২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রশাসনের নিরপেক্ষ হওয়া কি অপরাধ?

প্রশাসনের নিরপেক্ষ হওয়া কি অপরাধ? - ছবি : সংগৃহীত

প্রশাসন ও পুলিশে রদবদল নিয়ে উড়ো আলোচনা চলছে। প্রতিযোগিতা করে সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করছে। খবর প্রকাশের ধরন এমন যেন তারা সবাই হাঁড়ির খবর জানেন। বাস্তবে কেউ সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। যেমন- তথ্য সচিব ও তিন পুলিশ কর্মকর্তার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগে এরা এ ব্যাপারে কোনো খবর দিতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে এসব খবর অনেকটাই আন্দাজ অনুমাননির্ভর। তবে এর মধ্যে সাংবাদিকের পছন্দ-অপছন্দও প্রকাশ হয়ে পড়ছে। খবর প্রকাশের চেয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জন যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, পাঠকের সেটি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। সাংবাদিক আরো দক্ষ হলে নিজের এ উদ্দেশ্যটা কিছুটা হলেও আড়াল করতে পারত নিশ্চয়ই।

প্রশ্ন হওয়ার কথা ছিল- দীর্ঘ অনিয়ম দুর্নীতিতে ধসে পড়া জনপ্রশাসন ও পুলিশকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সেই বিষয়ক আলোচনা; এ যাবৎ সংঘটিত বড় অপরাধগুলোকে সামনে নিয়ে আসা। যাদের বিরুদ্ধে এহেন কর্মকাণ্ড সংঘটনের প্রমাণ রয়েছে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারত রাষ্ট্রের প্রকৃত অবস্থান। এ যাত্রায় সরকার কেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটি প্রকাশই হতে পারত সাংবাদিকদের পণ। এমন সাংবাদিকতা এ দেশে দেখা যায়নি। অন্তত নিশ্চিত করে বলা যায়, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে তারা ছিলেন না। সরকারের বড় বড় দুর্নীতির খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এ ব্যাপারে দেশের ভেতরে মিডিয়া লিড নিতে পারেনি।

একটি জাতীয় পত্রিকা প্রশাসন ও পুলিশ নিয়ে দিনের প্রধান সংবাদ করেছে। এর সারমর্ম হচ্ছে- পুরো প্রশাসন গভীর গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। সরকারের শতভাগ বিশ্বাসভাজন না হলে ডিসি-এসপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ এবার আর কেউ পাবে না। মনে হচ্ছে, এর আগে এ ধরনের লোভনীয় পদ পেয়ে গেছে সরকারের সব অবিশ্বস্তরা। অথচ চলমান সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে প্রশাসনে নির্লজ্জ দলীয়করণ হয়েছে। একই পত্রিকা কয়েকদিন আগে পুলিশের অপরাধ বেড়ে গেছে শিরোনামে বিস্তারিত আরেক প্রতিবেদনে জানায়, সংস্থাটির সদস্যদের বড় একটি অংশ গুরুতর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। সে ব্যাপারে পরে আলোচনা করছি। পত্রিকাটির আজকের রিপোর্ট দেখে অনুমান হতে পারে, সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের হুমকি দিচ্ছে সরকার। ‘তোমরা সবাই সরকারের অনুগত হয়ে থেকো; না হলে চাকরিচ্যুতিসহ যেকোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে সাংবাদিক শুরুতে মন্তব্য করেছেন, ‘পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিরপেক্ষ সাজার প্রবণতা শুরু হয়েছে।’ এর পক্ষে তিনি কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ হাজির করেননি। শুধু তিনি বলছেন, ব্যাচ ও গ্রুপওয়্যারি প্রশাসনের কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন।

এলাকাভিত্তিক, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক গ্রুপ করে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছেন। কোন কোন কর্মকর্তা এসব গ্রুপে রয়েছেন তার একটিও উল্লেখ নেই। গোয়েন্দারা তাদের ওপর কঠোর নজরদারি করছে, এতটুকু বলা হয়। এই ভঙ্গিমা অনেকটাই নিরপেক্ষ সাজা কর্মকর্তার ওপর হুমকির মতো করে প্রকাশ করা হলো। সংবিধান অনুযায়ী কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্র বা জনগণের সেবক। কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে তারা অবস্থান নিতে পারেন না। সাংবাদিকের মন্তব্য অনুযায়ী, এই কর্মকর্তারা এতদিন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আনুগত্য ও পক্ষপাতিত্ব করেছেন। এখন তারা আগের মতো আর আনুগত্য করতে চাচ্ছেন না। সেটি পছন্দ না হওয়ায় তাদের পেছনে কয়েক স্তরে গোয়েন্দা লাগিয়ে দিয়েছে সরকার।

নিরপেক্ষ হতে চাওয়া কর্মকর্তাদের প্রতি সাংবাদিক বন্ধু একটু ঈর্ষাকাতর। কারণ তারা এই সরকারের পুরো মেয়াদে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। রিপোর্টারের মতে, তোমরা যখন সুযোগ সুবিধা নিয়েছ, এখন সরকারের পক্ষ থেকে সরে গিয়ে নিরপেক্ষ হবে কেন? এরা কারা তার উত্তরও দেয়া হয়েছে রিপোর্টে। এরা হচ্ছেন মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত সহকারী, ডিসি-এসপি ইত্যাদি। সরকারি দলের রাজনীতিকদের আত্মীয়তার সূত্র ধরে পদ-পদবি বাগিয়ে নেয়ারা। প্রতিক‚ল এই সময় যখন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দরকার তখন সটকে পড়ছেন তারা। সাংবাদিক এদের নতুন কৌশল ও ফন্দিটিও ফাঁস করে দিয়েছেন। প্রশাসনের লোকেরা এখন ফাইলে সরাসরি সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। নিজেদের নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে সে জন্য তারা মন্ত্রীর বিবেচনার জন্য তা রেখে দিচ্ছেন। এই সরকারের সময় সাংবাদিকদের একটি অংশ কতটা সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে সেটিও আলোচনায় আছে। অবশ্য এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কোনো রিপোর্ট হয় না।

বাস্তবতা হচ্ছে- এই সরকারের সময়ে প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি দলীয়করণ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন, পদোন্নতি নিজেদের একান্ত পছন্দ না হলে দেয়া হয়নি। অন্য দিকে নিয়োগের সময়ে বহু প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পিয়ন থেকে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগে এমনটি হওয়ার বহু অভিযোগ দেখা গেছে। প্রশাসনে চূড়ান্তভাবে বাছাই হওয়ার পরও পরিবারের কারো বিরোধী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে, সব যোগ্যতা থাকার পরও বঞ্চিত করা হয়েছে। এরপরও সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই বিএনপি-জামায়াতপন্থী হওয়ার সুর তোলা হয়। এই প্রতিবেদনেও দাবি করা হচ্ছে- গত কয়েক বছরে বিএনপিপন্থী অনেক কর্মকর্তা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমান সরকার বিএনপি-জামায়াত বা বিরোধী রাজনীতি করাকে অনেকটাই নিষিদ্ধের কাতারে নিয়ে গেছে। সরকারি দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সমর্থন অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে দেখা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়িয়ে সরকারি অপকর্মে হাওয়া দিয়েছে। এখনো বহু সংবাদমাধ্যম একই তালে রয়েছে। সংবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে ‘নিরপেক্ষ সাজা’ কর্মকর্তাদের তারা উৎসাহিত করতে পারতেন। অথচ তারা বিপরীতে নিন্দনীয় কাজটি করছেন।

প্রশাসনের প্রতি অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের দীর্ঘমেয়াদে ফল কি হয়েছে সরকারবান্ধব আরেক পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে তা বিস্তারিত জানা যাচ্ছে। ‘সময়ের সঙ্গে নেই প্রশাসন’ শিরোনামে প্রতিবেদনে পত্রিকাটি জানাচ্ছে- (দলীয়করণে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিলেও) জনপ্রশাসন নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। দীর্ঘদিন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার মধ্যে চলার এই পর্যায়ে এসে প্রশাসন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। সরকার এখন দক্ষ ও উপযুক্ত কর্মকর্তা পাচ্ছে না। খোদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চলছে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র কেন এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল তার উত্তরও দিয়েছে পত্রিকাটি। পত্রিকাটি প্রশাসনের তিনটি শীর্ষ পদ উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছে- এই সরকার ব্যাচ ধরে গণহারে পদোন্নতি দিয়েছে। এক সাথে সবাইকে খুশি রাখার কৌশল অবলম্বন করেছে। অবশ্য বিএনপি-জামায়াত হিসেবে কেউ চিহ্নিত হলে ওএসডি করতে ভুল করেনি।

এতে পদগুলোর বিপরীতে পাঁচগুণ পর্যন্ত বেশি কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। উপসচিবের পদ ৩৫০টি, কর্মরত আছেন এক হাজার ৬৩৩ জন। যুগ্ম সচিব পদ আছে ২৭২টি, কর্মরত আছেন ৭১৬ জন এবং অতিরিক্ত সচিব পদ আছে ১০০, কর্মরত আছে ৪২৭ জন। এ ছাড়া কয়েক বছর একাধিক মন্ত্রণালয় ভেঙে নতুন নতুন বিভাগ করা হয়েছে। সৃষ্টি করা হয়েছে নতুন নতুন পদ। জনসেবা সহজ করার পরিবর্তে কিছু লোককে সুবিধাভোগী করা হয়েছে সেগুলো বণ্টন করে। এতে একটি মাথাভারী প্রশাসন সৃষ্টি হয়েছে।
এটি এমন এক ভারীমাথা যে, নিজের মাথা দিয়ে চলার বদলে তার ভারে চেপটা হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু বিভাগে সেটি এক নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিবের পদ আছে দু’টি। এ বিভাগে কর্মরত আছেন ১৪ অতিরিক্ত সচিব। করোনার সময় স্বাস্থ্য বিভাগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। কয়েক বছর ধরে এ বিভাগের পারদর্শিতা সাধারণ মানুষ দেখেছে। এই সময়েই আমরা দেখতে পেলাম, বাটপার সাহেদ সাবরিনাদের উত্থান। এ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করে হাতিয়ে নিয়েছে সরকারের অর্থকড়ি। করোনা হাসপাতালও হাওয়া করে দিয়েছে তারা। প্রতারণা করেছে সাধারণ মানুষের সাথে। অথচ যোগ্য, দক্ষ ও সৎ মাত্র দু’জন কর্মকর্তা ঠিকভাবে কাজ করলে করোনার সময় দেশ অনেক ভালো সেবা পেত এ বিভাগ থেকে।

প্রশাসন জনসেবা দক্ষভাবে দিতে না পারলেও এই সময়ে বিপুল দুর্নীতির সাথে তাদের একাংশের নাম জড়িয়ে গেছে। বিদেশে বেগমপাড়ার অন্যতম খরিদদার তারা বলে সরকারের মন্ত্রীরাই জানিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিদের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর দেয়া হয়নি। তবে সরকারের আরো বেশি ঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা প্রায় একই সময়ে পুলিশের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঠিক যে অপরাধের বিরুদ্ধে এই বাহিনী কাজ করার কথা সেই অপরাধগুলো তারা নিজেরাই করছে। ঘুষ, দুর্নীতি, ছিনতাই, ধর্ষণসহ হেন কোনো অপরাধ নেই যা পুলিশের একটি বড় অংশ করছে না। পুলিশ সদর দফতর নিজেদের সদস্যদের করা অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। এর অর্থ এই নয় যে, পুলিশের ভেতরে থাকা সদস্যরা উচিত শাস্তি পাচ্ছে। তারা শুধু এসব অপরাধের তদন্ত ও শনাক্ত করতে গিয়েই শক্তি হারাচ্ছে। পুলিশের ভেতরে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যে হচ্ছে না তা বাহিনীটির ভেতরে একই সমান্তরালে ঘটে চলা অপরাধের হারই প্রমাণ করছে।

পুলিশ সদর দফতর জানাচ্ছে, প্রতি মাসে গড়ে দেড় হাজার অভিযোগ জমা পড়ছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এসব অভিযোগের কয়টির সুরাহা হচ্ছে তা জানা যায় না। পুলিশের নিজেদের নৈতিক অবস্থান সংহত করার জন্য এগুলোর সুরাহা হওয়ার দরকার হলেও এ নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো তাগাদা নেই। সম্প্রতি ফেনীর নুসরাত হত্যার তদন্তে ঘোরতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের পুরো একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। এ ধরনের বড় বড় স্পেশাল বিভাগ এখন পুলিশে বহু। যেমন- র‌্যাব বাহিনী হিসেবে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে।

পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিহ্নিত অপরাধী পুলিশ সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছে। তাদের ধারাবাহিক পদোন্নতিও হয়েছে। আমরা টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমারের নামটি উল্লেখ করতে পারি। তিনি পুরো অঞ্চলে একটি ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। তখন পুলিশের প্রধান দু’টি পদক তিনি পেয়েছিলেন। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তাকে হত্যার পর জানা গেল, শতাধিক ক্রসফায়ার করে দুই শত মানুষকে হত্যা করেছেন তিনি। যে মাদক নির্মূলের জন্য মানুষকে খুন করেছেন সেই মাদক ব্যবহারের স্পট হিসেবে টেকনাফ আগের মতো প্রথম অবস্থানে রয়ে গেছে। মাদক কারবারি হিসেবে তিনি তাহলে কাদের হত্যা করলেন? এ নিয়ে কোনো তদন্ত পুলিশ বিভাগ করেছে কি? এমন বড় বড় অভিযোগ নিয়ে এই বাহিনীটির নৈতিক অবস্থান কখনো ফিরে আসা সম্ভব কি? পুরো বাহিনীটি আসলে চালাচ্ছে কারা, এই প্রশ্ন উঠা অসংযত হবে কি?

বাংলাদেশে দুর্নীতি-দুঃশাসনের আখড়ায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ, প্রশাসনের নির্লজ্জ দলীয়করণ। দক্ষতা-যোগ্যতা ও সততার পরিবর্তে সরকার খুঁজেছে নিজের লোক। সেই যাত্রায় যারা অধিকতর দুর্নীতিবাজ তারাই বেশি করে সরকারের আপন হতে পেরেছে। এই লোকেরা প্রকৃতপক্ষে এই সরকারেরও লোক নয়। পরিস্থিতি পরিবর্তনের আভাস পেলে তারা চেহারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে ফেলবে, সরকার সেই ভয় পাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ পরিচালনায় দরকার একদল দক্ষ জনসেবক পুলিশ ও আমলা। এমন কাক্সিক্ষত কর্মকর্তা জাতি পাবে, সেই আশা আপাতত নেই।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না

সকল