২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধুনটে একই দিনে পৃথক ঘটনায় নিহত ৪

ধুনটে একই দিনে পৃথক ঘটনায় নিহত ৪ - ছবি : প্রতীকী

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে নারীসহ দু’ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দুটি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি কালেরপাড়া ইউনিয়নের আনারপুর গ্রামের মৃত জাহিদুল বেপারির স্ত্রী মনজেরা বেওয়া (৪২) এবং চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচথুপি গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে হাফিজুর রহমানের (৩২)।

এছাড়া পানিতে ডুবে উপজেলার বেড়েরবাড়ী আকন্দপাড়ার শাহ আলম আকন্দের মেয়ে দেড় বছর বয়সী রাবেয়া আক্তার সোহানী এবং ঘুমের বড়ি খেয়ে ঝিনাই উত্তরপাড়ার মৃত গফ্ফার মণ্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলামের (৪২) মৃত্যু হয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করতেন মনজেরা বেওয়া। সোমবার মধ্যরাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেন তিনি। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানা পুলিশে খবর দেয়।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ওই ঘর থেকে মনজেরার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

অন্যদিকে সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন হাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে একটি আম গাছের সাথে গলায় দড়ি পেচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১১টার দিকে ওই আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মৃত দু’ব্যক্তির পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। থানায় সাধারণ ডায়েরি করে দুটি মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে বগুড়া সদরে প্রেমঘটিত কারণে মতিউর রহমান (২৬) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সদরের মালতীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহননকারী মতিউর পাবনার সাথিয়া উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি বগুড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এবং মালতীনগর এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রেমঘটিত কারণে মতিউর মেসের নিজ রুমে বিষাক্ত ইনজেকশন নিজের শরীরে পুশ করেন। পরে মেসের লোকজন বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement