০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কেমন হওয়া উচিৎ হাফেজদের তারাবির প্রস্তুতি

মসজিদে নববীতে নামাজ আদায়ে দৃশ্য। ইনসেটে শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী - ছবি : সংগৃহীত

কোরআনচর্চার মাস রমজান আসন্ন। রমজানে মসজিদে মসজিদে কোরআন খতম মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্য। মুসলিম উম্মাহ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করে। দীর্ঘ এক বছর পর পর রমজান এলেই রাতের এ নামাজ পড়তে হয়। হাদিস শরিফে এসেছে- নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতের (তারাবি) নামাজ ঈমানের সাথে সওয়াবের নিয়তে পড়বে, তার জীবনের আগের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’

আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে হাফেজরা কিভাবে তারাবির প্রস্তুতি নেবেন, সেই নির্দেশনা ও নসীহত পেশ করেছেন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, কোরআন প্রেমীদের সুপ্রসিদ্ধ সংগঠন আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও মাদরাসা উম্মুল কুরা লি-উলুমিল কোরআন বাংলাদেশের মুহতামিম শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী। তার মূল্যবান সেই নির্দেশনা তুলে ধরা হলো—


তারাবির নামাজে কোরআন তেলাওয়াত সম্পর্কে কিছু কথা সবসময়ই বলার চেষ্টা করি, যেগুলো খেয়াল রাখলে আশাকরি সবারই ফায়দা হবে। এর মাধ্যমে তারাবির নামাজ সুন্দরভাবে আদায় হবে এবং অনেক ভুল-ভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকাও সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।

হাদিস শরিফে এসেছে—‘পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম ইবাদাত।’ (বুখারি) আর কোরআন তেলাওয়াত যেহেতু ইবাদত এবং হাফেজদের জন্য রমজানে তারাবির প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই তারা নিজের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ চিন্তা করে তারাবির প্রস্তুতি নেবেন এবং পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। এলাকার মসজিদে সুযোগ না থাকলে ঘরে-বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারাবির জামাত করবেন। একই পরামর্শ থাকবে হিফজখানার সকল শিক্ষার্থীর প্রতি। হিফজ যতটুকু হয়েছে, ততটুকু ধরে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত একবার খতম দেবেন। প্রতিদিন এক মনজিল করে তেলাওয়াত করলে সপ্তাহে এক খতম হবে এবং মাসে চারবার কোরআন খতম করা সম্ভব হবে।

তারাবির নামাজে একটি বিষয় খুব বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তেলাওয়াতের স্তর তিন প্রকার— তারতিল, তাদবির ও হদর।

১. তারতীল হলো এমন তেলাওয়াত, যা খুব ধীর গতিতে অর্থের দিকে এবং তাজবীদের আহকামের দিকে লক্ষ্য রেখে পড়া হয়। আর এই স্তরটিই হচ্ছে সর্বোত্তম স্তর। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে—‘তোমরা তারতিলের সাথে কোরআন তেলাওয়াত করো।’ (সূরা মুজাম্মিল)

২. তাদবির বলা হয়, এমন তেলাওয়াতকে, যা দ্রুত ও ধীরগতির মাঝামাঝি পড়া হয়। তারতীলের পর এই স্তরটি উত্তম।

৩. হদর বলা হয় এমন তেলাওয়াতকে, যা দ্রুততার সাথে তাজবীদের আহকামকে ঠিক রেখে পড়া হয়।

উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি স্তরে তেলাওয়াত করা জায়েজ। তবে তাজবীদের কোন কোন আলেম বলেছেন, তেলাওয়াতের স্তর চারটি। উপরোক্ত তিনটির সাথে তারা আরেক স্তর ‘তাহকীক’কে যুক্ত করেছেন। তারা তাহকীকের ব্যাখ্যা এভাবে করেছেন যে, তাহকীক বলা হয়— এমন তেলাওয়াততে, যা অত্যান্ত ধীর গতিতে অর্থাৎ তারতীলের চাইতেও ধীর গতিতে পড়া হয় এবং তারা এটাও বলেছেন, শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে এটিই হচ্ছে সর্বোত্তম স্তর।

উপরের আলোচনা দ্বারা আমাদের অনেক কিছু বুঝতে সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। এখন আসি তারাবির নামাজে, তারাবির ক্ষেত্রে হদর পড়াই সমীচীন— খুব ধীরে নয়, খুব দ্রুতও নয়। যেন দ্রুততার সাথে তাজবীদের সহকারে একদম স্পষ্টভাবে প্রত্যেকটা অক্ষর উচ্চারণ করা হয়। মাখরাজ-সিফাত ও মাদ-গুন্নাহগুলো যেন যথাযথভাবে আদায় হয়। কিন্তু সাধারণ মুসল্লিদের অনেকে চান, নামাজ খুব দ্রুত শেষ হোক। তারা প্রত্যাশা করেন, অনেকে তো সরাসরি মুখে বলেও ফেলেন, হাফেজ সাহেবগণ যেন খুব দ্রুত পড়েন। কেউ কেউ তো এমনও বলে থাকেন— তারাবি মানেই তারাতাড়ি। কোনো দিন সময় তুলনামূলক একটু বেশি লাগলে হাফেজ সাহেবদের সমালোচনা করেন। এটা একদম অনুচিত। এতে যেমন অনেক সময় তেলাওয়াতে ভুল থেকে যায়, তেমনি কোরআনের আযমত এবং হকও যথাযথভাবে আদায় হয় না।

আমাদের বাংলাদেশে রমজান মাসে তারাবি নামাজে যেভাবে তেলাওয়াত করা হয়, মূলত এ ধরনের তেলাওয়াত হদরের পর্যায়ে পড়ে না। কেননা হদর বলা হয়— এমন তেলাওয়াতকে, যা তাজবীদের আহকাম ঠিক রেখে দ্রুততার সাথে পড়া হয়। কিন্তু যারা তারাবিহ পড়ান তারা এর চেয়ে বেশি দ্রুত তেলাওয়াত করেন। যার দ্বারা কোনো হরফ বোঝা যায় না এবং তাজবীদের কোনো আহকাম ঠিক থাকে না। যার দ্বারা সাওয়াবের পরিবর্তে আমরা গুনাহগার হচ্ছি এবং কোরআন আমাদের লানত করছে। সুতরাং আমাদের সকলের উচিৎ কোরআনকে তার প্রাপ্য হক্ক দিয়ে তেলাওয়াত করা।

আমি ব্যক্তিগতভাবে তারতীলের সাথে তারাবিহ নামাজ পড়ানোর পক্ষে। তারতীলের সাথে তেলাওয়াত করলে কতটুকু সময়ই বা বেশি লাগে? বড়জোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট বেশি। অথচ কত সময় বেহুদা কাজে ও গল্পগুজবে নষ্ট করা হয়। ভেবে দেখুন, মাত্র ১০-১৫ মিনিটের কারণে কত বড় নিয়ামত হাতছাড়া করছি।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন— ‘কোরআন তেলাওয়াত করো ধীরে ধীরে, স্পষ্ট করে।’ (সূরা মুজাম্মিল)

কোরআন মাজীদ তেলাওয়াতের গুরুত্বপূর্ণ একটি আদব হচ্ছে তারতীলের সাথে তেলাওয়াত করা। অর্থাৎ তাজবীদের সাথে থেমে থেমে পড়া, যাতে প্রতিটি শব্দ প্রতিটি অক্ষর বুঝে আসে। এভাবে পড়লে কোরআন তেলাওয়াতের স্বাদ পাওয়া যায়, কোরআন বুঝতে ও তাতে চিন্তা করতে সুবিধা হয় এবং দিলের ওপর তাছীর ও প্রভাব সৃষ্টি হয়। তারাবির নামাজেও এ আদবটি খেয়াল রাখা চাই।

আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে শহরে কিছু কিছু মসজিদ এমন আছে, যেখানে বিজ্ঞ আলেম-ইমামগণ রমজানের পূর্ব থেকে, অর্থাৎ রজব ও শাবান থেকে তারতীলের সাথে তেলাওয়াতের ফাযায়েল বর্ণনা করতে থাকেন। ফলে সেসব মসজিদের মুসল্লিগণের অধিকাংশই ধীরেসুস্থে তারাবি পড়ার প্রতি আগ্রহী হন এবং তারতীলের সাথে তারাবি পড়া যে অতি ফযীলত ও সৌভাগ্যের বিষয় তা জেনে আনন্দিত হন।

ইয়াদ পাকা করা
তারাবিতে পঠিতব্য অংশটুকু ভালোভাবে ইয়াদ করা চাই। সেজন্য অধিক পরিমাণে তেলাওয়াত করতে হবে। তেলাওয়াতের বিষয়ে কোনো ধরনের অবহেলা ও অলসতা করা যাবে না। কারো অবস্থা এমন যে, পঠিতব্য পারাটি কয়েকবার, হয়ত চার-পাঁচবার পড়েই মনে করে— ইয়াদ হয়ে গেছে আর পড়ার দরকার নেই। কোনোরকম পড়তে পেরেই পড়া থেকে উঠে পড়ে। এটা একদম অনুচিত। এতে কেবল নিজের ক্ষতি নয়, মুসল্লিদের হকও নষ্ট হয়। সেজন্য রমজানে তেলাওয়াতের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত।

অতি প্রাচীনকালের কথা নয়; আমাদেরই জীবনের প্রাথমিককালে, আমাদের আকাবিরের অধীনস্থ ছেলেরা বা আমরা যে পারাটি যেদিন তারাবিতে পড়তাম, সেই পারাটি দিন-রাতে ২০-৩০ বার পড়ার চেষ্টা করেছি এবং সমসাময়িকদের কথা শুনেছি। হযরত শায়খুল হাদিস মাওলানা যাকারিয়া সাহেব রহ:-ই তো তারাবি পড়ানোর কালে রাতদিনে পারাটি ৩০ বার পড়তেন। এতে (রমজান) মাসে ৩০ খতম হত। ইয়াদ তো মাশাআল্লাহ তাদের বছরব্যাপী নিয়মিত তেলাওয়াতের ফলেই হয়ে থাকত। তারপরও তারা পবিত্র রমজান মাসে ২০-৩০ খতম তেলাওয়াত করতেন।

তো আমাদের হাফেজ তালিবে ইলমগণ কি পবিত্র রমজানে ১০ খতমও তেলাওয়াত করবেন না? এমনিতে যারা হাফজ নন, তাদের মধ্যেও তো কতক মানুষ রমজানে ১০ খতম কোরআন পড়েন। আমাদের আম্মাকে রমজানে ১০ খতমেরও বেশি তেলাওয়াত করতে দেখি।

হযরত হাকীমুল উম্মত রহ: তো বাদ ফজর কয়েক মাইল হাঁটতেন আর এক মনযিল তেলাওয়াত করে এক সপ্তাহে খতম করতেন। অথচ আমাদের হাফেজ তালিবুল ইলমদের তেলাওয়াতের কী অবস্থা! শোনা যায়, কতক হাফেজ শুধু রমজানে তারাবি পড়ার জন্য কিছুদিন আগ থেকে তেলাওয়াত শুরু করে! ফলে ইয়াদ কাঁচা থাকে; যার প্রকাশ ঘটে তারাবির লুকমার ক্ষেত্রে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

এ কারণেই এখন মসজিদে মসজিদে তিন-চারজন হাফেজ তারাবি পড়ায়। অথচ আমাদের বাল্যকালে প্রায় মসজিদে একজন হাফেজ সাহেব তারাবি পড়াতেন, বড়জোর আরো একজন হাফেজ পেছনে শ্রোতা হিসেবে থাকতেন, তিনি নামাজ পাড়ানোতে শরীক হতেন না। যতদূর মনে পড়ে, ইমাম হাফেজ সাহেব কোথাও তেমন আটকাতেন না, ফলে শ্রোতা হাফেজ সাহেবের কদাচিৎ মুখ খুলতে হতো। এভাবেই নামাজ শেষ হয়ে যেত।

সেদিনের সাথে বর্তমান কালের তুলনা করলে দুঃখের সীমা থাকে না। বর্তমানে হাফেজদের ইয়াদের কথাটাই বার বার মনে আসে। অনেক হাফেজ ছাত্র সারা বছর পবিত্র কোরআন হয়ত ধরেই দেখে না আর পবিত্র রমজান এলেও ভালো করে ইয়াদ করার কষ্ট নেয় না। আল্লাহই একমাত্র হেফাযতকারী।

তাই হাফেজ তালিবে ইলম ভাইদের প্রতি দরখাস্ত— আপনারা কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি যত্নবান হোন। সারা বছর ইহতিমামের সাথে কোরআন তেলাওয়াত করুন। আর রমজান মাসের প্রধান কাজই তো কোরআন তেলাওয়াত। বিশেষত যারা তারাবিতে কোরআন শোনান তারা যত বেশি সম্ভব তেলাওয়াত করবেন এবং তারাবিতে পঠিতব্য অংশটুকু পাকাপোক্তভাবে ইয়াদ করবেন। মনে রাখবেন, তারাবিতে মুসল্লিদের কোরআন শোনানো অনেক বড় যিম্মাদারি ও আমানত। এক্ষেত্রে অবহেলা খেয়ানতের শামিল।

তারাবিতে লুকমা দান ও গ্রহণ
পঠিতব্য অংশটুকু ভালোভাবে ইয়াদ মজবুত করার কাজ তো হলো। এরপরও যদি তেলাওয়াতে ভুল হয়ে যায়। এটা স্বাভাবিক বিষয়। সেজন্য কখনো পেছন থেকে লুকমা দেয়ার প্রয়োজন হয়।

এক্ষেত্রে মুসল্লিদের মানসিকতারও সংশোধন প্রয়োজন। তারা হাফেজ সাহেবদের লুকমা আদান-প্রদানকে গুরুতর নিন্দার বিষয় হিসেবে দেখে এবং এর কঠোর সমালোচনা করতে থাকে। ফলে হাফেজ সাহেবগণ লজ্জায় পড়ে যান।

মনে রাখতে হবে, ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেক সময়ই ইয়াদ করার পরও ভুল হয়ে যায়, প্যাঁচ লেগে যায় বা হঠাৎ আটকে যায় (এটি কোরআনের এক প্রকার মু’জিজাও বটে)। ভুল সংশোধনের উন্মুক্ত পরিবেশ থাকলে শুধরে নেয়া সহজ হয়।

যাইহোক, হাফেজ সাহেব তেলাওয়াতে আটকে গেলে বা ভুল পড়লে পেছন থেকে শ্রোতা হাফেজগণ সংশোধনের জন্য লুকমা দেন। এই লুকমা সম্পর্কিত কিছু উসূলী বা মৌলিক বিষয় মেনে চলা কর্তব্য, যাতে তেলাওয়াতে কোনো ত্রুটি না থাকে এবং নামাজে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়।

প্রথম থেকেই শ্রোতা হাফেজদের তেলাওয়াতকারী হাফেজের পড়ার প্রতি চৌকান্না ও পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। যে আয়াতে ভুল হবে, হাফেজ সাহেব নিজেই তা সংশোধনের চেষ্টা করবেন। ভুল পড়ার বা কোথাও আটকে যাওয়ার সাথে সাথে পেছন থেকে শ্রোতা হাফজ সাহেব লুকমা দেবেন না। হাফেজ সাহেব চেষ্টা করেও ভুল সংশোধন করতে না পারলে অথবা আয়াতের যেখানে আটকে গেছেন তা ছুটাতে না পারলে পেছন থেকে শ্রোতা হাফেজগণ লুকমা দেবেন।

এভাবে তেলাওয়াতকারী হাফেজ শ্রোতা হাফেজদের সহায়তা নিয়ে হলেও চলতি রাকাতের ভুলটা সে রাকাতেই সংশোধন করে নেবেন। প্রথম রাকাতের ভুল যদি ওই রাকাতেই সংশোধন করা না যায়, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতেই ভুলটা সংশোধন করে নেয়ার চেষ্টা করবেন। চলতি দুই রাকাতেও যদি ভুল সংশোধন করা না যায় বা ভুলটা দ্বিতীয় রাকাতে হয় এবং সে রাকাতে সংশোধন করা না যায়, তাহলে পরের দুই রাকাতের প্রথম রাকাতেই ভুলটা শুধরে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

ভুলটা যদি এমন হয় যে, তাতে অর্থ এমনভাবে বিগড়ে যায় যে, তা নামাজ ফাসেদ হওয়ার মতো, তাহলে যে রাকাতে ভুল হয়েছে ওই রাকাতেই সংশোধন করে নিতে হবে; নতুবা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। এরকম অবস্থায় হাফেজ সাহেব মুসল্লিদের জানিয়ে ভুলের দুই রাকাতে পঠিত ক্বিরাত দিয়ে পুনরায় দুই রাকাত পড়ে নেবেন।

আর অর্থ বিগড়ে যাওয়ার কথাটা যদি মুসল্লিদের নামাজ পড়ে চলে যাওয়ার পর বুঝে আসে, তবে উপস্থিত যাদের পাওয়া যায় তাদের নিয়ে ইমাম সাহেব সেই দুই রাকাত নামাজ পুনরায় পড়ে নেবেন এবং পরদিন আগের দিনের সেই দুই রাকাতে পঠিত ক্বিরাতটুকু তারাবির শুরুতে পড়ে নিয়ে তারপর এদিনের নির্ধারিত অংশ পড়বেন। তাতে এই মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিদের খতমে কোরআন ঠিক থাকবে ইনশাআল্লাহ। অবশ্য এ ক্ষেত্রে মুফতি আব্দুল মালেক সাহেব বলেন, এ বিষয়ে একটি ছাড় হতে পারে। তা হলো, যে অংশটুকু ভুল পড়া হয়েছে শুধু সে অংশটুকু দোহরানোই যথেষ্ট। পুরো দুই রাকাতে যতটুকু পড়া হয়েছে, সবটুকু না দোহরালেও খতম সম্পন্ন হয়েছে বলে ধর্তব্য হতে পারে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের তাওফীক নসিব করুন। আমীন।

মেইল : saadsaifullahmadani444@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement