২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এমন হার বিশ্বাস হচ্ছে না কাবরেরার

ফিলিস্তিন ৫ : ০ বাংলাদেশ
-


চলমান ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবলে বাংলাদেশের পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্য ছিল লেবানন এবং ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ গোলে বিধ্বস্ত হলেও শক্তিশালী লেবাননের সাথে পিছিয়ে পড়েও ড্র করা। যা নতুন করে আশা দেখাচ্ছিল জামাল ভূঁইয়াদের নিয়ে। তার উপর ২০২৩ সালটা সকারুজদের বিপক্ষে ওই ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ফিলিস্তিনের বিপক্ষেও পয়েন্ট পাওয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল। অথচ ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত দেশটি পরশু রাতে বিধ্বস্ত করল লাল-সবুজদেরই। যারা আগের পাঁচ মোকাবেলায় কখনই দুই গোলে বেশি দিতে পারেনি কুয়েতের শেখ জাবের আহমেদ স্টেটিয়ামে তারাই ৫-০তে হারাল বাংলাদেশকে। ফলে তিন ম্যাচে ১৩ গোল হজম করে গ্রুপের তলানিতেই অবস্থান জামালদের। অবশ্য লেবাননের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্টের কল্যাণে ভাণ্ডারটা শূন্য নয়। যাদের বিপক্ষে ড্র এর পাশাপাশি জয়েরও স্বপ্ন ছিল তাদের কাছে পাঁচ গোল হজম। এটা মানতে পারছেন না কোচ হাভিয়ার কাবরেরা। ম্যাচ শেষে তাই তার প্রতিক্রিয়া, আমরা জানতাম ম্যাচে একটা সময় এমন কিছু হতে পারে। তাই বলে এভাবে ধ্বসিয়ে দেবে- এটা ধারণাতেই ছিল না।
ফিলিস্তিন ২০০৬ সালে ঢাকায় ১-১ গোলে ড্র করেছিল। এরপর বাকি চার ম্যাচে একটিতে ১-০ এবং তিন ম্যাচে ২-০তে জিতেছিল। এবার পাঁচ গোলে জিতে তারা এখন চলে এসেছে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে। পরশু অপর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২-০ গোলে লেবাননকে হারায়। বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের ফিরতি ম্যাচ ২৬ মার্চ ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস এরিনায়।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৯৭ তে থাকা দলটির সাথে ১৮৩তে অবস্থান করা বাংলাদেশ প্রথম থেকেই অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে যাচ্ছিল। পেয়েছিল গোলের সুযোগও। তবে ছোট সোহেল রানার মিস লিড নিতে দেয়নি। এর পরও ৪২ মিনিট পর্যন্ত চোখে চোখ রেখে লড়ছিল জামাল ভূঁইয়ারা। এরপর রক্ষণ ভাগের ভুলে সব শেষ। বিরতির আগ পর মিলিয়ে ১০ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে চারবার বল তুলে আনতে হয় জাল থেকে। ৪৩ মিনিট থেকে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত ফিলিস্তিনের চার গোল।
৪৩ মিনিটে ওদে দাবাগের গোলে শুরু। এরপর ৫৩ ও ৭৭ মিনিটে আরো দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ বেলজিয়াম লিগে খেলা এই স্ট্রাইকারের। অপর দুই গোল শিহাব কুমবরের। তার গোল প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪২+২ মি.) এবং ৪৯ মিনিটে।
৫৩ মিনিটের মধ্যে হাল গোল হজমের পর আর লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। কোচ কাবরেরাও ম্যাচ শেষে এই বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, এরপর ম্যাচে ফেরাটা কঠিন হয়ে যায়। বাকি সময়ে শক্তিশালী একটি দলে বিপক্ষে আমরা রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছি।’

অবশ্য এই হারেই সব শেষ হয়ে যায়নি। এখনো বাংলাদেশের আরো তিন ম্যাচ বাকি আছে। ২৬ তারিখেই ঢাকায় ফিরতি ম্যাচ মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটির সাথে। তাই সেই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ দল। কোচ কাবরেরার মতে, ভুলটা কোথায় হয়েছে সেটা আমাদের বের করতে হবে। কেন ভালো শুরুর পরও লড়াইটা শেষ পর্যন্ত করা গেলে না তা দ্রুতই সন্ধান করতে হবে। বিশেষ করে ৪০ মিনিট এমন খেলার পর এই হার মানা যায় না। আরো উন্নতি করতে হবে। শিক্ষা নিতে হবে এই ম্যাচ থেকে।
অথচ এই ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিতে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের অনুশীলন করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু আশাপ্রদ ফল হলো না। এখন কিংস এরিনায় কি করতে পারে সেটাই দেখার বিষয়। যে মাঠে এখনো হারেনি কাবরেরা বাহিনী।
পরশু অন্য ম্যাচগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১-১ গোলে ড্র করেছে থাইল্যান্ডের সাথে। গোলশূন্য ড্র করেছে আফগানিস্তান ও ভারত। কাতারের ৩-০ গোলে জয় কুয়েতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ দল : মিতুল, তপু, হৃদয় ( জায়েদ ৮৫ মি.) জামাল, রাকিব, ফাহিম ( সুমন রেজা ৭২ মি.) , বিশ্বনাথ ( শাকিল ৭৯মি.) মো: সোহেল রানা ( রবিউল ৭২ মি.), ঈসা, জনি ( চন্দন রায় ৭২ মি.) ও সাদউদ্দিন।

 


আরো সংবাদ



premium cement