২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিপদ, আপদ ও হেঁসেল

-

আপদ আর বিপদের কথা অনেকের মনে আছে। বাঙালির প্রথম গ্রাজুয়েট ও প্রথম সিভিল সার্ভেন্ট ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। প্রায় দেড় শ’ বছর আগে, তাকে কলকাতার ইন্টারভিউ বোর্ডে ইংরেজ ‘সাহেব’রা জিজ্ঞেস করেন, What is the difference between ‘আপদ’ ধহফ ‘বিপদ’? সাধারণত এর জবাব কেউ দিতে পারার কথা নয়। কারণ বিপদ ও আপদ শব্দদ্বয় একসাথেই বাংলায় উচ্চারিত হয়ে থাকে। দুইয়ের অর্থ অভিন্ন বলেই ধরা হয়। তীক্ষ্ণবুদ্ধি বঙ্কিমের সোজা উত্তর : আজ সাঁতরিয়ে উত্তাল নদী পেরিয়ে এই সাক্ষাৎকার দিতে এলাম- এটি ‘বিপদ’। আর...। এতটুকু শুনেই শ্বেতাঙ্গদের চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া। ও বলে কিনা ‘আর’! বঙ্কিম চ্যাটার্জি বলে চললেন, ‘আর তোমাদের মতো ইংরেজি ভাষীদের কাছে আমার মতো বাঙালির বাংলা পরীক্ষা দেয়া হলো ‘আপদ’। ইন্টারভিউ বোর্ডের এই উত্তরটি কল্পনাতেও ছিল না। তারা কিন্তু তার জবাবে মুগ্ধ হয়ে তাকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন।

তেমনি আফগানিস্তানে ‘মৌলবাদী’ তালেবানের হঠাৎ ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে পত্রিকায় কেবল আপদের কথা। বাস্তব ‘বিপদ’ সে তুলনায় সামান্য। মেয়েরা এখনো সে দেশে স্কুলে লেখাপড়া করছে। খোদ ফ্রান্স বা পাশ্চাত্যের প্রখ্যাত আলোকচিত্র সংস্থা এএফপি এর ছবি প্রচার করেছে। তা বাংলাদেশের তালেবানবিরোধী পত্রপত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে। তবু তালেবানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের ব্যাপক অভিযোগ বন্ধ হয়নি। আফগান মেয়েরা খেলছে আগের মতো- এ খবর প্রকাশ পেলেও তালেবানদের নেতিবাচক ইমেজ বদলায়নি। আফগান মেয়ে সাংবাদিক বোরকা দূরের কথা, হিজাবও পুরো না মেনেই পূর্ববৎ তালেবানের একজন শীর্ষ নেতার সংবাদ সম্মেলনে নিয়মিত হাজির হয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছেন। এটি যেকোনো টিভি চ্যানেলেই প্রচারিত হচ্ছে। তবে তাতে তালেবানের রেকর্ড দৃশ্যত উন্নত হয়নি। এর মধ্যে গুরুত্ববহ এক খবর, শ্রীলঙ্কার একজন অমুসলিম সাবেক ক্রিকেটার আফগান টিমের কোচ নিযুক্ত হয়েছেন এ আমলে।

তালেবান এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। যেভাবেই তারা কাবুলে ক্ষমতায় আসুক না কেন; এটিই অনস্বীকার্য বাস্তবতা। তবে তাদের হতে হবে সংযত ও দূরদর্শী, প্রাজ্ঞ ও কৌশলী। দেশে ‘গণতন্ত্র চলবে না’ বলে তাদের কেউ কেউ পরিস্থিতিকে জটিল করেছেন। এটি অহেতুক ও অবাঞ্ছিত। তাদের বোঝা উচিত, ‘ইসলাম’ কথাটির ব্যাপারে এ যুগের অনেকের স্পর্শকাতরতা বিদ্যমান, যার জন্য একতরফা কেউ দায়ী নন। অন্য দিকে ইসলামের গণতন্ত্রই আদর্শ। তালেবান ক্ষমতায় গেলে রক্তবন্যা বইয়ে দেবে- এ শঙ্কার পাশাপাশি অনেকে মনে করেছিলেন, এমনটি হলে তাদের বিরুদ্ধে লেখা যাবে। এদের হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক। অন্য কারো ১২টা বাজাতে গেলে নিজের অন্তত ‘সাড়ে ১১টা’ বেজে যেতে পারে। অন্য দেশে থেকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তাই সে আফগান জাতিকেই নিজেদের ভালো-মন্দ বাছাই করার গণতান্ত্রিক সুযোগ দিতে হবে।

অনেক আগের ইরান-ইরাক যুদ্ধের কথা বলতে হচ্ছে। মূলত ধূর্ত আমেরিকার উসকানিতে ইরাকের শাসক সাদ্দাম হোসেন ১৯৮০ সালে আকর্ণ সমস্যাকীর্ণ ইরানের নতুন ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র’কে হঠাৎ আক্রমণ করে বসেছিলেন। এরপর ভ্রাতৃক্ষয়ী রক্তাক্ত যুদ্ধের দীর্ঘ আটটি বছর। ইরান ঘুরে দাঁড়িয়ে ইরাককে যত কোণঠাসা করে, ততই পাশ্চাত্য তার থেকে দূরে সরে যায়। একপর্যায়ে বোঝা গেল, ইরাক পিছু হটছে আর প্রাণ হারাচ্ছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। এ সময়ে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার জনৈক সাংবাদিক আমাকে বললেন, ‘অফিসে বলা হয়েছে- ইরানকে যে করেই হোক হারাতে; অর্থাৎ ইরাককে জেতাতে হবে।’ বললাম, ‘এটি কী করে সম্ভব? যুদ্ধ হচ্ছে রণাঙ্গনে; তা-ও বাংলাদেশ থেকে বহু দূরে।’ উনি বললেন, ‘পত্রিকায় খবর এমনভাবে দিতে হবে যাতে মনে হয় ইরাক লড়ছে আর ইরান পেরে উঠছে না।’ শুনে আমি হতবাক। তেমনি এখন ঢাকায় বসে আফগান রাষ্ট্রের কাউকে তোলা বা ফেলা সম্ভব নয়। সাংবাদিকতার যে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ চরিত্র আছে, তা যেন মার না খায়।

তালেবানের ধর্মীয় কঠোরতা সর্বজনবিদিত। প্রধানত নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে এসব কড়াকড়ি তাদের পয়লা শাসনামলের। বর্তমান আমলে এর বিধিনিষেধ ঢিলে হওয়ার সম্ভাবনা। খোদ মক্কা-মদিনার দেশ সৌদি আরব ও ইরানের মতো কোনো কোনো মুসলিম দেশে হিজাব মানার কড়াকড়ি মেনে চলতে হয় অমুসলমান মহিলাকেও। অতএব, আফগানিস্তানেও অমুসলিম মহিলা সাংবাদিক শার্লোটে প্রায় হিজাব মানছেন। দেখা গেছে, বিশেষ করে কোনো দেশ আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের বলয়ভুক্ত হলে নারীদের প্রতি এহেন কঠোর আচরণ নিয়ে তেমন কথা ওঠে না। তবে ‘লাল’ বা ‘কালো’ তালিকাভুক্ত হলে তখন পান থেকে চুন খসলেও বিপদ!

পশ্চিমা দুনিয়ার এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিচারিতা রহস্যজনক ও অর্থহীন হলেও তা অব্যাহত রয়েছে। তাই তালেবান সরকারি নারী কর্মচারীদের ‘নিরাপত্তা’র যুক্তি দিলেও কিংবা নারীরা নারীদের স্কুল-কলেজ চালানোর তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও কার্যত লাভ হয়নি।

তালেবান আপসকামী হয়ে পাশ্চাত্যের কাছে নতিস্বীকার না করা পর্যন্ত এই অদ্ভুত পরিস্থিতির উন্নতি না-ও হতে পারে। তাই তালেবান নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যোগ দেয়ার আহবান জানাতে পারে এবং তাদের হাসপাতালে নারী নার্স থাকতে পারে। তবে এতে তাদের সমালোচনা কমবে না।

এখনকার আফগানিস্তান নিয়ে কথা হলো, সেখানে আশার চেয়ে আশঙ্কা বেশি; আপদ বেশি বিপদের চেয়ে এবং অতীতের নিরিখে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার ব্যাপারেই মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেশি। তালেবান সরকার যতই অভয় দিক না; সাধারণ আফগানরা আগের দিনের কথা ভেবে ভয় পাচ্ছে। তাই দলে দলে দেশ ছাড়ছে বিমানে ঝুলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হলেও। তাদের কেউ আমেরিকার ‘উন্নত’ জীবনের স্বপ্ন দেখে; কেউ বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চায় আর অনেকে জান বাঁচাতে পাকিস্তান, ভারত, ইরান, মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপ, তুরস্কে পালাতে চাচ্ছে। তালেবান যত হুঁশিয়ারি দিক কিংবা ভালো কথা বলুক, এখনো তার প্রভাব নেই খুব একটা। যারা দেশত্যাগী হচ্ছে, তাদের সমালোচনা করে অথবা দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেও বেশি ফায়দা হচ্ছে না। তাদের মাইগ্রেশনের বড় কারণ ভীতি ও অনিশ্চিত জীবন।

পত্রিকায় খবর এসেছে তালেবানের তোয়াজ করার। নিজ নিজ স্বার্থে এটি করছে বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশ, এমনকি একগুঁয়ে ব্রিটেনসহ ইউরোপও। তবে এসব তোষামোদ তালেবান কতটা উপভোগ করবে, তা বলা যায় না। পাশের পাকিস্তানের মতো দূরের আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেরও বিরাট স্বার্থ রয়েছে আফগানিস্তানে। তাই তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকারের সাথে দেশগুলো নরমে-গরমে সম্পর্ক রাখতে চায়। তারা চরম মনোভাব নিয়ে point of no return-এ যেতে চাচ্ছে না বলেই প্রতীয়মান।

যেমন পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক প্রথমাবধি মন্দ। এর ঐতিহাসিক কারণ আছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমানা হাজার হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত। এর ভিত্তি ব্রিটিশ শাসনামলের ‘ডুরান্ড লাইন’ যা আফগানরা তাদের প্রতি ‘অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক’ বলে দাবি করে আসছে। পাকিস্তান কিন্তু দুই দেশের সীমারেখা মেনে নিয়েছে বহু আগেই। তবুও তার দরকার আফগান উগ্রবাদীদের এবং তাদের প্রতি সমর্থন। আসলে পাকিস্তানে deep state তালেবান নিয়ে নিজ স্বার্থেই খেলতে চায়। বিতর্কিত কাশ্মির উদ্ধারে তালেবানকে ব্যবহার করতে চাইলেও পাকিস্তানের দুশ্চিন্তাও আছে ওদের নিয়ে। তা ছাড়া সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় বাদ দিলে রুশ-আফগান সম্পর্ক বরাবরই ঘনিষ্ঠ। অন্য দিকে পাকিস্তান আমেরিকার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছে রাশিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রেখে। এখন অবশ্য ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই যথাক্রমে পুরনো ও নতুন বন্ধু মস্কোর মিত্র হতে লালায়িত। উইঘুর মুসলিম বিদ্রোহীদের সাথে তালেবানের আদর্শিক মিতালি নিয়ে যতই চীন দুর্ভাবনায় থাকুক, বেইজিং আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে খুবই মরিয়া। এ জন্য তালেবানের সাথে তার এখন দরকার ব্যাপক দোস্তালি (যদিও তা স্বার্থসন্ধান মাত্র)। সোভিয়েত আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তানে বেদম মার খেয়েও রাশিয়া তালেবানমৈত্রী হারাতে চায় না; কারণ আপাতত এতেই তার লাভ। ভারত নিজের বিরাট বিনিয়োগ আফগান দেশে নস্যাৎ হয়ে যেতে দেখেও তালেবানকে দৃশ্যত দুশমন বানাতে গররাজি; কারণ আফগানিস্তান তার হাতছাড়া হলে চীন-পাকিস্তানের সুবিধা। দুই দেশই তার শত্রু এবং তাদের ‘পোয়াবারো’ হওয়া মানে ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শক্তি হওয়ার পথে বিরাট বাধা। সার্কে তো দিল্লিই ঢুকিয়েছে কাবুলকে নিজের স্বার্থে। ইরান তালেবানের হাজারো শিয়া হত্যাযজ্ঞ না ভুললেও মনে করছে তালেবানের সাথে সুসম্পর্ক রাখলেই তার ফায়দা হবে অনেক।

সর্বাগ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন যে, কেন তাকে ভিয়েতনামের মতো আবার আফগানিস্তানেও শোচনীয় পরাজয় স্বীকার করে নিতে হলো? কী কারণে এমন ঘটনার এবার পুনরাবৃত্তি হলো প্রায় অর্ধশতক পার হলেও? এখন আইএস আতঙ্ক, তাদের প্রতি পাল্টা হামলা, আফগানিস্তানের আরো বেসামরিক লোক হত্যা, তালেবানের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বের করে এনে স্বীকৃতিদানে বিলম্ব- এসব কি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পরাশক্তির ভাবমূর্তির সাথে মানানসই? ‘মূর্তি’ না থাকলে কেবল ‘ভাব’ ধরে কি ভাবমূর্তি গড়া যায়? আমেরিকা যে Friendly Fire Avi Necessary Evils-এর ধুয়া তুলে তার ইমেজ অনেকটা খুইয়ে ফেলেছে, তা স্পষ্ট। এখন তার পক্ষে বৃহত্তম মহাদেশে নিজের কর্তৃত্ব আর প্রভাব পুনরুদ্ধার করা কি সম্ভব? বিশেষত জানাজার সমাবেশ, হাসপাতালের রোগী কিংবা বিয়ের মজলিসে ভয়াবহ হামলার কী জবাব দেবে আমেরিকা?

তালেবানকেও উপলব্ধি করতে হবে নিজের ভুল, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা। অভিযোগ, তারা অনেক ‘বাড়াবাড়ি’ করেছে ইসলামের নামে। আফগানিস্তানে বারবার আত্মঘাতী আক্রমণ, শিয়া মতাবলম্বী হাজারা সম্প্রদায়কে ব্যাপকভাবে হত্যা করা, বহু নিরীহ ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু, প্রফেসর রব্বানির মতো মুরুব্বিস্থানীয় মানুষের অপমৃত্যু ইত্যাদি প্রশ্নে অবস্থান কী? তালেবান তাদের প্রথম শাসনকালে কেন মাত্র তিনটি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছিল? কেন মিডিয়া তাদের ওপর আজো খড়গহস্ত কিংবা তাদের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ? কেন ২০০১ সালে কাবুলের ক্ষমতা থেকে তালেবান হঠানোর পরও কারো সাহায্য মেলেনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে? এমনকি মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও তখন চুপ ছিল কী কারণে? আবার এত বছর পরে কেন তাদের আফগানিস্তানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠান সহজ হয়ে গেছে? দুর্নীতিমুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন আর জবাবদিহিসহ দক্ষ-যোগ্য সরকার কিভাবে গঠন করা যায়? কেন বিগত গনি সরকার জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক স্থিতি আনতে ব্যর্থ হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি সবার। আশা করি, সংশ্লিষ্ট সবাই আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির পরিচয় দেবে।

হেঁসেলে এক দিনও না
২৯ আগস্ট টিভির খবরে একটি শিরোনাম দেখে শরৎবাবুর কথা মনে পড়ল। বাংলা সাহিত্যের প্রখাত এই কথাসাহিত্যিক, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর এক বইতে লিখেছেন অনেকটা এ রকম- (এক মহিলা তার বান্ধবীকে বলছে) ‘২০ বছর ওর সাথে ঘর করেছি। কিন্তু কোনো দিন তাকে হেঁসেলে ঢুকতে দেইনি।’ অর্থাৎ তার বিশ্বাস- ‘প্রেম করে অব্রাহ্মণের ছেলে বিয়ে করে ঘর করলে জাত যায় না, তবে ওকে হেঁসেলে বা রান্নাঘরে এক দিন ঢুকতে দিলেই সর্বনাশ! নরকগমন তা হলে নিশ্চিত হয়ে যাবে।’

তেমনি আফগানিস্তানের তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী’র সরকারি তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়ে নেতা বারাদারের মুক্তি নিশ্চিত করে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা ও ‘দোহা চুক্তি’ করলে কিংবা তাদের স্বদেশে ক্ষমতাসীন হওয়ার পথ করে দিলে ‘ক্ষতি’ নেই। তবে তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর এখন তাকে স্বীকৃতি দিলেই যত ক্ষতি! এমন ঘোষণা মার্কিন প্রশাসনের। আর সেটিই টিভির ব্রেকিং নিউজে তুলে ধরা হলো ‘তালেবানকে খুব শিগগিরই মার্কিন প্রশাসনের স্বীকৃতি নয়।’ কী বিচিত্র সে দেশ, সেলুকাস!


আরো সংবাদ



premium cement