেতাকর্মীও বিএনপিকে ছেড়ে যাননি; বরং বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং আরো জনপ্রিয় হয়েছে। মির্জা ফখরুল সারা দেশে একজন পরিচ্ছন্ন ও সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এটিও আওয়ামী লীগের গা জ্বালার কারণ। তিনি সুন্দর করে কথা বলেন। তার কথায় কর্মীরা উজ্জীবিত হন। এটিই সরকারের রোষানলের কারণ। সর্বশেষ তাকে এবং মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশি কাজে বাধা দেয়া ও বোমা বিস্ফোরক মামলায়। এ নিয়ে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ৯২টি মামলা করা হলো বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মেজবাহ। তেমনি মির্জা আব্বাস এবং রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধেও রয়েছে বহু মামলা।
ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়ন সত্তে¡ও ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ হয়েছে। গোলাপবাগ যাত্রাবাড়ী লোকে লোকারণ্য ছিল। এ সমাবেশ থেকে বিএনপি আন্দোলনের নতুন ডাক দিয়েছে। সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে- যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ দফা দাবি দেয়া হয়েছে। এ দাবি আদায়ে ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

সমাবেশে ঘোষণা করা বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে সংসদ বাতিল করে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন উল্লেখযোগ্য। আগেই উল্লেøখ করেছি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র। স্বাধীন দেশ পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিকভাবে- সত্যিকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে। বিজয় দিবস সামনে রেখে বিএনপির গোলাপবাগ সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দেয়া হয়েছে। ১০ দফার ভিত্তিতে নতুন করে শুরু হয়েছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় গোলাপবাগ
শনিবার ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ ভণ্ডুল করতে সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে এ জনসমাবেশ পরিণত হয়েছিল ‘জনসমুদ্রে’।

এ সমাবেশ নিয়ে আল-জাজিরার দীর্ঘ প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঢাকায় হাজার হাজার সমর্থককে একত্রিত করেছে। সমাবেশ ঠেকাতে সরকার রাজধানীতে ৩০ হাজারেরও বেশি আইন প্রয়োগকারী সদস্যকে মোতায়েন করেছে এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি সমর্থকদের আন্দোলন রোধ করার স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ঢাকার রাস্তায় এবং বিভিন্ন প্রবেশপথে নেমেছিল। তা সত্তে¡ও ‘স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন’-এর প্রতিবাদে শনিবার সকালে ঢাকার গোলাপবাগ মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

‘ম্যাসিভ র‌্যালি’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে বিবিসি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় হাজার হাজার বিরোধী সমর্থক সমাবেশে জড়ো হয়েছেন। ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিশাল সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশের রাজধানীতে নেমে এসেছেন। তারা ‘ডাউন উইথ হাসিনা’ ও ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর’ বলে স্লোগান দেন।

প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনেও একই তথ্য দেয়া হয়। এতে বলা হয়, অন্তত দুই লাখ নেতাকর্মী জড়ো হন এ সমাবেশে। ভারতের প্রভাবশালী হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- ‘শেখ হাসিনা ভোটচোর’ বলে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের বিরোধী দল। এতে বলা হয়, গোলাপবাগ ক্রীড়া মাঠ ছাড়িয়ে জনতা আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক

ইমেইল : abdal62@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement