২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফের অলিম্পিকের স্বপ্নভঙ্গ মাবিয়ার!

-

২০১৬ রিও অলিম্পিকে যাওয়া হয়নি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের কারণে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকেও যাওয়া হয়নি ওয়াইল্ড কার্ড না পাওয়ায়। এবারো প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেশের অন্যতম সেরা ভারোত্তোলক ও এসএ গেমসে জোড়া স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তারের। অলিম্পিকের বাছাই পর্ব বিশ্বকাপ ভারোত্তোলনে খেলা হচ্ছে না তার। ফলে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এই গেমসেও তার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গত এক যুগ ধরে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখলেও কোনো না কোনো ছুতায় বাদ হয়ে যাচ্ছে।
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তাসখন্দে অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যেতে পারেননি মাবিয়া। এখন বিশ্বকাপে খেলতে না পারলে প্রথমবার অলিম্পিক গেমসে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাবে এই ভারোত্তোলকের। ৩১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ফুকেটে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ। অলিম্পিকের কোটা পেতে হলে এই আসরে ভালো করতেই হবে লাল-সবুজের ভারোত্তোলকদের। সেই লক্ষ্যে তিনজন সেরা ভারোত্তোলক নির্বাচন করে ফেডারেশন। আনসারের ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার ও বাকী বিল্লাহ এবং সেনাবাহিনীর স্মৃতি আক্তার। এবারের জাতীয় আসরে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনজনই।
কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না আনসারের দুই ভারোত্তোলকের। এ বিষয়ে ফেডারেশনের সহসভাপতি উইং কমান্ডার (অব:) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম আনসারকে। তারা সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই মাবিয়া আক্তার ও বাকী বিল্লাহর যাওয়া হচ্ছে না বিশ্বকাপে।’
অন্য দিকে আনসারের সহকারী পরিচালক রায়হান উদ্দিন ফকিরের কথা, ‘১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ সরকারি বন্ধ ছিল। পরদিন ফেডারেশনের চিঠি পেয়ে সাথে সাথে মাবিয়ার যাওয়ার বিষয়ে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার একদিন আগেই (১৬ মার্চ) নাকি বিশ্বকাপে নাম নিবন্ধনের সময় শেষ হয়ে যায়। তারপরও মাবিয়াকে বলা হয়েছে, যদি কোনোভাবে সম্ভব হয় তাহলে যেন ফেডারেশনের মাধ্যমে চেষ্টা করে।’


আরো সংবাদ



premium cement