২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বসবাসযোগ্যতায় ঢাকা ১৪০ দেশে ১৩৭তম

-

ঢাকা। আমাদের রাজধানী শহর। দুই কোটিরও বেশি মানুষ নিয়ে এ শহরে অনেকটা ঠাসাঠাসি করেই আমাদের অধিবাস। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির শহর এটি। বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর। নানা সমস্যার মাঝে বসবাস করেও ঢাকা এগিয়ে যাক, এমনটাই প্রত্যাশা প্রতিটি ঢাকাবাসীর। নগরবাসী চায় ঢাকার জীবনযাপন হোক সমস্যামুক্ত, আরো সহজতর, অনুকূল বসবাসযোগ্য। এরপরও প্রত্যাশিত সুখবরের বিপরীতে ঢাকার বসবাসযোগ্যতা নিয়ে এমন সব খবর প্রায়ই পাই, যা আমাদের আশাহত করে। সম্প্রতি এমনি একটি খবর জানিয়েছে ‘ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ (ইআইইউ)। ক’দিন আগে তারা প্রকাশ করেছে ‘গ্লোবাল লায়াবিলিটি র‌্যাংকিং রিপোর্ট-২০২১’ যা মূলত তৈরি করা হয়েছে ২০২০ সালের তথ্য-পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে।

শহর ঢাকার জন্য কোনো সুখবর নেই এই রিপোর্টে। বরং আছে দুঃসংবাদ। রিপোর্টের ‘গ্লোবাল লায়াবিলিটি ইনডেক্সে’ ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম। এর অন্য অর্থ, বসবাসযোগ্যতার দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা চারটি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। ঢাকার চেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে বিশ্বের মাত্র তিনটি শহর। আগের বছরের মতো এবারো সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নাইজেরিয়ার ল্যাগোস ও পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি।

কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ শহরে লকডাউন চলায় ইআইইউ ২০২০ সালে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। ২০১৯ সালের রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৮তম। ২০১৮ সালে ছিল ১৩৯ নম্বরে। আর এবার ১৩৭তম স্থানে। এর আগে একসময় ঢাকা ছিল বসবাসযোগ্যতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহর। তা হলে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বসবাসযোগ্যতার অবস্থান প্রতি বছর এক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে এগিয়ে চললে ‘সেরা-একশ’-এর অবস্থান ব্র্যাকেটে পৌঁছতে আরো ৩৭ বছর সময় লাগবে। আর ‘সেরা-দশ’-এ ঢুকতে সময় লাগবে সোয়াশ’ বছরেরও বেশি। এ থেকে সহজেই অনুমেয় অবস্থানের গ্রহণযোগ্য পরিবর্তন আনতে আমাদের কতটা গতি নিয়ে কাজে নামতে হবে।

ইআইইউর রিপোর্ট মতে, এবারের সেরা দশ বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে- ১. নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড; ২, জাপানের ওসাকা; ৩. অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড; ৪. নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন; ৫. জাপানের টোকিও; ৬. অস্ট্রেলিয়ার পার্থ; ৭. সুইজারল্যান্ডের জুরিখ; ৮. সুইজারল্যান্ডের জেনেভা; ৯. অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন এবং ১০.অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন।
লক্ষণীয়, এই সেরা দশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার চারটি শহর, নিউজিল্যান্ডের দু’টি, সুইজারল্যান্ডের দু’টি এবং জাপানের দু’টি। এবারের সেরা দশে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। বলা হয়, জোরালোভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার কারণে র‌্যাংকিংয়ে দেশ দু’টির এই প্রাধান্য। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শহরগুলোর প্রাধান্যও লক্ষ করা গেছে সেরা দশে, যেগুলোর মধ্যে রয়ছে- ওসাকা, অ্যাডিলেড, ওয়েলিংটন, টোকিও, পার্থ, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন। এবার ইউরোপীয় ও কানাডীয় শহরগুলোর অবস্থান আগের চেয়ে নিচে নেমে গেছে লকডাউনের কারণে। এর আগে ভিয়েনা যেখানে ছিল সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর এবার তা নেমে গেছে দ্বাদশ অবস্থানে।

অপরি দকে এবারের ইআইইউ রিপোর্ট মতে, সবচেয়ে খারাপ বসবাসযোগ্য ১০টি শহরের অবস্থান হচ্ছে নিম্নরূপ- ১. সিরিয়ার দামেস্ক; ২. নাজেরিয়ার ল্যাগোস; ৩. পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি; ৪. বাংলাদেশের ঢাকা; ৫. আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স; ৬. লিবিয়ার ত্রিপোলি; ৭. পাকিস্তানের করাচি; ৮. জিম্বাবুয়ের হারারে; ৯. ক্যামেরুনের ডুয়ালা ও ১০. ভেনিজুয়েলার কারাকাস। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ইআইইউ সাধারণত সবগুলো শহরের র‌্যাংকিং প্রকাশ করে না।
অতীতে আমরা দেখেছি, ইউরোপীয় শহরগুলো সাধারণত লায়াবিলিটি র‌্যাংকিংয়ের তালিকার প্রথম দিকেই অবস্থান নিতো। কিন্তু এবারের তালিকায় সেসব শহরের অবস্থান কিছুটা নিচে নেমে আসতে দেখা গেছে। আর র‌্যাংকিংয়ে ওপরে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের শহরগুলো। এই র‌্যাংকিং তৈরির সময় বিভিন্ন শহর কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে কতটুকু সফল উদ্যোগ নিতে পেরেছে, তা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ফলে যেহেতু নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটন, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ও জাপানের ওসাকা কার্যকরভাবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়, তাই র‌্যাংকিং তালিকার সেরা দশে উঠে আসা এসব শহরের জন্য সহজ হয়েছে। যখন অন্যান্য দেশের বড় বড় শহর লকডাউন আর নানা বিধিনিষেধের কবলে, তখন এসব শহর ছিল উন্মুক্ত। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন আমাদের ঢাকা এবারো র‌্যাংকিংয়ে একেবারে তলানিতেই রয়ে গেল? এ প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তাদের লায়াবিলিটি র‌্যাংকিং স্কোর নির্ধারণে মেট্রিকস বা মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে পাঁচটি বৃহত্তর পরিসরের ক্ষেত্র- স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা. সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো। এসব ক্ষেত্রের ৩০টি গুণগত ও সংখ্যাগত উপাদান বা নিয়ামক এই র‌্যাংকিং নির্ধারণে বিবেচিত হয়। খতিয়ে দেখা হয়, এগুলো এক্সেপ্টেবল (গ্রহণযোগ্য), টলারেবল (সহনীয়), আনকমফোর্টেবল (অস্বস্তিকর), আনডিজায়ারেবল (অপ্রত্যাশিত) অথবা ইনটলারেবল (অসহনীয়) কি না। এ ছাড়া এবারের র‌্যাংকিং নির্ধারণে নতুন নিয়ামক হিসেবে যুক্ত হয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিও।

সাধারণ হিসাব হচ্ছে, এসব মানদণ্ডে আমরা ভালো স্কোর করতে পারিনি বলেই ঢাকার অবস্থান ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩৭তম স্থানে। তবে মোটা দাগে জনধারণা হচ্ছে, ঢাকার এই পিছিয়ে থাকার পেছনে কাজ করেছে ব্যবসায়ের উচ্চ খরচ, পরিবেশ পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং-দারিদ্র্য। ২০২১ সালের এই লায়াবিলিটি ইনডেক্স ঢাকা ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৩.৫ নম্বর স্কোর করে ১৩৭তম স্থানে। স্থিতিশীলতায় ঢাকা পেয়েছে ৫৫ নম্বর, স্বাস্থ্যসেবায় ১৬.৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০.৮, শিক্ষায় ৩৩.৩ নম্বর ও অবকাঠামোয় ২৬.৮ নম্বর। ২০১৯ সালের এই সূচকে ঢাকার স্থিতিশীলতায় স্কোর ছিল ৫৫, স্বাস্থ্যসেবায় ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫, শিক্ষায় ৪১.৭ ও অবকাঠামোয় ২৬.৮। ২০১৮ সালের সূচকে ঢাকার স্কোর স্থিতিশীলতায় ৫০, স্বাস্থ্যসেবায় ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫, শিক্ষায় ৪১.৭ এবং অবকাঠামোয় ২৬.৮।

একটি শহরের বসবাসযোগ্যতা সাধারণত নির্ধারিত হয় জীবনযাপনের মানের ওপর নির্ভর করে। যেমনÑ বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের প্রাপ্যতা, আবাসন, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশের ওপর। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার কথাটি বাদ দিলে অন্যান্য ক্ষেত্রে ঢাকার স্কোর খুবই কম। স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিটি বিবেচিত হয় নগরীতে যুদ্ধ, অপরাধ ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি থাকার সময়ে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার ভালো স্কোর করার কারণ রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকা। কোভিড-১৯ মহামারী এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। সরকার-আরোপিত সাধারণ সরকারি ছুটি, লকডাউন ও নানামাত্রিক বিধিনিষেধ আরোপের ফলেও রাজনৈতিক আন্দোলন সীমিত হয়ে পড়ে।

সাধারণত, ঢাকাবাসী মানুষ খুব একটা খাদ্য সমস্যায় ভোগে না। তবে স্বীকার করতেই হবে, কোভিড-১৯-এর সময়ে ঢাকার নাগরিক সাধারণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বড় ধরনের খাদ্য সমস্যায় পড়ে। কারণ ওই সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হঠাৎ করে স্থিমিত হয়ে পড়ে। অনেকে কাজ হারান। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ এ সময় তখন ভয়াবহ খাদ্য-সমস্যায় পড়ে। স্বাভাবিক কারণেই এ ক্ষেত্রে ভালো স্কোর করার সুযোগ হারিয়ে ফেলে ঢাকা।

ঢাকায় বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন, আবাসন ও নিরাপদ পরিবেশের সমস্যা আমাদের বরাবরের। দক্ষিণ এশিয়ার আরো অনেক শহরের মতো ঢাকাবাসীও এসব সেবা যথাযথভাবে পায় না। ঢাকাবাসীর কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশের বসবাস বস্তিতে কিংবা উন্নয়নহীন এলাকায়। তাদের বিশুদ্ধ পানি পাওয়াটা একটি বড় সমস্যা। এরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে।

নিয়ম-অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলা ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা খুবই জটিল ও অস্বস্তিকর। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, পরিকল্পনা ও কর্মসূচির শেষ নেই। তবু গণপরিবহন পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন কখন ঘটবে তা বলা দুষ্কর। পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন নেই। বলা যায়, ক্ষেত্রবিশেষে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। অবস্থার উন্নতিকল্পে সরকার বাস্তবায়ন করছে বেশ কিছু প্রকল্প- মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু। অনেকগুলো এখনো নির্মাণাধীন, কিছু শুরু হওয়ার পথে।

ঢাকার পরিবেশ পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। বায়ুদূষণ পরিস্থিতি অবনতিশীল। বড় সড়কগুলো মোটামুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হলেও অলি-গলিতে থাকে আবর্জনার স্তূপ। এগুলো নানা খানাখন্দকে পরিপূর্ণ। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সময় ভারীবর্ষণ হলে অনেক এলাকা ও সড়ক চলে যায় পানির নিচে। দুই সিটি করপোরেশন পানি নিষ্কাশনের সমস্যা নিরসনে শতভাগ ব্যর্থ। কিন্তু সমস্যা সমাধানে সাংবার্ষিক প্রতিশ্রুতি চলছেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ঢাকা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষিত শহর। কয়েক বছর ধরেই ঢাকার বায়ু-পরিস্থিতি এমনটিই চলছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারির ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে’ (একিউআই) সবচেয়ে বায়ুদূষিত শহর হিসেবে ঢাকা প্রথম স্থান দখল করে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে কাঠমান্ডু ও দিল্লি। রাত ২টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রেকর্ড করা হয় ২৩৭, এটিকে ধরা হয় ‘ভেরি আনহেলদি’ মাত্রার বায়ুদূষণ। ২০১-৩০০-এর মধ্যবর্তী একিউআই বিবেচিত ‘পুওর’ মাত্রার বায়ুদূষণ। অন্য দিকে ৩০১-৪০০-এর মধ্যবর্তী একিউআইকে ধরা হয় মানুষের জন্য ‘হ্যাজারডাস’ মাত্রার বায়ুদূষণ।
উল্লেøখ্য, একিউআই সূচক সরকারগুলো ব্যবহার করে নিজ দেশের শহরবিশেষের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি শহরবাসীকে অবহিত করার কাজে। এর মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে তাদের শহরের বায়ুর মান কেমন। ঢাকার বাযুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী ইটভাটাগুলো। তা ছাড়া নির্মাণকাজের ফলে সৃষ্ট ধুলাবালু এবং যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া বায়ুদূষণের জন্য দায়ী।
এ দূষণ দূর করতে বাংলাদেশের নানা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ইটভাটা, কলকারখানা ও পরিবহনের ধোঁয়া কমিয়ে আনায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। প্রয়োজন পরিবেশ আইনগুলোর সুষ্ঠু বস্তবায়ন।

এটা স্পষ্ট, ঢাকার বসবাসযোগ্যতার মাত্রা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি দৃষ্টে বসবাসযোগ্যতার র‌্যাংকিংয়ে ঢাকার পিছিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক। পিছিয়ে থাকার এই কারণগুলো এখন জরুরিভিত্তিতে খতিয়ে দেখা দরকার। সেই সাথে দরকার ঢাকার বসবাসযোগ্যতার র‌্যাংকিং একটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কার্যকর পদক্ষেপ।


আরো সংবাদ



premium cement