বাংলাদেশের অন্যতম পুরাতন ক্লাব ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। প্রতিষ্ঠিত ১৯০৩ সালে। এক সময় ঢাকার ফুটবল মাতা তো এই ক্লাব। রয়েছে আগাখান গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজীরও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার পর তাদের প্রিমিয়ারে ওঠা-নামাতেই সীমাবদ্ধ ছিল মিশন। তবে এই শতাব্দীতে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির প্রিমিয়ার ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তিনবার। ২০০২ ও ২০০৩ সালে এবং ২০১৪ সালে। এই ক্লাবে খেলেছেন সাকিব আল হাসান, খালেদ মাসুদ পাইলট, তামিম ইকবালের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের এই ট্রফিগুলো ছাড়াও আরো অনেক শিরোপা ছিল তাদের। মতিঝিল ক্লাব পাড়ার এই দলটির সাফল্যগুলো যেমন এখন শুধুই স্মৃতি, তেমনি সেই মহামূল্যবান ট্রফি মনের ফ্রেমে বন্দী। একটিরও অস্তিত্ব নেই। সাড়ে তিন বছর আগে ক্যাসিনো কাণ্ডে মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় অভিযান চালায় পুুলিশ। এরপর বন্ধ করে দেয়া হয় ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স, ওয়ারী, আরামবাগ, দিলকুশা ও ইয়ংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুল ক্লাব। কেউ আর ঢুকতে পারত না। এই সুযোগে চোরেরা ঢুকে ভিক্টোরিয়া ক্লাবের মহামূল্যবান সব ট্রফিই চুরি করে নিয়ে গেছে। বন্ধ হওয়া ক্লাবগুলো খোলার অনুমতি আগেই মিলেছিল। গতকাল খুলে দেয়া হলো ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। মূল ফটকের তালা ভেঙে ঢুকতেই কর্মকর্তাদের চোখে পড়ল সব খোয়ানোর দৃশ্য।
এই ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর। যিনি বাফুফেরও সাবেক কর্মকর্তা। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আবদুল গাফফারের নেতৃত্বে গতকাল খোলা হয় ভিক্টোরিয়া ক্লাবের তালা। এ সময় অন্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন শওকত আলী খান জাহাঙ্গীরও। এই বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক জানালেন, ক্লাবে ঢুকে আমার খুব কান্না পাচ্ছিল। কোনো কিছুই নেই। কাগজপত্র ফাইল সবতো নষ্ট হয়ে গেছেই। সে সাথে এত দিনের অর্জন সব ট্রফিই চুরি হয়ে গেছে। রৌপ্য নির্মিত ট্রফি ছিল। ছিল আগাখান গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফিও।
এই লম্বা সময়ে ক্লাবটি বন্ধ থাকায় দেয়াল পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। চোরেরা শুধু ট্রফিই নিয়ে যায়নি দরজা, জানালা, এয়ার কন্ডিশন সবই নিয়ে গেছে। মোট কথা রীতিমতো ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে খেলোয়াড় তৈরির এই ক্লাবটি। জাহাঙ্গীর জানান, অন্য সব ক্ষতিপূরণ করা গেলেও ট্রফি খোয়ানোর লোকসানটা আর মেটানো যাবে না। এখন শুরু হবে ক্লাবটির আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কারের কাছ। জাহাঙ্গীর তথ্য দিলেন, শ্রমিকরা জানিয়েছে এই ময়লা পরিষ্কার করতেই তাদের এক লাখ টাকা দিতে হবে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ভিক্টোরিয়া ক্লাবেই। এখনো ওয়ান্ডারার্স ক্লাব খোলা বাকি। এই ক্লাবগুলো সংস্কার করতে প্রায় কোটি টাকা লেগে যাবে। আবদুল গাফফার জানান, আমার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও বিসিবির কাছে এই অর্থ চাইবো। তার দেয়া তথ্য, ক্লাবগুলো খুলে দেয়া হলেও রাত ১১টার পর খেলোয়াড় ও স্টাফ ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না। সে সাথে ক্যাসিনো কাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত কেউই প্রবেশ করতে পারবে না ক্লাবে। তেমনই অঙ্গীকারনামা প্রশাসনের সাথে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা