১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

তাই বলে এত!

-

দু’দফা আসবে বলেও আসেনি অস্ট্র্রেলিয়া। বাহানা তৈরি করতে জুড়ি নেই তাদের। নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে প্রতিবারই বাতিল করেছে সফর। এবার যা-ও এলো তা-ও নানা রকম শর্তের ওপর রাখল বিসিবিকে। সব শর্ত মেনে নিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করল সিরিজটা যাতে হয়। শুরু থেকেই নানা রকম শর্ত দিয়ে চাপে রাখল বাংলাদেশকে। হোটেলে তারা একাই থাকবে, মুশফিককে খেলানো যাবে না, মাঠে ক্যামেরা ক্রু প্রবেশ করবে নাÑ এমন শর্ত থেকে শুরু করে গতকাল ম্যাচের দিনও অব্যাহত ছিল অস্ট্রেলিয়ার একগুঁয়েমি।
টসের সময়ও অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে মুষ্টি মেলাতে দেখা যায়নি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সাথে। অথচ করোনাকালের খেলায় অধিনায়করা করতল না মিলিয়ে মুষ্টি মেলানোকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। সেটিই ধীরে ধীরে প্রথা হয়ে উঠছে। অবশ্য বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার অনেক শর্তের মধ্যে এটিও ছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারদের সাথে মুষ্টিও মেলাবেন না অস্ট্রেলিয়ানরা।
বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ক্যাটারিং সার্ভিসের খাবারও নিচ্ছে না ম্যাচ ডেতে। খেলোয়াড়রা নিজেদের জন্য হোটেল থেকেই হালকা খাবার নিয়ে এসেছেন। এ ছাড়া খেলার সময় বল গ্যালারিতে গেলে সেই বল আর মাঠে ঢুকবে না। খেলা হবে একই রকম আরেকটি বল দিয়ে। এ জন্য বাড়তি বলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের আগে দুই দলের অধিনায়ককে ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার শর্তের কারণে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানও হয়নি। অস্ট্রেলিয়া যেন গলার কাঁটা হয়ে উঠছে। তাদের লম্বা শর্তের ফর্দে বিরক্ত কর্তাব্যক্তিরা।


আরো সংবাদ



premium cement