২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাইলর ড্রাম বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

-

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে সাইলর ড্রাম বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী।

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বন্যাকবলিত এলাকায় কৃষি বীজ সংরক্ষণের জন্য রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের জন্য প্রায় এক হাজার ৭০০ সাইলর বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত সাইলর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এর আগে মূল নামের তালিকার অর্ধেকই পায়নি সাইলর। সাইলর বরাদ্দ হয় সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল থাকা অবস্থায়। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত তালিকা পাঠায় যে তালিকা পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই বলছেন সাবেক ওই চেয়ারম্যান।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম, বাবা আজিজুর রহমান গ্রাম কাচারীপাড়া সাইলর ড্রামের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি সাইলর পাননি। রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদল চেয়ারম্যান আমাদের এই সাইলর দেয়ার জন্য নাম নেয়। পরে আমাদের নামে বরাদ্দ আসে কিন্তু এখন তো বাদল চেয়ারম্যান নেই, মাস ছয়েকের মতো হয়েছে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন মিরন। তাই পছন্দ মতো নতুন তালিকা করে আত্মীয়-স্বজনসহ নিজের লোকজনের মাঝে কিছু সাইলর ড্রাম বিতরণ করে ও বাকিগুলো আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান
মিরন।

শুধু আমি নই, আমার মতো অনেক মানুষই তালিকায় নাম থাকার পরেও সাইলর ড্রাম পায়নি। তাদের বেশির ভাগই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে না, খুললেও লিখিত অভিযোগ দিতে ভয় পায়। আমি তার বিরুদ্ধে ইউএনও'র কাছে এই অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার দাবি সুষ্ঠভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, গত ২ আগস্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষাপটেই আমি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্তের রিপোর্টে সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement