২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুক্তিযোদ্ধা থেকে পরিবেশযোদ্ধা

শাজাহান সিরাজ
শাজাহান সিরাজ - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে পরিবেশ দূষণ আর জলাবদ্ধতার একটা বড় কারণ হলো পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার। এখন পিপিই বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলে দূষণ ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। এগুলো পলিথিন জাতীয় আরেক পদার্থ, পলিমার দিয়ে তৈরি করা। পলিথিনের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেও সরকার সফল হয়নি। তবে অতীতের কোনো কোনো সরকার আন্তরিকভাবেই এর উৎখাতের প্রয়াস চালিয়েছিল। তখন একটি সরকারের পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন শাজাহান সিরাজ। আর সেই সরকারটি হলো ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোট সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। শাজাহান সিরাজ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, হলেন পরিবেশযোদ্ধা। তিনি পলিথিন শপিং ব্যাগের পাশাপাশি বেবিট্যাক্সি বা অটোরিকশার পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধেও কোমর বেঁধে নেমেছিলেন। দীর্ঘ দিন ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে শাজাহান সিরাজ গত ১৪ জুলাই ইন্তেকাল করেছেন।

শাজাহান সিরাজের মৃত্যুর পর নানাভাবে তাকে স্মরণ করে, তার অবদানের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতির লোকেরা তার রাজনৈতিক দিকটা বড় করে দেখেছেন। একজন পরিবেশ সাংবাদিক হিসেবে মরহুমের একটি বিশেষ দিক তুলে ধরছি।

সময়টা ২০০২ সাল। বিএনপির প্রাধান্যপুষ্ট জোট সরকার ক্ষমতায় এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়া তখন সরকারপ্রধান। বন ও পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন টাঙ্গাইলের শাজাহান সিরাজ। একসময়ের এই জাসদ নেতা এবং ছাত্র সংগঠক ১৯৯৫ সালে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি)। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নিজ এলাকা কালিহাতী থেকে আবার এমপি হয়ে অচিরেই মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শাজাহান সিরাজ নেমে পড়লেন দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে। ক. পলিথিনের ব্যবহার এবং খ. যানবাহনের কালো ধোঁয়া বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি সোচ্চার ও সক্রিয় হলেন। পলিথিন শপিং ব্যাগের পানি ও মৃত্তিকা দূষণ এবং গাড়ির (বিশেষ করে অটোরিকশা জাতীয় যান) কালো ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ রোধের জন্য সারা দেশে তুমুল প্রচারণা শুরু হলো। সরকার এসব ইস্যুতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচারণা চালিয়ে যেতে থাকে। এ তৎপরতার মূল উদ্যোক্তা এবং সর্বাধিক অগ্রণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ।

দেশের সাংবাদিকদের তখন আজকের মতো এত সংগঠন না থাকলেও পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এফইজেসি’ ছিল অনেক আগে থেকেই। ১৯৯৪ সালে ‘এফইজেবি-এসকাপ’ পুরস্কার পেয়েছিলাম আমরা দু’জন- মরহুম আলোকচিত্র আজিজুর রহিম পিউ এবং আমি নিজে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সে পুরস্কার দিয়েছিলেন জাতিসঙ্ঘের তদানীন্তন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রফিউদ্দীন আহমদ। সেই সুবাদে এফইজেবি বা বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সদস্য হিসেবে এর সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।

২০০২ সালে পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ হঠাৎ একদিন সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে পরিবেশ সাংবাদিকদের ডাকলেন সচিবালয়ে তার অফিসে। খবর পেয়ে প্রথমে কিছুটা অবাক হলাম। ভাবলাম, ছুটির দিনে মিটিংয়ের দাওয়াত দেয়া হলো কেন? কী এমন জরুরি বিষয়?

যথাসময়ে এফইজেবির সদস্যরা দলবেঁধে হাজির হলাম সচিবালয়ে। পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ আমাদের ডেকেছিলেন পলিথিন, তথা পরিবেশ দূষণ রোধ করার আন্দোলন সফল করতে মিডিয়া বা সাংবাদিকদের সহযোগিতার ব্যাপারে। সে দিন তিনি অনেক কথাই বললেন পলিথিন নিয়ে। জানিয়েছিলেন এ বিষয়ে তার নিজের এত সিরিয়াস হওয়ার কারণ ও প্রেক্ষাপট।

শাজাহান সিরাজ জানান, তিনি বাড়িতে একবার ক্ষেত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সে মোতাবেক মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে বেকায়দায় পড়লেন। কারণ যেখানেই মাটি কোপানো হয়, সেখানেই উঠে আসে কেবল পলিথিনের ব্যাগ আর ব্যাগ। ভাবতেও পারেননি যে, বাড়িতে এ পর্যন্ত এত বেশি পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। পলিথিন বা প্লাস্টিকসামগ্রী কখনো পচে না এবং মাটিতে মিশে যায় না। তাই এ অবস্থা। একটি বাড়িতেই যদি এতগুলো পলিথিন মাটির নিচে জমতে পারে, তা হলে সারা দেশে অবস্থা না জানি কত ভয়াবহ। এই ভাবনা ও উপলব্ধি থেকে শাজাহান সিরাজ সিদ্ধান্ত নেন, যেকোনোভাবে হোক, পলিথিনের দূষণ থেকে পরিবেশ এবং এর ক্রমবর্ধমান দৌরাত্ম্য থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

এই চিন্তার পরিণতি ঘটেছিল তার মন্ত্রিত্বের আমলে। পলিথিন নির্মূল করতে তিনি উঠেপড়ে লেগেছিলেন। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই শপিংব্যাগ হিসেবে পলিথিনের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরে পলিথিন ব্যাগ ফিরে এসেছে এবং এখন আগের চেয়েও বেশি করে ব্যবহৃত হচ্ছে, এর জন্য তো শাজাহান সিরাজ দায়ী নন। তিনি যত দিন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, যত দিন তার ক্ষমতা ছিল, তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েছেন, যাতে পলিথিন দূষণ আর না থাকে। সাংবাদিকসহ অনেকে এ ক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করেছিলেন।
বর্তমানে পরিবেশ দূষণসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা চরমে উঠেছে। এ জন্য দায়ী পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার, ফসিল ফুয়েলের ব্যাপক ব্যবহার, গাড়ির কালো ধোঁয়া, গাছপালা কেটে উজাড় করা প্রভৃতি। ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাসে চলমান বিশ্বজনীন মহামারী সে ভারসাম্যহীনতার পরিণামে প্রকৃতির এক ধরনের ‘প্রতিশোধ’ বলে অনেকের অভিমত।

কোনো ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠী বা সরকারের পক্ষে একা সম্ভব নয়; বিরাট কোনো জাতীয় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা। এ ধরনের কাজে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন শীর্ষ নেতৃত্বের পুরো সমর্থন, প্রশাসনের নিষ্ঠা, জনগণের সচেতনতা, মিডিয়ার প্রত্যাশিত ভূমিকা, বিভিন্ন সরকারের ধারাবাহিক প্রয়াস, বেসরকারি খাতের পর্যাপ্ত তৎপরতা প্রভৃতি। তেমনি পলিথিনসহ প্লাস্টিক দূষণ এবং যানবাহন ও কারখানার কালো ধোঁয়ার দৌরাত্ম্যের অবসান ঘটাতে চাই আইনগত সমর্থন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিয়মিত মনিটরিং ও সর্বত্র কঠোর অভিযান; অন্যথায় ক্ষতিকর পলিথিনের বেআইনি উৎপাদন, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন, বিক্রয়, ব্যবহার, কোনোটা বন্ধ হওয়া দূরের কথা- কমবেও না। এখন করোনাকালের প্রেক্ষাপটে, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর (পিপিই) নিম্নমান ও অবৈধ কারবারের পাশাপাশি এগুলোর বর্জ্য কর্তৃক ব্যাপক পরিবেশ দূষণের বিষয়ও জাতির উদ্বেগের হেতু। এবার নয়া দিগন্তের একটি সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, পিপিই সাধারণত পলিমার দিয়ে তৈরি করা হয়, যা পলিথিনের মতোই এক ধরনের প্লাস্টিক যৌগ।

শাজাহান সিরাজের নাম প্রথম শোনা যায় যখন তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। ‘বাংলার আলীগড়’ হিসেবে সুপরিচিত, টাঙ্গাইলের করটিয়া সাদত কলেজে ষাটের দশকের প্রথম দিকে তার রাজনীতির সূচনা। করটিয়ার দানবীর চাঁদ মিয়া (ওয়াজেদ আলী খান পন্নী) ১৯২৬ সালে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রখ্যাত লেখক-সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ ছিলেন এর দীর্ঘকালীন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে ১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইল জেলা গঠন করা হয়। শাজাহান সিরাজ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতার একজন হিসেবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি নবগঠিত দল জাসদের একজন প্রতিষ্ঠাতা নেতা হিসেবে বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে সাহসী ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় দলের বহু নেতাকর্মীর মৃত্যু হয় এবং জাসদ সম্মুখীন হয়েছিল অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের। সে বছর নভেম্বর মাসে শাজাহান সিরাজ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন কারাবন্দী ছিলেন। তার মুক্তির দাবিতে আহূত হরতালে ঢাকাসহ সারা দেশে জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছিল স্থবির। পরে নানা রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে জাসদ ক্রমে বিভক্ত ও দুর্বল হতে থাকে। আশির দশকে দলের একটা বড় অংশ ছিল শাজাহান সিরাজ ও হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন। এরশাদ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে মতভেদের দরুন শাজাহান সিরাজ জাসদের ভিন্ন গ্রুপের নেতৃত্বে আসীন হন।

পরে তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। তৎকালীন পরিস্থিতিতে এটি ছিল জাতীয় জীবনের বিরাট এক রাজনৈতিক ঘটনা। কারণ আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি-জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আন্দোলনের চাপে ক্ষমতাসীন বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। তখন বিপরীত স্রোতের নাবিকের মতো এ দলে যোগ দেয়ার ঝুঁকি নেয়া সহজ ছিল না। যে কারণেই হোক, শাজাহান সিরাজ সে কাজটিই করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় পরে তিনি হয়েছিলেন বেগম জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য। মনে পড়ছে মরহুম শাজাহান সিরাজের একটি বক্তৃতার কথা। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি মন্ত্রী হিসেবে এক অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানস্থল ছিল ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠের কিছু উত্তর-পূর্বে অবস্থিত, একটি তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষালয়ের মিলনায়তন। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন। কোন বিষয়ে কারা সে সভার আয়োজক, আজ আর মনে নেই। তবে মন্ত্রী শাজাহান সিরাজের আবেগপূর্ণ কিছু কথা মনে আছে।

সে দিন তিনি বলেছিলেন, বলা হয় যে, ‘২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।’ এর থেকে মনে হতে পারে, আমরা ছিলাম অসচেতন আর শত্রুপক্ষ ছিল প্রস্তুত। আসলে আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্যে এমন প্রচণ্ড সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলাম যে, ওরা একপর্যায়ে আক্রমণ চালাতে নেমে পড়ে। ফলে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ।

স্মর্তব্য, ’৭১-এর সে দিনগুলোতে শাজাহান সিরাজ ছিলেন আন্দোলনের তখনকার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘চার খলিফার একজন’। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের বিশাল জনসভায় ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ পাঠ করেন তিনিই। এতে বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ ও ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তদুপরি ইশতেহারে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত কী বা কেমন হবে, তার উল্লেখ ছিল।
শাজাহান সিরাজকে ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ পাঠক হিসেবে ৩ মার্চ সংবর্ধনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল বছর কয়েক আগে। উদ্যোক্তা হিসেবে কোনো দলের নাম ছিল না পোস্টারে। তবে শেষ পর্যন্ত সে অনুষ্ঠান আর হয়নি। এর কারণও জানা যায়নি।

এবার শাজাহান সিরাজের মৃত্যুর পরপরই বিএনপি মহল শোক প্রকাশসহ তার সম্পর্কিত বক্তব্য প্রদানে এগিয়ে আসে। লক্ষ করার বিষয় হলো, ক্ষমতাসীন দল প্রথমে এ ব্যাপারে নীরব থাকলেও পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শোক জ্ঞাপন করেন এবং মরহুম নেতার পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। দলের একজন প্রবীণ নেতা শাজাহান সিরাজসহ কয়েকজনের স্মৃতিচারণ করে পত্রিকায় লিখেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

সকল